যে যেভাবেই দেখিনা কেন হুমায়ুন আহমেদকে নিয়ে বাঙ্গালীর আগ্রহের কোন কমতি নেই।তার সব কিছুই খবর হয়ে আসে যদিও অনেকটা নিভৃতচারী তিনি। আমার ব্যক্তিগত ধারনা সেন্টমার্টিন (Click This Link) দ্বীপ কে আমাদের দৃষ্টিপটে প্রথম তুলে আনেন হু আ।তার সমুদ্র বিলাস নামে সেখানে থাকা বাড়ীতে আগত পর্যটকদের পদধূলী একবার পড়া খুবই সাধারন ঘটনা।
তেমনি তার আরেকটি অবকাশ যাপন /বিনোদন /শ্যূটিং স্পট হল নুহাশ পল্লী।এ নিয়েও মানুষের আগ্রহের ব্যাপারটা কম নয়।তথ্য চেয়ে ব্লগেও পোষ্ট আসে।
যাওয়ার ইচ্ছা ছিল অনেকদিন ধরেই।কোন উপায় পাচ্ছিলামনা।আমাদের এক বন্ধুর গার্লফ্রেন্ড জানাল তার সাথে হু আ প্রোডাকশনের স্বাধীন খসরুর সাথে পরিচয় আছে তাও আবার ফেসবুক থেকে।আমরা হতাশ।এই পরিচয়েত আর দাওয়াত আদায় করা সম্ভবনা।আমাদের অবাক করে দিয়ে দুইদিন পর সে জানাল যাবার ব্যবস্হা হয়ে গেছে ,গিয়ে খসরু ভাই এর নাম বললেই হবে।আর না ভেবেই রওয়ানা দিলাম।
গাজীপুরের খতিব বাড়ী শ্যূটিয় স্পটএর রাস্তা ধরে শেষ মাথায় হুমায়ুন আহমেদের এই আয়োজন। গেটে লেখা উন্নয়ন কাজের জন্য বন্ধ। না দেখে ফিরে আসব এমন ত হতে পারেনা। এমন ঘটেছিল একবারই সংসদ ভবনে।তখন ভিতরে যাওয়া যেত।আরও ভেতরে ঢুকতে চাইলে পুলিশ দিলনা।সাথে থাকা বন্ধুকে বললাম দেখিস একদিন সালাম দিয়ে সরে দাঁড়াবে ।
যায় হউক আমরা গার্ডকে বললাম ম্যানেজারকে ডাকুন।দশমিনিট পর উনি আসলেন।বন্ধুর জিএফ তাকে বলল আমরা ঢাকা থেকে ...........................খসরু ভাই..................................অনিচ্ছা সত্বেও ঢুকতে দিলেন ,কিন্তু আমাদের গাড়ীটা ঢুকাতে দিলেননা।
আমাদের ঢুকতে দিসে এইবা কম কি
ঢুকতেই হাতের ডানে সুন্দর একতালা ঘর।সাথে সুইমিংপুল। পরপর আরও কয়েকটি ঘর মনেহল শ্যূটিং এ ব্যবহৃত হয়।বিশাল সবুজ ঘাসের মাঠ।তাতে থাকা গাছের মধ্যে ঘর বানানো।
গরু আছে বেশ কিছু।গ্রাম্য শ্যূটিং এর জন্য কিছু ঘর আছে।শিশুদের জন্য দোলনা আর সাথে আছে বিশাল ওষধি গাছের বাগান।
সবশেষে পুকুর। ঐখানেই বসে ছিলাম অনেকক্ষন।
সুন্দর গোছানো , ভাল লাগবে , তবে আহামারি কিছুনা।
নুহাশ পল্লীর সীমানার বাইরের বাগান।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:২৫