সাদা এই ম্যানসনটাকে দেখেলে মনে হয়না যে, স্বর্গের দেবতারা বোধ এমন বাড়িতেই থাকতেন!!
উনবিংশ শতকের প্রারম্ভে জমিদার হৃশিকেশ দাস কতৃক নির্মিত এই প্যালসটির নাম রোজ গার্ডেন। এটা হুময়ুন সাহেবের বাড়ি আর বেঙ্গল স্টুডিও নামেও পরিচিত।
এক সময় বাড়িটা চারপাশে প্রায় একত্রিশ একর জায়গা জুড়ে গোলাপের বাগান ছিল বলে জানা যায়। এখন অবশ্য এর ছিটেফোটাও অবশিষ্ট নেই।
বাগানে এখনও বেশ কয়েকটি শ্বেত পাথরের মূর্তি আছে। বেশির ভাগ মূর্তিই বাড়ির ভেতরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বাগানে জমিদার কন্যার বদলে এখন গরু ছাগল মাঝে মাঝে ঘোরা ফেরা করে
আগে মূল বাড়ির সামনে সুদৃশ্য একটা বড় ঝর্ণা ছিল, যার ভগ্নাংশটি এখনও রয়ে গেছে। এখন বাড়ির ঠিক সামনেই একটা পুকুর আছে। ওপর পাশে বেশ কিছু তাল গাছের সারি।
কোরেনথিয়ান পিলার আর সুদৃশ্য মিনারেটে সজ্জিত এই অপরূপ প্রাসাদটিকে দেখলে মন ভরে যেতে বাধ্য।
সামনের বারান্দার উপরের আর্চের অলংকরণের ডিটেইলস। ছবিটা দূর থেকে নেয়ায় ভাল হয়নি
প্রাসাদের নীচ তলায় একটি বড় হল ঘর সহ আটটি কামরা আর উপরের তলায় একটা বড় নাচঘর সহ পাঁচটি কামরা আছে।
দূর্ভাগ্যবশত: এই ম্যানসনের ভেতরে দেখার অনুমতি না মেলায় ছবি আর ডিটেইলস কোন বর্ণনা দেয়া গেলো না।
ঢাকার নবাবদের তৈরি করা এই প্রাসাদ এক সময় হুমায়ন সরদার বারী নামক জনৈক ব্যক্তি কিনে নেন, তারপর হাত বদল হয়ে এটা চলে যায় রশিদ নামক এক লোকের হাতে। তিনি এই বাড়ির নামকরন করেন 'রশিদ মঞ্জিল'। অবশ্য এখনও এই এলাকায় এটা "হুমায়ূন সাহেবের"বাড়ি নামেই পরিচিত। কিছু কাল আগে এই বাড়িটা বেঙ্গল মোশন পিকচার লি: লিজ নিয়ে ছিল, সেই সময়েই এখানে অনেক নাটক আর বিশেষ করে সিনেমার শূট্যিং হয়েছে।
টিকাটুলির কে এম দাস রোডে অবস্থিত এই রোজ গার্ডেন বর্তমানে ব্যক্তি মালিকানাধিন সম্পত্তি, তাই চাইলেই যখন খুশি তখন যাওয়া যাবে না।
দেখতে চাইলে আগে যোগাযোগ করে অনুমতি নিতে হবে, তবে কার সাথে যোগাযোগ করতে হবে তা কিন্তু বলতে পারবো না
দর্শনার্থিদের জন্য নোটিশ: বিশস্ত সূত্রে খবর পাওয়া গেছে এই ম্যানসনটি দুপরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত
বি দ্র: বারমাদী ভাইয়ের অভিযোগের কারণে আরও কিছু তথ্য আর ছবি যোগ করলাম। তথ্য স্বল্পতার কারণে বেশি কিছু এড করা গেলো না।
তবে যেহেতু ভেতরে যাওয়া যায়নি, তাই সব গুলো ছবিই ফ্রন্ট ভিউ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:২০