প্যারিস রোড ধরে যখন হেটে যায় তখন নিভুনিভু সাঁজের আলো। আকাশ ছোঁয়া গাছগুলো ঘুমের কোলে ঢলে পড়ছে। আচ্ছা গাছ কি ঘুমায় ?? জানিনা , তবে কেন জানি দিনের আলোয় আমার আর প্যারিস রোড ধরে হাটা হয়ে উঠলনা।
রাবির প্যারিস রোডের গল্প বন্ধুদের মুখে অনেক শুনে ব্যাকুল আমিও মুগ্ধ যদিও তাতে ভরেছিল আলোআঁধারি। রিক্সা করে গাছগাছালির পথ মাড়িয়ে ঘুরে দেখলাম রাবি।
দুই দুইবার রাজশাহী গমনের হেতু ছিল একই।বিবাহ অনুষ্ঠানে যোগদান। সাথে বোনাস হিসেবে শহর ঘুড়ে দেখা।
যমুনা ব্রীজের বিশালতা উপভোগের আগেই উদ্বেগ ভর করবে আরও বিশালাকারের জেগে উঠা চর দেখে। যদিও চলতি পথের গতিময় আনন্দ উপভোগ্য হবে টোল রোড ধরে গাড়ি যখন রাজশাহী অভিমুখে ছুটবে। এ সড়কটার দুপাশে বিস্তির্ণ সবুজ।
শহরে ঢুকার মুখেই মতিহার থানায় অবস্হিত রাবি ক্যাম্পাস। সাথে লাগোয়া রুয়েট ক্যাম্পাস।
তারপরেই পাবেন সুন্দর শৈলীর মেয়রের কার্যালয়।
শহরের রাস্তাটাও পছন্দ হয়ে যাবে ডিভাইডারের জন্য যার পুরোটাই সবুজাবৃত হয়ে আছে সাজানো বাগানে। চলতে চলতে শহরের শেষে হাতছানি দিবে নির্লিপ্ত পদ্মা , যে আজ পদ্ম পুকুরের মত শীতল। সরকারী বাংলো গুলো দেখে হিংসাও হতে পারে ডিসি এসপিদের।
শহর রক্ষার টি বাঁধে উঠে এলেই হৃদয়বান যেকারো হৃদয় চৌচির হতে বাধ্য। পাঠ্য বইয়ে কি তবে এটাকেই প্রমত্ত পদ্মা বলা হয়েছিল ? ভুল করে নাত।
জেমসের গানের মতই-পদ্মার চরে দেখি ঝিকিমিকি বালুচর , ঝিকিমিকি বালুচর।
নয়নাভিরাম সূর্যাস্ত নয়ন জুড়োতে পারবেনা যখন চোখ বারেবারে হারাবে ধুধু বালুচরে।