অন্য এক রুশ গ্রীষ্মের ছুটিতে –আমার প্রাণপ্রিয় বন্ধু আনিস তার সদ্য বিবাহিত রুশ রমণী আর বন্ধুর চেয়েও আপন শিক্ষিত শেফার্ড কুকুরকে নিয়ে যাবে দাচা'য় বা গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপনের জন্য গ্রামের বাড়িতে। মস্কো থেকে বেশ খানিকটা দুরে জানা অজানা গাছ গাছালি আর বুনো ফলের ঝোঁপে ঢাকা ছোট্ট হ্রদের পারে সুদৃশ্য ছিমছাম কাঠের তৈরি দোতলা তাদের সেই অবকাশ নিকুঞ্জ।
বিয়ের পরে ওদের আর হানিমুন করা হয়ে ওঠেনি। এই গ্রীষ্মে নিজেদের মত করে সেই নির্জনে উপভোগ করবে বলে আর যায়নি কোথাও। সারা শীতকাল জুড়ে শুয়ে বসে থেকে কুকুরটার তেজী শরীরে এসেছে জড়তা- শিথিলতা।
এই সুযোগে ওকেও দাবড়িয়ে তেজী করতে হবে। সারাদিন ঘুরে ঘুরে তাজা মাশরুম কুড়াবে, হ্রদের জলে মাছ ধরবে আর তীব্র রোদে শরীর পোড়াতে রোদ্র স্নান। আহা কি উপভোগ্যই হবেনা ওদের মধুচন্দ্রিমার দিনগুলি।
চারিদিকে চোর ডাকাতের যে উপদ্রব! সেখানে তার শহরের সেই সু-সজ্জিত নীচতলার ফ্লাটখানা খালি রেখে যেতে মন সায় দেয়না।
আমি ঝাড়া হাত-পায়ের লোক,না ঘরকা না ঘাটকা। বিয়ে করিনি –বান্ধবীও নেই একখানা! গাঁও গেরামে নেই বাড়ি। শহরই একমাত্র ঠাঁই। পুরোপুরি এতিম/অনাথ বাস্তু-ভিটা-হীন বলা চলে।
বন্ধু এসে বেশ খানিক্ষন ভদ্রতা করে ‘দয়া’ করে শব্দখানা জুড়ে বলল,থাকতে পারবা? মাত্র তো পনের/বিশ দিনের ব্যাপার!
আমার আর কি-নিজের ফ্লাটে বা বন্ধুর বাসায় থাকা একই কথা। রাতটুকু শুধু ঘুমানো। সারাদিন-তো বাইরে টো টো করে ঘুরব। গ্রীষ্মে পাগল আর রোগী ছাড়া কেউ ঘরে বসে থাকেনা।
বন্ধু আমার যাবার বেলায় ফ্রিজ ভর্তি করে খাবার দিয়ে সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে গেল। তখন মোবাইল ফোনের দৌরাত্ম তেমন শুরু হয়নি-তার দাচা’তে কোন ল্যান্ড ফোন ছিল না। অতএব পনের বিশ দিন বাদে ফের দেখা হবে কথা হবে বলে সে বিদায় নিল।
রান্না ঘর সহ তিনখানা রুম। আমার ছোট্ট ফ্লাটে থাকি দুইজনে শেয়ার করে। আর এখানে শুধু আমি একা।
আঃ হাত পা ছড়িয়ে হেসে খেলে যাবে কয়দিন!
সকালে ঘুম থেকে উঠেই বিদেয় নিল আনিস। আর আমি রইলাম পাহারাদার হিসেবে।
কাজ থাকলে সাধারণত সকাল দশটার দিকে বাইরে বের হই। গ্রীষ্মের বেশ বড় ছুটি। শহর খালি হয়ে গেছে। কাজকর্ম নেই বিশেষ। যেতেই আরেক দফা ঘুম দিলাম। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে রেডি করলাম নিজেকে। আমার মতই এমন অভাগা একগোছা বন্ধুদের নিয়ে ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে কোন এক লেকের পাড়ে বসে বিয়ার আর মুরগি চিবাবো বলে বের হতে চাইলাম।
বাড়ির দরজা জানালা ভাল করে চেক করে ও যেখানটায় বাইরের দরজার চাবি রাখে সেখানটায় হাত দিয়েই চমকে উঠলাম-চাবি নেই সেখানে! নেইতো নেই!! সারা বাড়ি তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম। আমার জামা কাপড় থেকে শুরু করে ওর দেরাজ কপাটও হাতড়ালাম। কোথাও নেই।
মুল প্রবেশ দ্বারখানা আবার সেইরকম! চোর দস্যুর ভয়ে-স্টিল কাঠ ফোম আর পি ইউ দিয়ে এমন কারিশমা করে বানানো যে হাতি ঠেললেও ভাঙতে পারবেনা। এমন ধারা দরজা একখানা না মুখোমুখি দুইখানা। মনে হয় বাড়ির থেকে দরজার দাম বেশী! বাইরে বেরুতে চাইলে ভিতর থেকেও চাবি ঘোরাতে হয়। এ দুখানা দরজা খুলে বেরুলেই রক্ষে নেই- সবার জন্য কমন একটা লোহার দরজারও ব্যবস্থা আছে। আমি নব্য আগত অপরিচিত আরেকজনের কাছে চাবি আনতে গেলে সন্দেহ হওয়াটা খুব বেশী স্বাভাবিক।
এখন আমি কি করি। ভীষণ পেরেশানিতে আের। ওদিকে আবহাওয়া আচমকা দ্রুত পাল্টাতে শুরু করল শীত এখনো পুরোপুরি কাটেনি-আবহাওয়া ঠাণ্ডা। তার উপরে বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে! এর মধ্যেও আমি ঘামছি!
তখন মোবাইলের যুগ শুরু হলেও সেটা বড় মহার্ঘ্য! অতি ক্রুতোই লোকের হাতেই শোভা পায় সাধারণের দর্শনীয় সে বস্তুখানা!
আনিস যেখানে গেছে –মোবাইলের নেটওয়ার্ক তো দুরের কথা ল্যান্ডফোন তক নেই। কোন মতেই তার ফিরে আসার আগে যোগাযোগ করা সম্ভব নয়।
একবার দুবার তিনবার সারা বাড়ির সম্ভাব্য অসম্ভাব্য সবখানেই খুঁজলাম- কমোড বাথটব কিছুই বাদ দিলাম না। অযথা পণ্ডশ্রম!!!
রিল্যাক্স –রিল্যাক্স! নিজেকে নিজে সান্ত্বনা দিচ্ছি; কিছু একটা উপায় হবে।
মাথা থেকে সব দুঃচিন্তা ঝেড়ে ফেলে রান্না বান্নায় মনোনিবেশ করলাম! গরুর মাংস পাতা কপি দিয়ে কশালাম সাথে ভাতের থেকে ভাল হবে মাখন লেপটে দেয়া বাতোনের( এক ধরনের পাউরুটি) মোলায়েম টোষ্ট!
বাইরে রোদ বৃষ্টির খেলা চলছে। যে ঠাণ্ডা পড়েছে এই অসময়ে ফের বরফ পড়ে কি-না কে জানে। মাত্র তো
আমি আয়েশ করে খেয়ে দেয়ে খানিক বিশ্রাম নিয়ে বিকেল নাগাদ বন্ধু ও পরিচিতদের কাছে রসিয়ে আমার এই আইসোলেশোনের গপ্পো করার জন্য ল্যান্ড ফোনের রিসিভারটা কানে ঠেকাতেই ভয়ানক শক খেলাম!! কোন শব্দ নেই- সে পুরোপুরি মৃত!
বাইরের পৃথিবীর সাথে এখন আমার যোগাযোগ প্রায় বন্ধ। আমি চিৎকার চেঁচামেচি করলে পাশের ফ্লাটের কারো কানে যাবার সম্ভাবনা কম। জানালা খুলে চেঁচালে মাত্র ৫০ মিটার দুরের আরেকখানা ইজদানিয়ের(বড় দালান) কেউ শুনবে বলে মনে হয় না!
টেনশনে আমার হাত পা অসাড় হয়ে এল! রাত নেমে এল ঝুপ করে- টেনশনে শুধু পায়চারী করছি আর আকথা-কুকথা ভাবছি!
রাতের খাবার বহু কষ্টে গলঃধকরন করে- বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছি। একটু তন্দ্রা এলেই ভয়ংকর সব স্বপ্ন দেখে জেগে উঠি।
বাইরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে- এপাশ ও পাশ করে তন্দ্রা আধা ঘুম জাগরণে ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের মাঝে কেটে গেল আমার আইসোলেশনের প্রথম রাত্রি।
সকালটা কেটে গেল বেশ ভাল মতন। ঘরের মধ্যে, হাঁটাহাঁটি করলাম-হালকা ব্যায়াম করলাম! দীর্ঘ সময় ধরে পদ্মাসনে বসে ধ্যান (ভুয়া) করার চেষ্টা করলাম। এরপরে ধীরে সুস্থে নাস্তা বানালাম- মাখন আর গোল মরিচের গুড়ো দিয়ে এক দমে আলু ভাজি, খেলেব( কালো পাউরুটি),স্লাইস সালামী আর কফি দিয়ে প্রাতরাশ সারলাম। তারপর খানিকক্ষণ বই-পত্র ঘাটাঘাটি আর টিভি দেখা। সকাল বেলায় রুশ চ্যানেলগুলোতে সব একঘেয়ে ক্লান্তিকর অনুষ্ঠান চলত তখন।
এগারটা বাজতেই ভেতরের অস্থিরতা টের পেলাম- বাইরে বেরিতে হবে। বন্ধুরা আমার জন্য অপেক্ষা করছে...
কিছুতেই মন বসছিল না। শুরু করলাম এ রুম থেকে ও রুমে পায়চারী। টিভিতে একঘেয়ে অনুষ্ঠানের ঘ্যানর ঘ্যানর বিরক্তি ধরাচ্ছে।
মাঝে মধ্যে টেলিফোনের রিসিভার উঠিয়ে কানে ঠেকাচ্ছি- রিং-টোন শোনা যায় কিনা?
পায়চারীর ফাঁকেই লক্ষ্য করলাম আনিসের বেডরুমের ডিভানের পাশের ছোট্ট টেবিলটার উপরে এক তোড়া কাগজ আর একটা খাপ খোলা বল পয়েন্ট।
আনিসের গিন্নি তখন জার্নালিজমে পড়ছিল সম্ভবত। প্রচুর লেখালেখি করত সে। সে-ই সম্ভবত সেখানে রেখে গেছে ওখানে।
আমি হাঁটছি আর ভাবছি-বার বার নজর যাচ্ছে সেই কাগজের তোড়াগুলোর দিকে।
ঘণ্টা খানেক কেটে গেল এভাবে। ক্লান্ত হয়ে অবশেষে সেই কাগজ আর খাপ খোলা কলম আমার বিছানার উপরে রেখে আমি কার্পেটের উপরে বসলাম। কাগজের উপরে ছায়া কলম ঘোরাচ্ছি- কিছু একটা লিখতে চাচ্ছি, কিন্তু কি লিখব?
শুরুটা কোত্থেকে করব, ভাবছি আর আঁকিবুঁকি কাটছি। ভাষা-গত দুর্বলতা আমার প্রথম থেকেই- বাংলা বানানরীতি আর ব্যাকরণে চরম দুরবস্থা আমার! বাংলা পড়েছি শুধু পরীক্ষায় পাশ করার জন্য। ডায়েরি-ফায়েরি লিখি আমি বেশ আগে থেকেই কিন্তু সেটা গৎবাঁধা রোজ নামচা ছাড়া কিছুই নয়। ভুলে সেই ডায়েরীটা এবার আমার ভাড়া ফ্লাটে রেখে এসেছি।
এক সময় কেমন যেন ঘোরের মধ্যে চলে গেলাম-কাটছি, লিখছি! ফের কাটছি, লিখছি...
সম্বিৎ ফিরলে দেখি দুপুর গড়িয়ে গেছে- ক্যামনে? কিভাবে? ভীষণ আশ্চর্য হলাম!!
... আমি তিনদিন ধরে একটানা লিখছি। লেখার সময়ে শরীরে বেশ জ্বর অনুভব করি- কিছুটা ঘোরের মধ্যে থাকি! আমি জানি এই অনুভূতিগুলো ব্যতিক্রম কিছু নয়। একটানা লিখতে গেলে অনেকেরই এমন হয়। মাঝে মধ্যে ব্রেক দিই- কিছুক্ষণ টিভি দেখি, দীর্ঘ সময় নিয়ে রান্না করি, নিজের সাথে নিজে কথা বলি।
লিখতে বসলে শুরুতে বিরক্ত লাগে- কোন কিছুই মাথায় আসে না।
চতুর্থ দিন থেকে আমার ইলিউশন বা বিভ্রম শুরু হোল। লিখতে লিখতে ডিভানে মাথা রেখে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। স্বপ্ন আর জাগরণে মনে হল যেন আনিসের কুকুর ‘জো’ আমার বাহু লেহন করছে।
তার গরম নিঃশ্বাস ও ভেজা কিছুটা ধারালো জিহ্বা বাস্তব উপস্থিতি আমি এখনো টের পাই। ঘুম ভেঙ্গে আমি ‘জো’ কে খুঁজতে লাগলাম। ঘরের কোনায় কোনায়, ডিভানের নিচে, বাথরুমে সবখানেই চাবি খোঁজার মত করে খুঁজলাম তাকে। কোনভাবেই আমার বিশ্বাস হল না যে, জো এখানে নেই!
রাত তখন বেশ গভীর- চারিদিকে শুন শান নীরবতা। আমার একটু একটু ভয় করতে শুরু করল। ঘরের সবগুলো বাতি জ্বালিয়ে- টিভির ভলিউম বাড়িয়ে দিয়ে ঝিম মেরে বসে রাতটা কোন মতে কাটিয়ে দিলাম।
ভোরের দিকে তন্দ্রা মত এসেছে-টেলিফোনের ক্রিং ক্রিং শব্দে ধড়মড় করে উঠে দৌড়ে গেলাম। রিসিভার কানে ঠেকাতেই কোন শব্দ নেই-ডেড!!
সারাদিন ভুলে গেলাম সেসব কথা- স্বপ্ন ভেবে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলাম।
ফের শুরু হোল লেখা-লেখি!
পঞ্চম রাতে শুরু হোল তুমুল বৃষ্টি- সাথে ঝড়ো বাতাস! রাত বারোটার দিকে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
তিনটের দিকে ফের সেই অনুভূতি! জো’(আনিসের শেফার্ড) আমার ডিভানের কাছে দাঁড়িয়ে হাত চেটে দিচ্ছে। ফের সেই গরম নিঃশ্বাস আর ভেজা ধারালো জিহ্বার বাস্তব অনুভূতি। ঘুম ভেঙ্গে গেল- আশেপাশে জো’কে খুঁজলাম। বাইরে তখন তুম ঝড় আর বৃষ্টি- ঘরের মৃদু আলোয় লক্ষ করলাম জানালার কাছের পর্দা নীচের দিকে নড়ছে। প্রথমে পাত্তা দিলাম না – ভাবে নিলাম বাইরে ঝড় বাতাসে নড়ছে। অন্যদিকে ফিরে শুতেই মনে হোল আমিতো জানালা ভাল করে আটকে রেখেছিলাম। এয়ার টাইট জানলা- বাতাস আসবে কোত্থেকে? আর বাতাসে নড়লে পর্দা শুধু ওখানটায় নড়বে কেন?
ভাবতে ভাবতেই লাফ দিয়ে উঠে বসলাম। ভয় লাগেনি তখন কৌতূহলী ছিলাম!
বেশ স্বাভাবিক ভাবেই ওখানে গিয়ে পর্দাটা তুলতেই ভীষণ চমকে উঠলাম!
সারা গায়ে লালচেটে হলদে লম্বা পশমের বিশাল একটা বিড়াল তার তার চার পাঁচটা বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বড় বিড়ালটা এভাবে তাকাল আমার দিকে – আমার অন্তরাত্মা কেপে উঠল! এত বড় বিড়াল আমি এই জিন্দেগিতে দেখিনি!!
চিরকালের ভিতু আমি তবুও ভয় পাইনি। প্রতিটা জানালা আর তার লক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলাম-কোথাও ফাঁক ফোঁকর আছে কিনা?
এত বড় একটা বিড়াল তার বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে আসল কিভাবে? কোত্থেকে আসল? বাইরে থেকে আসলে তো শরীর ভেজা থাকবে!!
আর বেশি ভাবনা চিন্তা না করে বিড়ালের মত বিড়ালকে রেখে আমি ফের ঘুমাতে গেলাম। ঘুম কি আর আসে। ঘুরে ফিরে বার বার নজর যায় সেই পর্দার দিকে। মাঝে মাঝে অতি নিচুস্তরে বাচ্চাদের মিঁউ মিঁউ আর নড়াচড়া টের পাই।
উল্টা পাল্টা ভাবতে ভাবতে ফের ঘুমিয়ে পড়লাম। ভোর বেলা ঘুম ভাঙ্গতেই দৌড়ে গেলাম জানালার কাছে। ঝড় থেমে গেছে – টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে তখনো। পর্দা উঁচু করতেই দেখি একদম ফক ফকা- কিস্যু নেই।
আসল টেনশন শুরু হোল তখন? বিড়াল ফাঁক ফোঁকর দিয়ে আসলই না হয় কিন্তু গেল কেন আর কোথা দিয়ে গেল? ফের সারা ঘর তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখলাম- এবার ফ্রিজ আর ওভেনের ভেতরেও বাদ দিলাম না। নাহ নেই কোথাও নেই... ভোঁজবাজির মত হারিয়ে গেল!
~ঘরের মধ্যে এভাবে আটকে যাওয়াকে হয়তো 'কোয়ারেন্টিন' বলা ঠিক হয়নি- কিন্তু আমার মনে হোল হয়-তো! হবে না কেনয়
মুল ছবিঃ নেট থেকে না বলে নিয়েছি।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪