২৬। তরমুজ (Water Melon)

পুষ্টিগুণ: এটি ক্যালসিয়াম ও লৌহ সমৃদ্ধ পুষ্টিকর ফল।
ঔষধিগুণ: পাকা ফল মুত্র নিবারক, দেহকে শীতল রাখে, অর্শ লাঘব করে। বীজের শাঁস খেলে লিভারের ফোলা ভাব কমে। আমাশয়, বীর্যহীনতা ও প্রস্রাবের জ্বালা-পোড়া বন্ধ করে। ফল ও বীজ মাথা ঠান্ডা রাখে।
২৭। পানিফল (Water Chestnut)

পুষ্টিগুণ: পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফল।
ঔষধিগুণ: ফলের শুকনো শাঁস রুটি করে খেলে অ্যালার্জি ও হাত-পা ফোলা রোগ উপশম হয়। পিত্ত-প্রদাহ, উদরাময় ও তলপেটে ব্যথা উপশমে পানিফল খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। বিছা পোকা কামড়ালে যন্ত্রণায় থেতলানো ফলের প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়।
২৮। আমলকী (Aonla)

পুষ্টিগুণ: প্রচুর ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল।
ঔষধিগুণ: আমলকীর রস যকৃত, পেটের পীড়া, হাঁপানি, কাশি, বহুমূত্র, অজীর্ণ ও জ্বর নিরাময়ে বিশেষ উপকারী। এর পাতার রস আমাশয় প্রতিষেধক ও বলকারক। আমলকীর রসের শরবত জন্ডিস, বদহজম ও কাশির হিতকর। হাঁপানি, কাশি, বহুমূত্র ও জ্বর নিরাময়ে এর বীজ ব্যবহার করা হয়।
ব্যবহার: আমলকী থেকে চাটনি, আচার তৈরি হয়।
২৯। খেজুর (Date Palm)

পুষ্টিগুণ: ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল।
ঔষধিগুণ: খেজুরের রস ক্রিমিনাশক হিসেবে পরিচিত। তাই সাধারণত সকালে খালি পেটে পান করা হয়। খেজুর হৃদরোগ, জ্বর ও পেটের পীড়ায় উপকারী ও বলবর্ধক। কম্পজ্বর নিরাময়ে এর বীজের গুঁড়া ব্যবহার করা হয়। কান্ড থেকে নির্গত আঠা পাতলা পায়খানা ও প্রস্রাবের পীড়া উপশম করে।
৩০। কদবেল (Elephant’s Foot Apple/Wood Apple)

পুষ্টিগুণ: এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং স্বল্প পরিমাণে লৌহ, ভিটামিন বি-১ ও ভিটামিন সি আছে।
ঔষধিগুণ: কদবেল যকৃত ও হৃদপিন্ডের বলবর্ধক হিসেবে কাজ করে। বিষাক্ত পোকামাকড় কামড়ালে ক্ষতস্থানে ফলের শাঁস এবং খোসার গুঁড়ার প্রলেপ দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। কচি পাতার রস দুধ ও মিছরির সাথে মিশিয়ে পান করলে ছোট ছেলেমেয়েদের পিত্তরোগ ও পেটের অসুখ নিরাময় হয়।
ব্যবহার: কাঁচা ও পাকা কদবেল খাওয়া হয়। এ ছাড়া আচার, চাটনি বানাতেও কদবেল ব্যবহৃত হয়।
পূর্ববতী পর্বসমূহ:
১ম পর্ব: আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, জাম
২য় পর্ব: কুল, কলা, আমড়া, পেঁপে, আনারস
৩য় পর্ব: নারিকেল, কামরাঙ্গা, লেবু, বাতাবি লেবু, সফেদা
৪র্থ পর্ব: শরিফা, চালতা, করমচা, বেল, লটকন
৫ম পর্ব: তেঁতুল, তাল, ডালিম, জামরুল, জলপাই
উৎস: কৃষি তথ্য সার্ভিস, কৃষি মন্ত্রণালয়।