যেকোন নতুন দেশে গেলে যদি আশে পাশে সাগর থাকে আমি অবশ্যই সেখানে যাবো, সাগর টানে আমাকে ভাটার টানের মত। গ্তবছর বন্ধু রনি অস্ট্রেলিয়া থেকে স্নোরকল এনে দেয়ায় ওটা এখন আমার ট্রাভেল ব্যাগের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে থাকে। আর নতুন কোথাও গেলে আন্ডারওয়াটার ক্যামেরাটা নিতেও আজকাল ভুলিনা। কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজনে ২ মাসের জন্য হাইতির রাজধানি পোর্ট-ও-প্রিন্স এ আস্তানা এখন আমার, একসপ্তাহ কাজ করেই প্রচন্ড গরমে হাসফাস অবস্থা আমার, আশেপাশে ভুমিকম্পে বিদ্ধস্হ গরীব দেশের ঘরবাড়ি মানুষজন খুব চাপফেলে মনের উপর। এইচাপ থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ছুটিরদিন ছুটে যায় সাগরের পাড়ে বা পাহাড়ে। আমিও গত সপ্তাহে আরো দুই কলিগের সাথে গেছিলাম সাগরের পাড়ে ছোট্ট হোটেল "মলিন সুর মে" তে। সারাদিন সাগরে দাপাদাপি করে ২ দিন পরে ফিরেছি। যদিও ইন্টারনেট বা হোটেলের সাইটে স্নোরকল বা ডাইভিং সম্পর্কে কিছু পাইনি তবুও অভ্যাসবসে স্নরকল ও ক্যামেরা নিয়ে নিয়েছি সাথে।
সাঁতারের জন্য বিচের কিছুটা জায়গা বয়া দিয়ে সিমানা দেয়া আছে, আমার কলিগ সাবধান করে দিল ঐ সিমানার বাইরে সাঁতার কাটলে যেনো পানিতে দাড়ানোর চেস্টা না করি কারন ওখানে বিশাক্ত সি-আর্চিনের আস্তানা। আমাকে আর পায় কে, সবার বড় বড় চোখের সামনে সাঁমনে সাতার দিয়ে সিমানা পার প্রথমেই। সুইমিং গগলস পড়ে ডুব দিলাম সি-আর্চিন দেখতে, শুধু কি সে-আর্চিন, দেখি এটা একটা কোরাল রিফ, মাছ আর কোরালে ভর্তি। উঠে এসে বলতেই আমার অস্ট্রেলিয়ান কলিগ বললো গ্রেট বেরিয়ার রিফের কাছে এটা নাকি কিছুই না, সে নাকি কিছুদিন আগে এখানে ডুব দিয়ে মজা পায়নাই..... আমি তাকে কেমনে বুঝাই বাংগালির ছেলে আমার দৌড় সেন্টমার্টিনের কোরাল রিফের ধংসাবসেস দেখা পর্যন্ত (সেন্ট মার্টিনে এক সময় খুবি সমৃদ্ধ কোরাল ও মাছ ছিল, বেশিরভাগ এখন কক্সবাজারের বিচের ধারের বাজারে ঝুড়ির মধ্যে বিক্রির জন্য শোভা পায়)
উত্তেজনা চেপে রেখে ক্যামেরাটা রেডি করে স্নোরকল নিয়ে আবার নামলাম, সাঁতার কাটলাম প্রায় ২/৩ বারে ৩-৪ ঘন্টা মত। নীচে কিছু ছবি এই বারের।