১৬। শরিফা (Custard Apple)

পুষ্টিগুণ: ক্যারোটিন, ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সুস্বাদু ফল।
ঔষধিগুণ: পাকা ফল বলকারক, বাত ও পিত্তনাশক, তৃষ্ণা শান্তিকারক, বমননাশক, রক্তবৃদ্ধিকারক ও মাংশ বৃদ্ধিকারক। এর শিকড় রক্ত আমাশয় রোগে হিতকর।
১৭। চালতা (Indian Dellenia)

পুষ্টিগুণ: চালতায় ক্যালসিয়াম ও শর্করা বিদ্যমান।
ঔষধিগুণ: কচি ফল পেটের গ্যাস, কফ, বাত ও পিত্তনাশক। পাকা ফলের রস চিনিসহ পান করলে সর্দি-জ্বর উপশম হয়।
ব্যবহার: চাটনি, আচার তৈরিতে চালতা ব্যবহৃত হয়।
১৮। করমচা (Karonda)

পুষ্টিগুণ: করমচা থেকে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে পটাশ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ ও ভিটামিন সি।
ঔষধিগুণ: কাঁচা করমচা গায়ের ত্বক ও রক্তনালী শক্ত করে এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। পাতা গরম পানিতে সেদ্ধ করে পান করলে পালাজ্বর নিরাময়ে উপকার পাওয়া যায়। শিকড়ের রস গায়ের চুলকানি ও কৃমি দমনে সাহায্য করে।
১৯। বেল (Wood Apple/Bael)

পুষ্টিগুণ: প্রচুর পরিমাণে শ্বেতসার, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ক্যালসিয়াম ও লৌহ রয়েছে।
ঔষধিগুণ: বেল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও আমাশয়ে উপকার করে। আধাপাকা সিদ্ধ ফল আমাশয়ে অধিক কার্যকরী। বেলের শরবত হজমশক্তি বাড়ায় এবং তা বলবর্ধক। বেলের পাতার রস মধুর সাথে মিশিয়ে পান করলে চোখের ছানি ও জ্বালা উপশম হয়। পাতার রস, মধু ও গোল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে জন্ডিস রোগ নিরাময় হয়।
ব্যবহার: কাঁচা ও পাকা বেল সুস্বাদু খাবার। পাকা বেলের শরবত/জুস তৈরি করে খাওয়া যায়।
২০। লটকন (Burmese Grape)

পুষ্টিগুণ: লটকন একটি ভিটামিন বি-২ সমৃদ্ধ ফল।
ঔষধিগুণ: লটকন খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় ও তৃষ্ণা নিবারণ হয়। এর শুকনো পাতা গুঁড়া করে খেলে ডায়রিয়া ও মানসিক চাপ কমে।
পূর্ববতী পর্বসমূহ:
১ম পর্ব: আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, জাম
২য় পর্ব: কুল, কলা, আমড়া, পেঁপে, আনারস
৩য় পর্ব: নারিকেল, কামরাঙ্গা, লেবু, বাতাবি লেবু, সফেদা
উৎস: কৃষি তথ্য সার্ভিস, কৃষি মন্ত্রণালয়।