২১। তেঁতুল (Tamarind)

পুষ্টিগুণ: তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ ও ম্যাগনেসিয়াম আছে।
ঔষধিগুণ: পেটের বায়ু, হাত-পা জ্বালায় তেঁতুলের শরবত উপকারী। তেঁতুলের কচি পাতা সিদ্ধ করে ঠান্ডা করে খেলে সর্দি ভাল হয়। তেঁতুলের টার্টারিক এসিড মানুষের হজমে সহায়তা করে। মাথাব্যথা, ধূতরা ও কচুর বিষাক্ততা এবং অ্যালকোহলের বিষাক্ততা নিরাময়ে ফলের শাঁসের শরবত ব্যবহৃত হয়। এটা ব্যবহারে প্যারালাইসিস অঙ্গের অনুভূতি ফিরিয়ে আনে। গাছের ছালের চূর্ণ ব্যবহারে দাঁতব্যথা, হাঁপানি, চোখ জ্বালা-পোড়া নিরাময় হয়।
ব্যবহার: চাটনি, আচার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
২২। তাল (Palmyra Palm)

পুষ্টিগুণ: ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার।
ঔষধিগুণ: তালের রস শ্লেষ্মানাশক, মূত্র বৃদ্ধিকারক, প্রদাহ ও কোষ্ঠকাঠিন্য নিবারণ করে। রস থেকে তৈরি তালমিসরি সর্দি-কাশির মহৌষধ। যকৃতের দোষ নিবারক ও পিত্তনাশক।
ব্যবহার: তালের রস বিভিন্ন প্রকার পিঠা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। কচি তালের শাঁস খাওয়া হয়।
২৩। ডালিম (Pomegranate)

পুষ্টিগুণ: ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল। এতে ভিটামিন সি রয়েছে।
ঔষধিগুণ: ডালিমের রস কুষ্ঠরোগের উপকারে আসে। গাছের বাকল, পাতা, অপরিপক্ক ফল এবং ফলের খোসার রস পাতলা পায়খানা, আমাশয় ও রক্তক্ষরণ বন্ধ করে।
২৪। জামরুল (Wax Apple)

পুষ্টিগুণ: এটি একটি ক্যারোটিন ও ভিটামিন বি-২ সমৃদ্ধ ফল।
ঔষধিগুণ: এটা বহুমূত্র রোগীর তৃষ্ণা নিবারনে উপকারী।
২৫। জলপাই (Indian Olive)

পুষ্টিগুণ: জলপাই ফলে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। এতে ক্যালসিয়াম ও লৌহ বিদ্যমান।
ঔষধিগুণ: জলপাইয়ের তেল ম্যাসাজ অয়েল, প্রলেপ ও রোচক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহার: চাটনি ও আচার তৈরি হয়।
পূর্ববতী পর্বসমূহ:
১ম পর্ব: আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, জাম
২য় পর্ব: কুল, কলা, আমড়া, পেঁপে, আনারস
৩য় পর্ব: নারিকেল, কামরাঙ্গা, লেবু, বাতাবি লেবু, সফেদা
৪র্থ পর্ব: শরিফা, চালতা, করমচা, বেল, লটকন
উৎস: কৃষি তথ্য সার্ভিস, কৃষি মন্ত্রণালয়।