গণিতশাস্ত্রকে আমাদের কাছে সহজে বোধগম্য করার জন্য যুগে যুগে অনেক অনেক পন্ডিত, দার্শনিক অনেক গবেষণা করেছেন। এদের মধ্যে
আল বেরুনী, ওমর খৈয়াম, আল খোয়ারিজমি প্রমূখ তাঁদের মেধাকে
কাজে লাগিয়ে গণিতকে আমাদের খেলার জন্য একটি নতুন মাধ্যম করে দিয়েছেন ।
০ থেকে ৯ দিয়ে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ এর মাধ্যমে আমরা সবাই প্রতিদিনই এই খেলা খেলছি।
কিন্তু গণিত হচ্ছে অংক,সে কি আর সোজাসুজি খেলে!!! মাঝে মাঝে খুব বেঁকে বসে ।
তাই ঐ বেঁকে বসা অংক গুলোকে সোজা করার জন্য ১৫৯৭ সালে মাইকেল মেসেটলিন আবিষ্কার করলেন "ফাই" বা "G" বা "গোল্ডেন রেশিও"।
আমরা সকলে কমবেশি এই "ফাই" বা "G"এর সাথে পরিচিত।
"ফাই"বা "G" এর অংক মান = ১ .৬১৮ ।
এই স্বর্ণানুপাত গণিতে ঢুকে শুধুমাত্র বাঁকা গণিতকেই সোজা করেনি, পৃথিবীর সমস্ত সৃষ্টিতে ঢুকে স্রষ্টার সৃষ্টিকে নিটোল নিখুঁত রুপ দান করেছে।
আলহামদুলিল্লাহ।
মানুষের সৃষ্ট স্থাপত্যশিল্পে গোল্ডেন রেশিও- র তো জুড়িই নেই।
কোন স্থাপনায় যেন দাঁড়াতে চাইনা একে ছাড়া। সারা বিশ্বে যত বড় বড়
দালান কোঠা বানানো হচ্ছে বা হবে সবগুলোতে গোল্ডেন রেশিও-র প্রভাব বিদ্যমান।
চিত্রশিল্পে লিয়ো নার্দো দা ভিঞ্চি এই স্বর্ণানুপাত উপস্থাপন করেছেন ভিন্ন আঙ্গিকে।
সঙ্গীত শিল্পে জেমস টেনি এই স্বর্ণানুপাতকে
উপলব্ধি করেছেন সুরের প্রতিটি তরঙ্গে।
এভাবেই স্বর্ণানুপাতের পথ চলা আদি থেকে অন্তের দিকে।
"ফাই" বা "G" বা "গোল্ডেন রেশিও" এর একটি ভিডিওফুটেজ লিংকটিতে
দেওয়া হলোঃ
http://www.youtube.com/watch?v=fmaVqkR0ZXg