এখনো রং ওঠা মানিব্যাগের লুকানো ভাঁজে তোমার চিরকুট
নতুন শহরের পুরাতন হোটেলের স্টিকি নোটে লেখা কবিতা
কেন ভালোবাসো আমায়
ক্যাসিনো বন্ধ হবার আগেই মাতাল হুল্লোরে
দলবেঁধে তোমাকে দেখতে যাবার ছল
মধ্যরাতের পাখিদের মত অর্থহীন কলকল
এখনো ঝমঝম নাচে, খুলির এক কোণায়
আমাদের হোটেল দুটো
আলাদাই ছিল সবসময়
বসে থেকেছি কাছাকাছি বারান্দায়
কাছাকাছি জানালায়
যদিও চাদরের কিছু দাগ এখনো অমলিন
যদিও এখনো লুকানো
গড়িয়ে পড়া সেই পেন্সীল
যদিও ড্রয়ারে ফাঁকে এখনো আটকে আছে
রাতের খাবারের বিল
ওই রাতে, তুমি ছিলে হলুদ পরী
একগুচ্ছো জোনাকী পোকা ঠোঁটে
তোমার গোলাপী কন্ঠ বেয়ে
হোটেলের সবুজ লনে, নেমে যাচ্ছিল সোনালী বিয়ার
আমি তোমার হৃদ অবধি নেমে যাওয়া বিয়ারের
অভীযাত্রা দেখছিলাম বসে
অপচয়ী বিয়ারের ফেনা গিয়ে দেখো
এখনো লুকিয়ে আছে ঘাসে
মাতাল ছিলাম, জীবনের মতই বেহেড মাতাল
কেননা প্রত্যাশা আমাকে শিখিয়েছে ভয়
বন্ধুত্ব আমাকে শিখিয়েছে জয়
আর ভালোবাসা, ঐ যে আলাদা হোটেল
সে আমার নয়
আর তাই সাহস
সেই দূর্দমনীয় সাহস আমায় শিখিয়েছে
জীবন মানেই ক্ষয়
মানিব্যাগে এখনো তোমার হলুদ চিরকূট
খুলির ভেতর এখনো তোমার জোনাকীর খুটখুট
সময়তো কিছু নয় শুধু স্মৃতির বুদ্বুদ
শেষ অবধি ঘাসে মিলিয়ে যাওয়া ফেনা
তখনো বুঝিনি আমি
হোটেলের বারান্দায়, রোদপোড়া চেয়ারগুলোর ছিল জানা।