অনেক দিন ধরেই ভাবছি যাই জমিদার বাবুর সাথে একবার দেখা করে আসি। জোঁড়াসাকোয় শেষ দেখা হয়েছিল গত বছরের শুরুতে।শিলাইদহে একবার দেখা করব এই ভেবেই যাওয়া।
পথে আবার স্বগৌরবে নিজের অস্তিত্ব ঘোষনা করে আস্তানা গেড়ে বসে আছেন এক ফকির।ফকির আর জমিদারের নিবিড় সহাবস্হান দুরত্ব বজায় রেখেই।ফকিরের কাছেই আগে গেলাম।আফটারঅল দুদিনের দুনিয়া শেষে কিবা আসে যায় আমীর আর ফকিরে।ফকির লালনশাহ।তার দর্শন শেষে জমিদারের পথে পা বাড়ায়।
সময়ের একটু আগেই পৌঁছে গিয়েছিলাম।জমিদারের মর্জি , দেখা দিলেন না। অগত্যা বাবুর বাগানে প্রবেশ। জমিদার বাবুর গাছের আম জরিমানার ভয়ে খাওয়া হলনা , পাইক পেয়াদারা কখন দেখে ফেলেন।গাঁটের পয়সা দিয়ে কুলফি খেয়ে মনে হল না খেলে বিশাল মিস হয়ে যেত।
স্বাগত জানাল বিখ্যাত বকুলতলা।পাশেই ঘাট বাঁধানো পুকুর। আর সামলাতে না পেরে পাইক পেয়াদার ভয় ভুলে নেমে পড়লাম রবিবাবুর পুকুরে।জানিনা এখানে তার কতটুকু স্মৃতি আছে , আমরা নিয়ে আসলাম এক ঘন্টার প্রান জুড়ানো স্মৃতি।
অবশেষে ডাক পড়ল জমিদারের কুঠীতে। শিলাইদহ রবীন্দ্রনাথের কুঠীবাড়ি।খাজনা আদায়ের তরে তার আগমন ঘটত এখানে।
খাজনা আদায়ের টেবিল , আলমিরা, দুখানা পালকি, বুকশেলফ আর অনেক ছবি স্মৃতির সমাহার। আরও আছে চেয়ার স্টীলের বোট।মন জুড়িয়ে যায় জমিদারের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে।
এভাবেই শেষ হল আমার জমিদার দর্শন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠীবাড়ি।
আপনারাও চলুন আমার ক্যামেরার চোখে দেখে আসুন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠীবাড়ি।
নোবেল সংবাদ