
চিত্রল হরিণের কেশরে ঝুলে থাকা জোনাক-জ্বলা রাত,
তুমি ঝংকৃত হও নিপুন অর্কেষ্ট্রার সানিধাপা সুরে।
আজ হৃদয়ে বসন্ত অপার। খুলে রেখেছি নোঙরের বাঁধ।
বটফল রঙে মুছে গেছে মানচিত্রপাঠ, ভেসে যাও
ভেসে দূর ঢেউয়ের শিরা পথ দেখাবে অচিনের।
পায়ে নেই মাদুলি পরা নক্ষত্রের ভার। তাই বুঝি
ললাটে উত্তর ফাল্গুনী ছোঁয়া সাবলীল ;
এখানে ঘ্রানের ভীড়ে মনোলোভা নুড়ি নৃত্যে
মাতোয়াল উড়নচন্ডী হাওয়া। এখানে সনেটের দোলায়
রাখী বাঁধা বনহংসীর পাল; খোঁপাতে হিজল গুঁজে
বনহংস মনভোলানো চন্দ্রগীতি গায়। ছোট ডাল
ঝুঁকে এসে যে সুবাস ছড়ায়, তারো আছে ভীষন
নিবিড় সংসারপীঠ।
আাজ রাত্রে কুয়াশা চিহ্ন মুছে গেছে চাঁদমুখে, দূর
বিলে মনিমুখে সর্পকেলীর আলোয় ভরে আছে
শাপলা-শালুকের ঘর।
অতঃপর নাইবার কাল ঝর্নায়।
আজ রাত্রে খুলে রেখেছি খোলস, থাক
খাতায় কিছুটা অনুপুস্থিতির ঢেঁড়া। বুক পকেটে
বাজারের ফর্দ বাসী হোক, বাসী হোক নিয়নের রাত।
খেরোখাতায় কাটাকুটি ফেলে কানে গুঁজে রাখা পেন্সিলে
আকিঁ দেশলাই;
ভেতরে আগুন বন্ধু, ভেতরে আগুন পুষি।
দাহকাল কতদিন; এ দাহকাল কতদিন আর।।
( ছবিটি ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত
Daddy Longlegs of the Evening - Hope! ১৯৪০ তেলরঙ
by Salvador Dali.)
উৎসর্গ: আমার দাহকালে দেখা বন্ধুদের...
যারাও আমার মতই জ্বলে গোপনে...
পেন্সিলে দেশলাই আঁকে একদিন বিদ্রোহ হবে বলে...
একদিন একরাত্তির কপালকুন্ডলার দেশে আমন্ত্রন....
বন্ধু, রহো রহো সাথে...