সেই ছোট বেলা থেকে আমরা সবাই বাগধারা পড়েছি। কিন্তু কখন কি ভেবে দেখেছি এই “বাগধারা” শব্দটির আগমন কোথা থেকে হয়েছে? কাউকে কি এই শব্দ উদ্ভাবন করতে গিয়ে বড় কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছিল কিনা? কাল্পনিক হলেও চলুন জেনে নেই কি ভাবে আই বাগধারা শব্দের সৃস্টি।
.....এক দিন এক বালক নদীর তীর ধরে হাটছিল। বনের পাশ দিয়ে এঁকেবেঁকে গিয়েছে নদী টি। তার খুব ভালো লাগছে হাটতে। হাটতে হাটতে কখন সে বনের কাছে চলে গেছে বুঝতেই পারল না।বালক টি পারফিউম ব্যবহার করত না! তাই তার গায়ের গন্ধ যেয়ে লাগে এক বাঘের নাকে। বনের ভিতর থেকে বেরিয়া আসে বাঘ টি। বালক টি ভয় পেয়ে যায়। তারাতারি লাফ দিয়ে পরে নদীতে। বাঘ টি নদীর তীরেই অপেক্ষা করতে লাগল বালক টির জন্য। বালক টি বুঝতে পারল যে বাঘ টি পানিতে নামবে না। তাই কি করবে তাই ভাবছিল। ঠিক তখন ই আবার একটি কুমিড়কে নদীতে দেখল বালক টি। বালক টি খুব ভয় পেয়ে গেল। আর বলতে লাগল, এই কোন বিপদের মাঝে পড়লাম ? বাঘের ধরা খাব নাকি কুমিড় এর ধরা খাব ? বাঘের ধরা নাকি কুমির এর ধরা? বাঘ ধরা নাকি কুমিড় ধরা?
তখন নদীর আরেক তীরে বসে এক কবি কবিতা লিখছিল। বালক টির এই অবস্তা দেখেও তার কোনো ভাবনা নেই। সে আপন মনে লিখেই যাচ্ছে। একসময় বালকের চেচামেচিতে কবির ধ্যান ভাংগে, বালকটিকে কবি জিজ্ঞাস করল, ও ভাই কি চিল্লাচ্ছেন কেন? বালক বলল, ভাই বুঝতে পারতেসি না কোন টার কাছে ধরা দিলে ভালো হয়! কোন টা খেলে কম ব্যথা পাব? ভাই একটু সাহায্য করেন না। কবি বলল, কোন টার কাছে ধরা দিবেন তাই ভাবছেন ? বাঘ ধরা ,বাঘ ধরা। বলে চিল্লিয়ে উঠল। বাঘ টি যখন শুনল “বাঘ ধরা “ বাঘ ভাবল, ছেলে ধরার মত বাঘ ধরা চলে এসেছে বনে । আর বুঝি রক্ষা নেই। বাঘ ভয় এ দিল বনের ভিতরে দৌড়। কবির চিল্লানোর জন্য এই যাত্রা বালক টি বেঁচে গেল।
এই বাঘ ধরা থেকেই এসেছে বাগধারা। বাঘ টি উল্টা বুঝার জন্য উল্টা পাল্টা বুঝার সাথে মিল রেখেই বাগধারায় উল্টা পাল্টা শব্দের ব্যাবহার হয় এবং উল্টা পাল্টা অর্থ হয়....
(বিঃদ্রঃ- এই বাগধারা শব্দটি এই কবি মশাই এর ই আবিস্কার। তাই ওনার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ । কবির পড়ালেখা একটু কম থাকায় বাঘ ধরা বানান ভুল করে বাগধারা লিখেচ্ছিল......কবির সম্মান রক্ষার্থে আর পরিবর্তন করা হয় নি।)
