মিলি ম্যাম বনাম মিল্ক ম্যান ঃ
মিলি ম্যাম আমার বড় ছেলের ক্লাস টিচার । সাথে আরেকটা পরিচয় আছে। সে আমার এক জুনিয়ারের স্ত্রী ।মিল্ক ম্যান আমাদের গরুর দুধ দেয়। প্রতিদিন সে সাভার থেকে দুধ নিয়ে আসে।
আমরা এক সপ্তাহের জন্য বাইরে যাচ্ছিলাম । আমার স্ত্রী বলল দুধ ওয়ালাকে নিষেধ করে দেই। আগামী এক সপ্তাহের জন্য না আসতে।
তিনি মিল্ক ম্যানকে ফোন না করে ডাইরেক্ট মিলি ম্যামকে ফোন দেয় এবং ওপাস থেকে হেল বলার সাথে সাথে সে বলে উঠল "আপনার হাসবেন্ডকে বলবেন আমাদের এক সপ্তাহ আর দুধ দিতে হবে না। "
মিলি ম্যাম বলল"আপনি এসব কি বলছেন ?" আমার হাসবেন্ড কেন আপনাদের দুধ দিবে?"
উত্তরে আমার স্ত্রী" কি বলেন ? আপনার স্বামি দুধ বিক্রি করে আপনি জানেন না?"
অপর প্রান্ত থেকে ফোন কেটে দিল । দেখত দুধ ওয়ালার বউটা কত বেয়াদব। ফোন কেটে দিল!!
আমি বললাম "দেখি ফোনটা দাও।" ডায়াল লিস্ট দেখে জিজ্ঞাসা করলাম "মিলি ম্যাম কে?"
এর পর টানা তিন দিন আমার স্ত্রির ফোন বন্ধ ছিল।


আমার কি চশমা দরকার ঘটনা -৩
দুই দুইবার ধরা খেয়ে নিজেকে একটু শুধরে নিলাম ।চিন্তা করলাম এখন থেকে উল্টা করব। আমার এক জুনিয়ার সারাদিন তার প্রেমিকার রূপের হিস্ট্রি বলত । শুনে শুনে মনে হচ্ছিল সাক্ষাৎ মিস ইউনিভার্স এর সাথে তার সম্পর্ক । আমি জাহাজ থেকে নামার সময় সে কিছু গিফট দিল যা তার প্রেমিকাকে পৌঁছে দিতে হবে । ফোন করে জানলাম সে বা তার মা রাপা প্লাজা থেকে গিফট নিয়ে যাবে। আমি এবং আমার স্ত্রী দুজন ওয়েট করছি রাপা প্লাজায় । এমন সময় দুজন মহিলা দেখে মনে হল এরাই হবে। এগিয়ে গিয়ে নিজের পরিচয় দিয়ে কম বয়সী মহিলাকে বললাম আপনি বুঝি সেই!! উনি লজ্জিত হয়ে বলল আমি তার মা

.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
" না ঐ আমার মেয়ে যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে"



আমার কি চশমা দরকার / ঘটনা - ২
আমার লাস্ট জাহাজে টি টাইমে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ....... হাসান ভাই । প্রতিদিন চা নিয়ে এক কর্নারে যেয়ে মোবাইলে কি জানি দেখে আর হাসে । অন্য সব ইঞ্জিনিয়াররা মুস্কি মুস্কি হাসে আর কানাঘুষা করে । একদিন বিরক্ত হয়ে বললাম ভাই কি সব দেখেন একটু আমাদেরও দেখান!! দেখলাম একটা ফ্যামিলি প্রোগ্রাম । একজন হারমোনিয়াম নিয়ে গান করছে। কি বলব বুঝতে পারছি না। দাঁত কেলিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম "যে হিন্দু মহিলা গান করছে সে কি আপনার আত্নিয়?"
"না স্যার, সে আমার ওয়াইফ । রবিন্দ্র সঙ্গীত গায় তো তাই অমন গেট আপ"
আমার কি চশমা দরকার ?
ঘটনা ১ঃ অনেকদিন পর (প্রায় ১৪ বছর) আমার এক মেরিনার বন্ধুর সাথে দেখা । কথা বলতে বলতে ট্যাবে তার পরিবারেরে ছবি দেখাচ্ছে। কত গুলো ছবি দেখাল সব তার শ্যালিকাদের । দুই শালীর সাথে আরেক একজন মোটা মহিলা। আমার IQ অনেক শার্প তাই বললাম "দোস্ত তোর শাশুড়ি তো অনেক ইয়ং " সে ঝারা অনেক ক্ষন তাকিয়ে থেকে বলল " ঐটা তোর ভাবি"
তত্বাবধায়ক সরকার


গুরু আর তো পারি না । হাতের রেখা তো সব মুছে যাচ্ছে ।
হুম তাহলে এবার বিয়ে করে ফেল।
সেকি গুরু বউ মানেই তো যন্ত্রনা, সেই শিক্ষাই দিলানা।
এখন আর সমস্যা নাই । এখন আমার কাছে সেই যন্ত্রনা থেকে মুক্তির ব্যবস্থা আছে। বিয়ের পর একটা পরকীয়া করতে হবে। ঘরে থাকবে যন্ত্রনা বাইরে থাকবে শান্তনা এবং অনুপ্রেরণা। বউয়ের জন্য যা খরচ হবে তা হবে রাজস্ব ব্যয় আর প্রেমিকার জন্য ব্যয় উন্নয়ন খাত । আর এই দুটোর পরেও যা থাকব তা হল উদ্ধৃত্ব। নিজেকে তখন সরকার সরকার মনে হবে।
শিস্য বেজায় খুশী। কিন্তু মাথায় এল দুশ্চিন্তা । গুরু যদি বউও পরকীয়া শুরু করে ?
হুম । তো বাড়ি জানি কোথায় ? যাই হোক সমস্যা নাই । তখনও সরকার থাকবে। তবে সেটা হবে তত্বাবধায়ক সরকার।

