somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সরকারে শেষ সময় রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কি বুমেরাং সিদ্ধান্ত নয় ?

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দীর্ঘ চৌত্রিশ বছরের লাল দুর্গের ( বামফ্রন্ট সরকার) পতন ঘটিয়ে নতুন সরকারের আবির্ভাব হয়েছিল পশ্চিম বঙ্গে।মমতার তৃণমূলের আগ্নেয়গিরির সামনে বামফ্রন্ট সরকার ধূলিসাত হয়ে গেছে। আমরা হয়ত ভুলে গেছি বাম সাম্রাজ্যের এই ধ্বংসের পিছনের কারন। যার মধ্যে প্রথম এবং প্রধান গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো ‘সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে ঘটনা।সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের ঘটনা বিশ্ববাসীর কাছে আজ অজানা নয়।গাড়ি তৈরির কারখানার জন্য কৃষকদের কাছ থেকে জোর করে উর্বর দো ফসলী জমি কেড়ে নিয়ে টাটা গ্রুপ ওরফে রতন টাটার হাতে তুলে দিয়েছিল বাম সরকার। এই নিয়ে শুরু হয় আন্দোলন। মারামারি। রক্তারক্তি। সেখান থেকে মমতা হাল ধরে জনগণের নেতা হিসাবে আবির্ভূত হয়। পতন হয় এক কঠিন সাম্রাজ্যের।
দেশের বাইরে কেন ? আমরা ভুলে গেছি আরিয়াল বিলে বিমান বন্দরের ঘটনা। ১৮৩০ একর ধানী জমি অধিগ্রহণের ফলে ৮ হাজার পরিবার উচ্ছেদ হবে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মসংস্থান হতে পারে সর্বোচ্চ ৬০০ জনের, ফলে উদ্বাস্তু এবং কর্মহীন হয়ে যাবে প্রায় ৭ হাজার ৫০০ পরিবার। শুধু তাই নয়, আমরা প্রতি বছর হারাব কয়েক কোটি টাকার কৃষিজ উৎপাদন।ইআইএ রিপোর্ট অনুসারে প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ প্রকল্পটি সুন্দরবন থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে! আবার সুন্দরবন থেকে দূরত্ব আসলেই ১৪ কিলোমিটার কি না সেটা নিয়েও বিতর্ক আছে। খোদ ইআইএ রিপোর্টের এক জায়গায় বলা হয়েছে প্রকল্পের স্থানটি একসময় সুন্দরবনেরই অংশ ছিল। এই প্রকল্প সুন্দরবনের পশুপাখির জীবনচক্রের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে এবং মারাত্নক পরিবেশ বিপর্যয়ের সৃষ্টি করবে।
প্রকল্পে ১৫% বিনিয়োগে ভারতীয় মালিকানা ৫০%। বিদ্যুতের দাম পড়ছে দ্বিগুণেরও বেশি। উচ্ছেদ হচ্ছে ৭৫০০ পরিবার। কৃষিজ সম্পদ হারাচ্ছে দেশ। পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে বাংলাদেশের। কিন্তু ৫০% শতাংশ মালিকানা ভারতীয় কোম্পানির? এমন কেউ কি আছেন আমাকে বোঝাতে পারবেন এর যৌক্তিকতা ?


তথ্য সৌজন্যঃ পিনাকী ভট্টাচার্য


সুন্দরবন এতদিন আমাদের বাচিয়েছে কিন্তু এখন সুন্দরবনকে কে বাচাবে?



১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বডি সোহেলের মন ভালো নেই !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:২৫


আমাদের জাতীয় নেতাদের বংশধরেরা বড়ই অদ্ভুত জীবন যাপন করছেন। তাদের বাপ চাচাদের মধ্যে মত-বিরোধ থাকিলেও একে অপর কে জনসম্মুখে অপমান করেন নাই। এক্ষেত্রে নেতাদের প্রজন্ম পূর্বপুরুষ দের ট্রাডিশন ধরে রাখতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পত্রিকায় লেখা প্রকাশের ই-মেইল ঠিকানা

লিখেছেন মি. বিকেল, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৩৩



যারা গল্প, কবিতা, সাহিত্য, ফিচার বা কলাম লিখতে আগ্রহী, তাদের জন্য এখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতা, সাহিত্য পাতা ইত্যাদির ই-মেইল ঠিকানা দেওয়া হলো। পত্রিকায় ছাপা হলে আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তার দায়ভার কি সেনাবাহিনী নেবে? তাদের সমালোচনাকে অনেকে সেনাবাহিনীর সমালোচনা মনে করছে কেন?

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ২:২৯

বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এখনও আমাদের জন্য গর্ব এবং আস্থার জায়গা। কারণ দুর্নীতির এই দেশে একমাত্র সেনাবাহিনীই সেই প্রতিষ্ঠান যার আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় সুনাম এখনও আছে। কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রসঙ্গ: মৃতদেহ সৎকার এবং সঙ্গীতসৎকার....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৪৯

প্রসঙ্গ: মৃতদেহ সৎকার এবং সঙ্গীতসৎকার....

কথা সাহিত্যিক শরতচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বহু বছর আগে তার “শ্রীকান্ত” উপন্যাসে ইন্দ্রকে দিয়ে সর্বকালীন এবং সর্বজন গৃহীত একটি উক্তি করিয়েছিলেন, সেটি হলো,- ”মরার আবার জাত কি”!

মৃতদেহ সৎকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্প: শেষ রাতের সুর (পর্ব ২)

লিখেছেন আমিই সাইফুল, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৫০

রাফি সাহেবের পড়ে যাওয়ার খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল দ্রুত। সকালের মিষ্টি রোদ গাজীপুরের এই ছোট্ট গ্রামে যখন পড়ছে, তখনই কাজের লোক রহিমা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকল। সিঁড়ির নিচে রাফি সাহেব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×