অন্তর্বর্তী সরকারের ‘সব কাজ বৈধ’, মেয়াদ অনির্দিষ্ট: অধ্যাদেশ হচ্ছে
খসড়ার শিরোনাম করা হয়েছে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪'। এতে বলা হয়েছে, সরকারের সিদ্ধান্ত আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না বা অবৈধ ঘোষণা করা যাবে না l
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে একটি অধ্যাদেশের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যাতে সরকারের মেয়াদ নির্দিষ্ট না করে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ সংসদ প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না করার পর্যন্ত তারা ক্ষমতায় থাকবে।
এই সরকারের কোনো কার্যক্রমের বৈধতা সম্পর্কে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টসহ অন্য কোনো আদালত বা কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই কোনো প্রশ্ন উত্থাপন বা তা অবৈধ বা বাতিল করতে পারবে না, এমন কথাও বলা হয়েছে এতে।
বলা হয়েছে, এ সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন বা মামলাও করা যাবে না।
নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ, জরুরি অবস্থা ঘোষণায় প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ নেওয়াসহ সার্বিক বিষয়কে আইনি ভিত্তি নিয়ে এই অধ্যাদেশের খসড়া করা হয়েছে।
খসড়ার শিরোনাম করা হয়েছে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪'।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এই খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। সেটি এখন গেজেট প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।
মন্তব্য - বেশি কিছু বলার নেই l তবে লকার আর ক্ষমতার ঘর প্রায় একই রকম বহু মূল্যবান জিনিস সেই ঘরে থাকে কিন্তু অবশ্যই ঢোকার আগে চাবি সাথে আছে কিন্তু কি না দেখে ঢোকা উচিৎ! দেখা গেলো লকারের অর্থ সম্পদ দেখে আপনার চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে মাথা ঘুরে ঢুকে গেলেন আর ওদিকে চাবি লকারের তালার সাথেই রয়ে গেলো l ওদিকে জোরে বাতাস এলো লকারের দরজা বন্ধ হয়ে গেলো!! চাবি তো লকারের বাইরে!!
তবে সিঁদ কাটা চোর কিন্তু বের হওয়ার রাস্তা রেখেই চুরি করতে ঢুকে!
নির্দেশনা অনুযায়ী বিদেশে টাকা পাঠাতে এবং ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান বিদেশ যেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে না l পূর্বে উভয় ক্ষেত্রেই লিখিত অনুমতি নিতে হতো বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক থেকে l
এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে ১/১১ এর আন্দোলন সর্ব ক্ষেত্রেই নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামীলীগ l আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক ব্যর্থতা এবং বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতার কারনে আজকের এই অন্তরবর্তী সরকার যারা সমিতি চালানোর মত যোগ্যতা রাখে না তারা সরকার চালাচ্ছে আর রাজনৈতিক দলগুলোর পোঁ /দে কষে লাথি ঝাড়ছে l এটি অবশ্যই সকল দলের পাওনা l দুর্নীতি দুঃসাসন
দলের ভেতর হাজার গ্রূপিং, পরিবারতান্ত্রিকতা, এসবে কোন দল পিছিয়ে নেই l আওয়ামীলীগ যেহেতু দীর্ঘদিন ক্ষমতায় তারপরেও দলকে ঢেলে সাজানো দূরে থাক একটা যোগ্য কর্মী এই ১৬বছরে তৈরী করতে পারেনি l তাই আওয়ামীলীগের যা পাওনা ছিল তা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে l অন্যদলগুলো এতদিন আওয়ামীলীগের লাথি খেয়েছে এখন কেরানির লাথি খাবে l দেশের রাজনীতির এই দৈন্যতা সকল দল মিলেই করেছে সকল দল দায়ী রাজনৈতিক এই শূন্যতার জন্য l আজকের দেশের রাজনীতি ধ্বংসের দায় ৫০% ভাগ আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় থেকে নিজের দল ধ্বংস করেছে সাথে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর উপর নিপীড়ন চালিয়ে ওদেরকেও ধ্বংস করেছে l এখন রাজনীতির মাঠ ফাঁকা গরু ছাগল চড়ছে ঘাস খাচ্ছে l
যদি আবার রাজনীতির মাঠে খেলতে হয় অন্দোলন গড়ে তুলতে হয় তখন কি এই আওয়ামীলীগকেই আবার ডাকতে হবে!! পরিস্থিতি কি আবার জয় বাংলার দিকেই যাবে!? দেখা যাক রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামীলীগ বিহীন ভাবে এই দুর্দিন পার হতে পারে কি না ‼️
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ২:১৩