somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দীর্ঘদিন পর আজ ব্লগ লিখলাম

২৭ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই টার্ম এর ক্লাস খুলার পর সারাদিন এত ব্যস্ত থাকি যে ব্লগ এ এখন আর তেমন আশা হয় না । সারাদিন ক্লাস শেষ এ বাসায় এসে দেই একটা ঘুম , আর উঠে সেশনাল এর নানা অ্যাসাইনমেন্ট করতে করতে রাত হয়ে যায় ,তারপরের দিন সকালে উঠার তাগিদে তাই আগে আগেই ঘুমিয়ে পড়ি ।

অসহ্য একটা টার্ম যাচ্ছে এবার , এমন সব সাবজেক্ট উফফ X( । সবচেয়ে জঘন্য ওস এর সেশনাল। জীবন হারাম হয়ে যাইতেসে :(( । আর যা গরম পড়সে এবার বাসায় আসলে মনে হয় সারাদিন কামলা খেটে আসছি ।

আমার মতন পানসা মানুষের জীবনে গত কয়েকদিন এ কিছু ঘটনা বহুল জিনিস ঘটে গেসে ।
১) আমার একটা ল্যাপটপ এর অনেক শখ ছিল অনেক দিন ধরে , আমি কিছু টাকা ও জমাইতেসিলাম আর আম্মুও জমায়ে রাখসিল । কিন্তু হঠাৎ গাড়ীর জন্য টাকা লাগাতে ওই টাকাটা আম্মুর খরচ হয়ে গেসিল তাই আমার আর ল্যাপটপ কিনা হইল না । কিন্তু আমার ভাই তার বহু প্রিয় ল্যাপটপটা আমাকে দিয়ে দিসে কয়েকদিন আগে :D:D । তাই আমার মতন ফকির ও এখন একখান ল্যাপটপ এর মালিক (যদিও এখন অভ্যস্ত হই নাই চালানোতে :P )
২)আমার আম্মু কখনই আমাকে বাইরে কোথাও থাকতে দেয় না ,কিন্তু এবার প্রথম বারের মতন একদিন হল এও থেকে আসলাম :) । আমার জন্য খুবই মজার একটা অভিজ্ঞতা । ওস এর গ্রুপ অ্যাসাইনমেন্ট করার জন্য বৃহস্পতিবার হলে যাওয়ার পর দেখি কাজ তো কিছুই আগাচ্ছে না । ক্লাসের বাকি সবার সাথে কথা বলে দেখি সবারই একই অবস্থা । এদিকে পিসিটিসি নিয়া হলে গেসি কোন কাজ না করে আবার ওইগুলা নিয়া বাসায় আসার কোন মানে হয় না । তাই আম্মুর কাছ থেকে পারমিশন নিলাম একদিন হলে থাকার , সাথে পারশিয়ার উদাহরণ দিতে ভূ্ল করলাম না যে ওর আম্মাতো ওকে থাকতে দেয় :P । আম্মুযে কেমনে রাজী হয়ে গেল আমার বিশ্বাসই হল না :| । আমার গ্রুপ পার্টনার মুনিয়া তখন টিউশনিতে গেসিল ও এসে আমাকে এখনও হলে দেখে পুরাই অবাক , আরো অবাক আম্মু আমাকে থাকতে পারমিশন দিসে দেখে :P । গত বারও আমাদের ডাটাবেস প্রজেক্ট ছিল আম্মু একদিনও আমাকে থাকতে দেয় নাই X( । হলের গেট ১০ টায় বন্ধ হয় , আম্মু ঠিক পৌনে ১০ টায় হলেও এসে আমাকে নিয়া গেসে। আমার তখনও বিশ্বাস হইতে ছিল না , আমি ১০০% নিশ্চিত ছিলাম একটু পরেই আম্মু ফোন করে বলবে তোমার থাকা লাগবে না, আমি নিতে আসতেসি :P । আম্মু ঠিকই একটু পর পর ফোন করতেসিল , আসলে আমাকে ছাড়া রাতে থাকার অভ্যাস নাই যে , কোনদিনই থাকে নাই , রাতে খাব কি!!! হলেতো বাইরের কারো খাওয়ার সিস্টেম নাই , আম্মু ঠিকই ড্রাইভার ঊনাকে দিয়া খাওয়া পাঠাইল । পারশিয়া ও বাসা থেকে তরকারি নিয়া আসছিল , সবাই মিলে রাত ১১ টায় খেতে বসলাম। খিদাও লাগসিল সবার । আমার আর পারশিয়ার তরকারী আর ভাত আর বিপাশার হলের রাতের খাবার সব মিলায়ে একটা পিকনিক পিকনিক ভাব হল, এত মজা করে মনে হয় অনেক দিন খাই নাই :) । তারপর বসা হল আবার ওস নিয়া। সেই ট্রায়াল এন্ড এরোর প্রসেস ...। আর ওদিকে ফেডোরার ভার্শন নিয়া তখন সবার মধ্যে তুলকালাম অবস্থা B-) । একই দিনে মানুষজন ৩/৪টা ফেডোরার ভার্শন ইন্সটল দিয়া ফেলতেসে দেখতে কোনটায় কার্নেল এর কোন ভার্শন ব্যবহার করে সিস্টেম কল ইমপ্লিমেন্ট করা যায় । মুনিয়াতো এই কাজেই ব্যস্ত এই ব্লক থেকে ওই ব্লকে দৌড়াদৌড়ি । সব শেষ এ রাত ২:৩০ টায় সবাই ক্লান্ত কাজের কাজ কিছু হয় না /:) । এদিকে ঘুম এ সবার চোখ বন্ধ হয়ে আসতেসে । তখন আমি বললাম চল নিচের বাগান থেকে ঘুরে আসি । বাকি ৩ টাও রাজি হয়ে গেল । নিচে গিয়ে দেখি আর্কির মানুষজন এখনও স্টাডি রুমে কাজ করতেসে। বাইরের পরিবেশটা যে কি অপূর্ব সুন্দর লাগতেসিল আমার !!!!!! আসলে এত রাতে কখনই আমি বাসার বাইরে যাই নাই আগে । তারপর ৪ জন এ বসে গল্প শুরু করলাম, সবার ঘুম যে কোই উড়ে গেল :) । সোয়া ৩ টার দিকে সবাই ঘুমাতে গেলাম।
আমার জন্য এটা খুবই মজার একটা অভিজ্ঞতা ছিল :)

অনেক দিন পর কিছু লিখলাম তাও যা লিখলাম সবই ফাঊ প্যাচাল । কেঊ পরে বিরক্ত হলে নিজগুনে ক্ষমা করে দিয়েন ;)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:৩৪
২৩টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×