somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তুমি আমার ক্লান্ত দুপুর.....তুমি আমার সারাবেলা....

১৮ ই জুন, ২০১১ রাত ১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উফফ! সেই কখন থেকে ফোনটা বেজেই চলেছে। গভীর ঘুমে চোখ মেলতে পারছেনা রুমি। ইচ্ছে করছে উঠে গিয়ে যার ফোন তার গালে ঠাস করে একটা চড় লাগায় দিতে। ঘুমের মধ্যেই বিড় বিড় করে সে,
- ঐ মরা! ফোন ধরসনা কেন? ফোন রাখছিস কি পূজা করতে?ঐ দিকে যে ফোন দিসে মনে তো হয় ওর চৌদ্দ গুষ্ঠি মরে সাফ হয়ে যাবে তুই ফোন না ধরলে।
তবে বিছানা থেকে কষ্ট করে উঠতে গেলে তো আর চড়ে পোষাবেনা, তার চাইতে বেশী কিছু না হলে তো চলবেনা।

হঠাৎ খেয়াল হলো ওর। আরে এইটা তো মনে হয় আমারই ফোন! চোখ বুজেই সাইড টেবলের উপর হাতড়ে ফোনটা খুঁজলো সে,
-কোন মরা হইতে পারে! সে যখনই ঘুমায় কেমনে যেন হোল ওয়ার্ল্ড সেই সংবাদ পেয়ে যাবেই। যেই না সে ঘুমাইসে অমনি ওদের সবার হার্ট এ্যাটাক হতেই হবে।যত্তসব!
চরম বিরক্তি নিয়ে সেলটা মুখের সামনে ধরে আধা চোখ খুলে দেখার চেষ্টা করলো সে,
-কে সেই পুজ্য গুণীজন! ওহ রেহান! ইউরোপ থেকে । গাধাটা টাইম পাইলোনা আর।

রুমি:হুম
রেহান: কি রে কি খবর তোর?
রুমি: হুম চলতেসে আর কি। তোর কি খবর?
রেহান: জার্মানি আছি।
রুমি: নাম্বার দেখেই বুঝছি সেইটা।
রেহান: কি করতেসিলি? ঘুমে ছিলি নাকি বিজি?
রুমি: না ঘুমেও না বিজিও না।( গাধা সারাজীবন ফর্মালিটিই করবে।হুহ!)

রেহান: সারাহ এর সাথে কথা হইসিলো?
রুমি: নাহ। হয়নাই।
রেহান: মৌ ভালো আছে?
রুমি:(বিছানা ছেড়ে উঠতে উঠতে ভাবলো হইসে আর ঘুম! এক কাপ চা হলে জোস হত।) তো তুমি মৌকে কখনও খারাপ থাকতে দেখছো?
রেহান: হা হা হা না তা দেখি নাই।
রুমি: তাইলে বৎস তুমি এইটা জিগাইলা কেন ? মৌ ভালোই আছে আর এজ ইউজুয়াল আমাকে জ্বালায়া অনেক অনেক শান্তিতেই আছে।
রেহান: হা হা হা হা।
রুমি: এই যে শুনো এখন সে কি করছে।
রেহান:কি?
রুমি: সে নোট রেখে গেছে।
"জানেমান আর বদের বদ! ঘুম থেকে উঠেই চা খুঁজবানা। চা আমি বানিয়ে রেখেই গেছি। কিন্তু তাহা লুকানো আছে। এখন কথা হলো দুইটা অপশন। ব্রেকফাস্ট করো তাইলে চা এর খোঁজ পেয়ে যাবা। নাইলে নিজে বানায় খাও।So baby .. .. . BREAKFAST করো. লাস্ট ওয়ার্ডগুলা সব লিখছে আপারকেইস লেটারে। মানে উহা উনার কমান্ড ছিলো! এইবার বুঝছো তোমার বন্ধুপত্নী কেমন আছেন?
রেহান: হা হা হা ভালোই আছিস তুই।
রুমি: হুম । জানি। তোমাকে কি ভালো থাকতে নিষেধ করছি নাকি?তুই কেন ভালো থাকিস না?
রেহান: হুম আচ্ছা একটা কথা। তুই তো জানিস। আমার ফ্রেন্ড বলতে এক তুই আর কেউ নাই।
রুমি: হ্যাঁ আর মাঝে মাঝে সেই কারনেই গিল্টিও ফিল করি একটু । হয়তো আমার কারণে তোর আর কোনো ফ্রেন্ড হয় নাই।
রেহান :না তেমন কিছু না। তুই আমার ভালো ফ্রেন্ড and I trust you more than anything and you know that.
Rumy : What happen ? বল আমাকে। রুমি বেড ছেড়ে ডাইনিং এর দিকে পা বাড়ায়। মাথায় এখন দুই চিন্তা। এক- ঘটনা তো রেহানের কিছু একটা আছে আর দুই কামিনি চা বানায় কই যে রাখলো! চায়ের জন্য তো কলিজা ফেটে যাচ্ছে।

রেহান : You know I have no one to share my things and you are the only one who I can turn to.
রুমি : Yeah I know.. and I am always available to listen to you. Now spit out.
রেহান : I met a girl.
রুমি : I’m listening
রেহান : I met her in istambul.
রুমি: don't forget . I am ur wifes elder brother আর একটা কথা এই মাইয়া নিয়া মরিসনা আবার।
রেহান: মরবো কি? অলরডী মরেই গেছি।
রুমি: ওহ তাই! ভেরীগুড ।
রেহান:Very funny?
রুমি: পাইসি!!!!!!!!!!!! চিৎকার করে উঠলো রুমি।
রেহান: কি?
রুমি: কামিনি ওভেনের মধ্যে চা রেখে গেছে। হা হা হা হা
রেহান: মৌ জানলে তোর খবর আছে। তুই ওকে কামিনি বলিস!
রুমি: আরে এইটা বলবে কে? তুই! আমি আগার বাচ্চু ব্লাকমেইল পার উতার আয়ে তো তুম কাহা জাওগে? হা হা হা হা
রেহান: হা হা হা হা


ব্যাংকে যেন আজ কাজের ঢল নেমেছে। সেই সকাল থেকে একমুহূর্ত মাথা তোলার টাইম নেই মৌ এর। তবুও তারই মাঝে রুমিকে কল দিলো মৌ।জোড়া ভ্রু দুটো কুচকে উঠলো। রুমির ফোন বিজি! স্ট্রেইন্জ! ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলো। মাত্র ১২টা।
-how is that possible ! যে ছেলে সারা রাত ঘুমায়নি তার ফোন কেমনে বিজি থাকে! শিওর এর মধ্যে কিছু একটা ঘটনা আছে!
দুমিনিটের মাঝে আবার ট্রাই করে। স্টিল বিজি! নিজের কাজে মন দেবার চেষ্টা করলো মৌ। কিন্তু মনের মধ্যে খঁচখঁচ! একটা কাঁটা ফুটেই চলেছে। ফোন কি আসলেই বিজি? নাকি নেটওয়ার্ক প্রবলেম? আর বিজি হলে কার সাথে কথা বলছে রুমি এতক্ষন ধরে! কোথা থেকে উদয় হলো আবার নতুন ঝামেলা! ঘুম পাড়িয়ে রেখে আসলাম যাকে তার ফোন বিজি! আবারও সেলটা তুলে নিয়ে ট্রাই করে! নাহ স্টিল বিজি। আমি শিওর। কোনো না কোনোটা ঠিকই উদয় হয়েছে।
-বাসার ফোনে ফোন করবো? নাহ থাক! দেখি কতক্ষন বিজি থাকে।
শর্মী আপা বেশ কিছুক্ষন যাবৎ খেয়াল করছেন মৌকে। মেয়েটাকে খুব ডিস্টার্বড লাগছে।
- কি ব্যাপার মৌমিতা? কিছু নিয়ে কি ডিস্টার্বড তুমি?
- না । সেটা ঠিক না। ইচ্ছে করছে ২ ঘন্টার জন্য একটা শর্ট লিভ নিতে।
- ওমা! এতই মিস করছো যে ছুটে যেতে ইচ্ছা করছে?
- হুম! ছুটে গিয়ে ঠাস করে একটা চড় মারতে ইচ্ছা হচ্ছে।
-ওমা তা কেনো!! শর্মী আপুর চোখে মুখে বিস্ময়!
-লাস্ট ওয়ান আওয়ার ধরে রুমির ফোন বিজি।
শর্মী আপু হো হো করে হাসতে লাগলেন,
- এই ব্যাপার? তা হতেই পারে কোনো জরুরী কল।
- আরে আমি তাকে ঘুমে রেখে আসছি দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা না হলে তার ওঠারই কথা না।
- তাই নাকি! ঘুম পাড়ায় রেখে আসছো! ভালো করে ফিড করাওনি হয়তো তাই হয়তো খিধা লাগছে। উঠে পিজ্জা অর্ডার করছে ফোনে। হিহি হি হি হি
- খুব হাসি পাচ্ছে না?


রুমি: মেয়ের নাম কি?
রেহান: কোন মেয়ে?
রুমি: যে মেয়ের সাথে আমার ইস্তামবুলে প্রেম হইসিলো মনে আছে? ঐ মেয়ের নাম মর্কট।
রেহান: হা হা হা হা । ওহ বেতুল সাকারিয়া।
রুমি : OK! So whats the story ?
রেহান: I don’t know ! something happened !
রেহানের এই টোনটার সাথে রুমির পরিচয় নেই। ওর ভ্রু দুটো একটু উপরে উঠলো। সারা বাড়ির এদিক সেদিক খুঁজেও কোথাও পাচ্ছেনা ওর সিগারেটের প্যাকেটটা। এজ ইউজুয়াল মৌ এইটা লুকাইসে। উফফ এই যন্ত্রনাকে নিয়ে আর পারা গেলো না। শেষে পাওয়া গেলো প্যাকটা টিভির পিছে। লাইটারগুলাও কোথাও দেখা যাচ্ছে না।কানে ফোন নিয়ে রেহানের কথা শুনতে শুনতেই কিচেন থেকে সিগারেট ধরালো রুমি। স্টাডি রুমের দিকে এগিয়ে গেলো।
স্টাডিটা আদতে মৌ এর। রুমের এক কোনসহ দুদেয়াল জোড়া বিশাল বুকসেল্ফে থরে থরে সাজানো রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, নজরুল। যে সব বই এর এক পাতা উলটালেও রুমির মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। আরেকদিকে বিশাল জানালায় মোটা পর্দা ঘেরা। মৌ মাঝে মাঝেই ঐ পর্দা সরিয়ে দিয়ে লেখালিখি করে। মানে যখন উনি বনলতা সেন হয় আর কি। খোলা আকাশ দেখলে নাকি ওর নিজেকে বনলতা বনলতা লাগে। লেখা ভালো বের হয়। মানে আরেক যন্ত্রনা। তুমি বাপু লেখো ভালো কথা। মানা করছে কে?কিন্তু সেসব নিয়ে আবার আমাকে চাপাচাপি কেনো?
-এই লেখাটা একটু শুনোতো বাবু।
না বলবে? কার বাপের সাধ্য! অগত্যা......
- কি বেবী, কি শুনবো? (তারপর শুরু হয় মৌমিতার মহা কাব্য। কি শুনালো সেই জানে। রুমি তো তখন মন দিয়ে চিন্তা করছে ডাটাবেজ আর কোয়ারীর কথা আর সাথে হুম হুম। মৌ ভাবছে রুমি কত মন দিয়েই না শুনছে ওর কবিতা।)
-কই বললে না কেমন হয়েছে?
-মাইন্ড ব্লোইং বাচ্চাটা! মাইন্ড ব্লোইং হইছে একদম! জান এখন আমার মাইন্ড ব্লো করার আগেই আমি যাই বেবী?তুমি বাকীটা তাড়াতাড়ি শেষ করে ফেলো আচ্ছা?
- বাকী আবার কি? এটাই তো পুরাটা!
-ওহ এই জন্যই বলি এত মাইন্ড ব্লোইং লাগতছে কেনো?পোস্ট করে ফেলো এক্ষনি। দেরী কেনো আর?
- সত্যি! খুশী ঝলমল করে মৌ এর চোখে মুখে।

একদম কানের পাশ দিয়ে গুলি গেছে। বাপরে আর একটু হলেই ধরা খেয়ে গেছিলো আর কি রুমি।
জানালার সামনেই একটা রেকলাইন রাখা। হঠাৎ রেকলাইনে বসে থাকা মৌ এর উদাস উদাস চেহারাটা মনে পড়ে রুমির। ওদের দুজনের দিনের বেশীভাগ সময় কাটে এই রুমটাতেই।বিয়ের পর এই রুমেরই এক সাইডে বিশাল এক কম্পুটার সেট আপ বসিয়েছে রুমি। আগে সেটা ছিলো তার বেড রুমেই। এখন দুজনের জন্যই রুমটা সাজানো হলেও রুমি যতক্ষন বাসায় থাকে এটাই তার আস্তানা। তাছাড়া সারারাত জেগে কাজ করা সবকিছু মিলিয়ে মৌ এর তো আজকাল এই রুমটাকে একেবারেই সহ্য হয়না।

খুব কড়া রোদেলা দিন আর কটকটে আলো পছন্দ নয় রুমির। দিনের বিভিন্ন সময়ে সূর্য্যের রঙ বদলে মনেরও রঙ বদলানোর একটা ব্যাপার আছে বলে মনে হয় রুমির সেটা তার মোটেও পছন্দের বিষয় নয়। আজকে মনে হয় সে নিজের লজিক ভুলে গেলো । ভারী পর্দাটা সরাতেই ঝট করে এক গাদা আলো হুড়মুড় করে ঢুকে গেলো ঘরের মধ্যে। কিছুক্ষন চোখ সয়ে আসতে সে গিয়ে বসলো রেকলাইনটাতে। আয়েস করে চায়ের কাপে চমুক দিলো। সামনের আলিরোডে গাড়ির লম্বা লাইন লেগে গেছে। গাড়িগুলো সূর করে হর্ণ বাজাচ্ছে। একজনের শেষ হতেই আরেকটা।সামনের লনের সবুজ ঘাসে রোদের এক অদ্ভুত ঝিলমিলি। চোখ ফেরাতে পারছেনা সে।
রেহান : She was the only other person who knows English in the tour. And I was the other one. So we chatted.
রুমি : who approach first ?
রেহান: she did
রুমি : no wonder ! go on.
রেহান : We were together all the time
রুমি : এখন স্টোরী কোথায় আটকে আছে ?
রেহান : আমি ওকে কিছু না বলে পালায় আসছি। আমার মনে হচ্ছিলো আমি ঝামেলায় জড়ায় যাচ্ছি। এখন সমস্যা হলো আমি মেয়েটাকে ভুলতে পারছিনা।
রুমি: কোনো কন্টাক্ট নং আছে?
রেহান: মেইল করছি। নো রিপ্লাই।
রুমি: ফোন নং?
রেহান: হুম আছে।
রুমি: তাইলে ফোন কর। দেখ এমনিতেই তোর বউ এর সাথে গত তিন বছরে তোর সম্পর্ক ভালো না। আল্লাহ যখন এমন সুযোগ মিলাই দিসে তখন হেলায় হারাইসনা।
রেহান: গড! তুই কি সারাহ এর আপন ভাই!
রুমি: হ্যাঁ আপন ভাই আর তোর ফ্রেন্ডটাও আপন। এই জন্যই বলতেছি ফোন কর..... ..... হেলো হেলো.... লাইনটা কেটে গেলো।

রুমি:.. .should I call back ?? নাহ কোনো দরকার নেই .. .. ..কিপ্টাটাই করুক। বুঝবে এই বার কত ধানে কত গম .... না না...কত ধানে...

হঠাৎ সেলের উপর চোখ পড়তেই।মাইগড! গেছি! লাস্ট এক ঘন্টা চল্লিশ মিনিটে মৌ এর ২৯ টা কল। অফিসে কি কাজ করে এই মেয়ে আল্লাহ জানে?কিন্তু তার থেকেও বড় কথা আজ তার সত্যি খবর আছে।

মুখ ভার করে বসে আছে মৌ। শর্মী আপু উঠে যেতেই ফের হাত বাড়ালো সেলের দিকে। রিং হচ্ছে এবার। রুমির গলা ভেসে এলো ওপ্রান্ত থেকে।বেশ ঝরঝরে গলা। মোটেই চিরপরিচিত ঘুম ঘুম গলা নয়।অবাক হবা ভান করলো মৌ,
-তুমি উঠে গেলা!
- হুম ভালোই তুমি বেবী। কল দিয়ে ঘুম ভাঙায় দিয়ে বলো উঠে গেলা?
- ওহ আমি তোমার ঘুম ভাঙাইলাম না?
- হুম হানী! আমার বউ সবই পারে।
- ব্রেকফাস্ট করছো? রাগ চেপেই বলে মৌ।
- আরে কেবলি তো উঠলাম । ব্রেকফাস্ট করবো কখন?
- তাইলে দুই ঘন্টা কে তোমার ফোনে কথা বলছিলো শুনি?
- আমার ফোনে!! রুমি যেন আকাশ থেকে পড়লো।
মৌ এর আর সহ্য হয় না। এতক্ষনের অস্থিরতা, রাগ দুঃখ সব মিলিয়ে স্থান কাল পাত্র ভুলে চিল্লায় উঠলো
- রুমি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বললো।
-I justtttttttttt hate u . বলেই সেল অফ করে দিলো।


সেলের ডিসপ্লেতে রাখা মৌ এর ছবিটাতে আলতো করে ঠোঁট ছুইয়ে হাসলো রুমি।
-পাগলি! কেনো তুই আমাকে এত অবিশ্বাস করিস?

রাগে পাগল হয়ে যেতে ইচ্ছে করছে মৌ এর। কে হতে পারে? নিশ্চয়ই কোনো শাকচুন্নি!
মৌ আবার সেলটা অন করলো, এস এম এস এ গিয়ে টাইপ করলো।
শুনো, আমি আর ফিরছিনা। রাতে নিজের রান্না নিজেই করে খেও।
রুমি রিপ্লাই দিলো,
u don worry আজকে আমার এমনিতেও বাইরেই খাবার ইচ্ছা হচ্ছিলো। কই যাওয়া যায় বলোতো বেবী। where do u want to go baby ?
মৌ এর রিপ্লাই no thaks hunny .i have date 2night. আপনি যার সাথে ২ ঘন্টা বিজি ছিলেন, উনার সাথেই dinner এ যান। um busy..
রুমি-hunny একটু প্রবলেম হয়ে গেছে। উনার সাথে যেতে পারছিনা। উনি for the time being europ এ আছেন। by the way কার ফ্রি দাঁত ফেলার ইচ্ছা হলো তোমার সাথে ডেট এ যেতে চায় ???
মৌ- so sad hunny! ur bad luck but আমার উনি ঢাকাতেই আছেন and in that case um so luccky and আমার উনি আর্মীতে আছেন । আর উনি বডি গার্ড সহ আসছেন। so bujhtei পারছো বেবী। love u

রুমি নিশ্চিৎ জানে মৌ যত খেপেই থাকুক এক বিন্দু রাগও আর ধরে রাখতে পারবেনা। হলোও তাই হাতের মধ্যে ফোনটা বেজে উঠলো। মৌ এর ফোন।
- শুনো। এখুনি রেডী হয়ে যাও। বাসায় ফিরে আমরা বেরুবো ওকে? মৌ ফোন কেটে দিলো।

হাতের মুঠোয় সেল ফোনের আলোয় মৌ এর হাসিমুখ। সেখানে আরও একবার ঠোঁট ছোঁয়ালো রুমি।
- আই লাভ ইউ সো মাচ মাই জান!

চলবে......


তুমি আমার প্রথম সকাল ....তুমি আমার সারাবেলা
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৩২
১১৮টি মন্তব্য ১১৯টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×