সোৎকন্ঠ আহবানে নির্বেদ্য ইশারা
আশংসু হিয়াতে অভিশঙ্কা ধারা
আলোড়িত ধরণী আর প্রফুল্ল শশি
তবু বিসন্নতা ঘিরে এ হৃদয় যেন দূরদ্বীপবাসী
নির্জীব মরুর অবসাদে
সংহরণ জোটে মম ইদুর ললাটে
ধরণীটা আমার পরিপোষণে তোমার
হয়ে যেত প্রায় স্বর্গালোকের আধার।
অলীক সে অভিলাষ!
তাই নিয়ত এই ভাগ্যের নির্মম পরিহাস
শুধু অপারগতাই লেখা ছিল বুঝি ললাটে
যেন নরকজ্বালা হল সার
তাই চাতকের এ ধূসর বুকে
সাগরের মত নীলে সুনামীর প্রলয়ভার।
তবু ভাবি বসে নিরালায়
এ হৃদয়ের করিডোরে
দূর করে এ প্রাণের বিরহ সম্ভার;
ভেঙে যাওয়া এ বুকের পাঁজরে
কদমে কদম ফেলে
আঙুলে আঙুলে ছুঁয়ে
কোন এক আকুতি ঘিরে
হত যদি অভিষেক তোমার।
সুখের প্রদীপ জ্বেলে লিখা হত অভিধান
তাই এ অযাচিত অরাতিদমনে প্রাণের অভিলাষ
পাখির নরম পালকে মুক্ত হাওয়ায়
বাস্তবতা পেত যদি মিলনের অনভিপ্রায়।