এই বাংলার প্রন্তরে বায়ান্নর ফাল্গুনে
দুখিনি বর্ণমালা ভেঙে পড়ে ক্রন্দনে
মুছে দিবে বাংলা তাই মিলিয়েছিলো হাত
কুচুটে সব মিলে সৃজেছিল তিমির রাত
করে রুদ্ধ টুটি —প্রিয় বাংলা ভাষার
হাজার শত্রু জুটি —নেভাতে আলো আশার।
দুখিনি বর্ণমালা তাই নিরবে নিভৃতে কাঁদে
বেদনার অনুভবে।
বাংলার দামাল ছেলের দল উচ্ছল— চঞ্চল
হয়েছিল যে আগুয়ান
নিয়েছিলো বুক পেতে
শকুনীর বুলেট বান— তাজা রক্ত ঢেলে
তিমির আঁধার ঠেলে —দুখিনি বর্ণমালার
দুঃখ ঘুচিয়ে দিলো—
বিজয় সূচিত হলো —কাঙ্খিত বিজয় ,মায়ের ভাষার
অমর একুশে আজ বিশ্বজুড়ে মানুষের-মানবতার।
মাতৃভাষার বর্ণমালা মতৃদুগ্ধের মত, শ্রবণে- বচনে
মিশে গিয়ে চেতনায় ,তৃপ্তি দানে অনুভবে- প্রাণে।
একুশ আসে ফিরে
একুশ আসে ফিরে ফুলের নুপুর পরে
ফাগুন হাওয়ায় বাংলা মায়ের ঘরে
_______________নাঙা পায়ে।
ভোরের শিশির ভেজা তাজা রক্তগোলাপে,
প্রাণের ছোঁয়া লাগে চেতনারা সব জাগে
_______________গান গেয়ে।
ফাগুনের ছুঁয়ায় রাজপথে ,সবখানে
আনন্দমাখা বেদনায় ফুলের বর্ষা নামে
_______________অশ্রুনয়নে।
তিমিরহারা ভোরে বাংলার ঘরে ঘরে
শহীদ স্মৃতি স্মরণে মুক্ত পাখিরা গায়
______________ শ্রদ্ধামনে।
বাঙলা বর্ণমালা তৃষ্ণা মেটায় প্রাণে
স্বপনে, বচনে ,অমর একুশে গানে
______________ মুগ্ধতানে।
দৃষ্টি আকর্ষণঃ এই একুশে চলুন সমস্বরে বলি
একুশ আমার চেতনা______ একুশ আমার বিশ্বাস
একুশ আমার প্রেরণা ______একুশ আমার নিশ্বাস ।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবেসের ভাষা শহীদও সৈনিকদের শ্রদ্ধাঞ্জলী।
ছবি নেট