বর্তমান অতীতের দর্পন
বর্তমান অতীতেরই কাহন
বর্তমানে অতীতের চেহারা ভেসে ওঠে
জেমস হাটনের সেই বিখ্যাত সূত্রের মত
"প্রেজেন্ট ইজ কী টু দা পাস্ট"
আজিকের পৃথিবীতে যেভাবে সূর্য ওঠে
চন্দ্র জোছনা বিলোয়—তারারা জ্বালে মিটিমিটি আলো
এ পৃথিবীর চিরন্তন রীতি —সুদূর অতীতেও এমনটি ছিলো।
আজিকের ফসিল—ওলী ম্যামোথ কিংবা ডাইনোসর
তাও বলে দেয় বর্তমান কিছু নয় যেন শুধু তারা অতীতের ধারাবহিকতার।
আজিকের সাগরের ঢেউ কিংবা জলজ জোয়ার ভাটা
ঠিক এমনটি ছিল সুদূর অতীতে যেমতি চন্দ্র-সূর্যমাখা।
আজিকের এই অবস্থাটিও সব নিয়ামকে ঘেরা অতীতের
ভাল মন্দের মিশেলে তা চলার পথ হয়েছে আজি পথিকের
আজিকের এই দিনটি তাই অন্য কিছু নয়
অতীতের দিনগুলির ফলে তা সংঘটিত হয়।
অতীতের জৌলুস—তাতে যদি কোন ভাটা পরে থাকে
অতীতের আনন্দ গান—তাতে যদি বিষাদের সুর জাগে
সেটির জন্য আজিকের দিনটি দায়ি নয়
সেটির বীজ বোপিত হয়েছে কোন এক আগে নিশ্চয়
আজিকের এই দিনে যদি অযোগ্যতা ভর করে
তার দায় বর্তায় কার ঘাড়ে?
বর্তমানে হাতে খড়ি হয়েছে যার —দোষ ঘাড়ে চাপেনা তার
সবই পুরাতনের ঘাড়ে এসব ব্যর্থতাভার।
যদি অতীতের কোন রাতে সাফল্যের কথা থাকে
সেটিও অতীতের কাধে চড়ে ঘটেছিল রাতের অনুরাগে
মৃত্যু শাসিত এই পৃথিবীতে সুযোগ নেই পিছু হটবার
নতুন পুরুনো মিলেই আসে যদি সুদিন আবার!
জেমস হাটনের সেই যুগান্তকারী সূত্রের মত
বর্তমান অতীতের প্রতিচ্ছবি
গোধূলীর সোনার আলোয় যেমতি — নিত্য অস্তরবি।