দিন এবং দ্বীন দুটোই চলে যায় সময়ের হাত ধরে
'মনুষ্যত্ব' তখন টাকায় বিলোয় নষ্ট রাজনীতির মেলায়।
ক'দিন আগেও যারা হাত মিলিয়ে বাঁচিয়েছিল প্রান,
আজও একই হাত, মাঝে কিছু সময় বিপ্রতীপ!
কি এমন হয়েছিল? কেন? উত্তর জানা নেই।
মুখোমুখি তারা, আজ ব্যস্ত রক্তের নেশায়।
জাদুঘরে আর নতুন কোনো জায়গা ফাঁকা নেই।
নাহ, কোন মানুষ নয়, রক্তে রক্তে ডুবে গেছে সব!
"মানুষ" উপাধি হারিয়ে সবাই যখন ব্যস্ত পশুর নাম নিতে;
পশুরাও তখন নাখোশ, আমরা "মানুষ" রা যে আরো নিচের স্তরের!
একদিকে অশ্রুর জল রক্তে মিশে একাকার,
অন্যদিকে চলে উৎসবের বাজি, খানিকের তৃপ্তির ঢেকুন!
কিছুদিন পরে আবারো চলে, বিপরীতের লাশ।
ইনিয়ে বিনিয়ে কেউ 'মানবতা' বেচে হাটে।
একসময় সব শান্ত, কোথাও নেই কেউ।
বুঝলেন না! কেন? প্রকৃতি নিয়েছে শোধ শেষ দানে!
সব শেষ, রয়ে যাওয়া ধ্বংসের নগরীতে,
প্রকৃতি আবার সাজাতে বসে আগের মত।
না না, আগের ভুল নয়; আর মানুষ চায় না সে!
বিলুপ্ত হওয়ার আগের শেষ চিহ্নটি তখন জেগে উঠে।
ক্ষীণ ভাবে ভেসে আসে কারো কন্ঠ, শেষ বারের মত
"নতুনের আলো, আমিও ছিলাম একদিন!
তোমরা যারা আজ নতুনের সংসারে, বুঝে নিও।
'মানুষ' হওয়ার অভিশাপ নিও না,
প্রকৃতির মাঝে গাছ হয়ে বেঁচে থেকো অনন্তকাল।''