আজ বন্ধু দিবস। জানি সবাই ইতিমধ্যে শুভেচ্ছা জানিয়ে দিয়েছেন আপন আপন বন্ধুদের। অন্যান্য সব দিবসের মত বন্ধু দিবস কিন্তু কোন নির্দিষ্ট দিবসের বাঁধনে আবদ্ধ নয়। কারণ শত প্রতিকূল অবস্থায় যে সবসময় সবখানে পাশে থাকে তার নামই আমরা দিয়েছি বন্ধু আর বন্ধুর সাথে কাটানো প্রতিটা দিবসই তো 'বন্ধু দিবস', তাই নয় কি!!
আচ্ছা, যদি জিজ্ঞেস করা হয় বন্ধুর সাথে কোন কাজটা করতে আপনি সবচেয়ে বেশি মজা পান?? জানি সবাই এককথায় ভোট দিবেন এই অপশনে - "বন্ধুকে রাগানোর মত মজার কাজ এই দুনিয়াতে নাই" বাঁশ, তক্তা, চেয়ার, টেবিল, লাথিগুতা, চিমটি, খামচি যে যেমনি পারি তেমনিভাবে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত খেপিয়ে যায় সবচেয়ে কাছের আপন বন্ধুটিকে!! আর এই কাজটি করতে যে কোন কূটকৌশলের সন্ধানে দুর্বল অলস মস্তিষ্কও মুহুর্তেই হয়ে উঠে বুলডোজারের মত শক্তিশালী ও কার্যকরী।
আর এই চিন্তা মাথায় রেখে এই বন্ধু দিবসে হাজির হয়েছি বন্ধুকে রাগানো/ক্ষেপানোর কিছু পুরনো ও ১০০% কার্যকরী টিপস নিয়ে।
টিপস ১ - অবসর সময় কাটাইতে বন্ধু বাসায় আসলে সব চ্যানেল বাদ দিয়ে শুধু বিটিভি দেখান। বিশেষ করে রাত আটটার খবর।
ছবি বড় করে দেখুন
টিপস ২ - অবশেষে জোর করে গেলানো খবর হজম করতে না পেরে বন্ধু বাথরুমে গেলে বাইরে থেকে যত্ন সহকারে ছিটকানি লাগিয়ে দিন।
ছবি বড় করে দেখুন
টিপস ৩ - বন্ধু আপনার পি.সি. থেকে লগইন করেছে অথবা আপনি বন্ধুর বাসায় পি.সি. ঘাটতে গিয়ে যদি দেখেন বন্ধুটি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগআউট না করেই অন্যকাজে নিমগ্ন আছে, তবে আর দেরী কেনো, মুহুর্তেই সেরে ফেলুন হাতের কাজখানা আর অপেক্ষা করুন বন্ধুর প্রতিক্রিয়া দেখার।
ছবি বড় করে দেখুন
টিপস ৪ - পাঁচ টাকায় ৫০০ টা এস.এম.এস কিনে বন্ধুকে অনবরত মেসেজ দিন। আর প্রতিটি মেসেজে লিখবেন "গাধা গাধা গাধা গাধা . . . . . ."
ছবি বড় করে দেখুন
টিপস ৫ - হঠাৎ করে কল দিন বন্ধুকে। আর্জেন্ট কোন একটা জায়গায় তাড়াতাড়ি আসতে বলে, সেট অফ করে আরামসে একটা ঘুম দিয়ে নিন। :-< :-<
ছবি বড় করে দেখুন
টিপস ৬ - যদি আপনার বন্ধুর মেজাজ তীব্র গরম করতে চান, তাহলে তাকে ধরে সংসদ এর অধিবেশন দেখতে বসিয়ে দিন। তবে এইসময় আপনি পাশে না থাকাই উত্তম।
ছবি বড় করে দেখুন
টিপস ৭ - বন্ধু কোন জায়গায় আরামসে বসে আছে। এমন সময় পিছন থেকে এসে একখানা চটকানা মেরে দৌড় দিন। অতঃপর নিরাপদ দুরুত্বে গিয়ে অসহায় মুখ করে ক্ষমাভিক্ষা করুন। :#> :#>
ছবি বড় করে দেখুন
টিপস ৮ - বন্ধু একটু আতেল প্রকৃতির। অন্যকোন উপায়ে সহজেই রাগে না। আহা চিন্তার কিছু নেই। তার রুমে গিয়ে গ্রুপস্টাডির ছলে সযত্নে তৈরি করা কোন নোটের কিছু অংশ ছিড়ে দিন, আর দেখুন প্রতিক্রিয়া কি হয়!!
ছবি বড় করে দেখুন
টিপস ৯ - বন্ধুকে রাত তিনটার দিকে ফোন করে ব্যস্ত সুরে বলুন, "দোস্ত, তাড়াতাড়ি কল দে। কাহিনী হইসে.." অতঃপর সদ্য ঘুম ভেঙ্গে উঠা বন্ধু কলব্যাক করলে তাকে বলুন, ''কাহিনী হইল, তুই নাকি এখন ঘুমাইতেছিলি??"
ছবি বড় করে দেখুন
টিপস ১০ - (এইটা কিপটা বন্ধুদের সাইজ করার মহাতরিকা) সুন্দর একটা দিন দেখে ভালো কোন হোটেলে চলে যান বন্ধুসহ। ধুমাইয়া খাওয়া দাওয়া করুন আর বন্ধুর খাওয়া শেষ হওয়ার মিনিট পাঁচেক আগে যেকোন একটা বাহানা দেখিয়ে চেয়ার ছাড়ুন এবং এদিক ওদিক না তাকিয়ে সোজা চলে আসুন বাসায়। ওহ তার আগে মোবাইল সেট অফ করতে ভুলবেন না।
ছবি বড় করে দেখুন
বন্ধুর সকল প্রকার রাগের মূল ওষুধঃ
বন্ধুর সকল প্রকার রাগের একটাই ওষুধ এবং সবশেষে একটাই কথা, যতই বন্ধুর মেজাজ খারাপ করুন বা বিগরিয়ে দেন না কেন, আস্তে করে শুধু বলবেন, "দোস্ত, চল তোরে খাওয়ামু। কি খাবি???"
দেখবেন সব ঠিক!!! বন্ধুই তো.. কতক্ষণই বা আর রাগ করে থাকতে পারবে বলুন??
ছবি বড় করে দেখুন
পরিশিষ্টঃ
একান্ত কিছু অনুভূতি আর ভাললাগার সাথে মিশে থাকে ‘বন্ধু’ নামের সেসব প্রিয় মুখ। এই সম্পর্কের কোন বাঁধন থাকে না, খাটে না কারো চোখ রাঙ্গানি। তাই সব কিছুই হার মানে এর কাছে।
অনেক বন্ধু পেয়েছি, হারিয়েছি.. আজকের দিনে অনেকের মুখ চোখের সামনে ভেসে আসছে। আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ, তাদের বন্ধু হিসেবে পাওয়ার জন্যে। সবাই ভালো থাকুক, বন্ধুত্ব হোক আরো অটুট, বিশ্বস্ততার প্রতীক। পৃথিবীর ‘বন্ধু’ নামক সবার জন্য আমার শুভ কামনা রইলো।
আর হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের জন্য রইলো এই কথাগুলো, গানের সুরে -
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৬