সকল শাক-সবজিই আপনার স্বাস্থের জন্য ভালো। শাক-সবজি তে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট এবং ফাইবার থাকে যাতে সাধারনত ক্যালরি আর ফ্যাটের পরিমান অনেক কম থাকে। সেই সাথে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা আমাদের মস্তিষ্ক গঠনে সাহায্য করে থাকে। আবার কিছু শাক-সবজিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি(anti-inflammatory) ম্যাগনেসিয়াম, যা আপনার পাকস্থলির জ্বালা-পোড়া ভাব কমায় এবং প্রচুর পরিমান খনিজ পদার্থ থাকে।
যেসব খাদ্য এসব উপাদান পাওয়া যায় সেগুলো হলোঃ যেসব সবজির পাতা সবুজ( বাদা-কপি, সবুজ পাতা যুক্ত বিট, পালং শাক), ঘন্টা যুক্ত গোল মরিচ, শসা, বেগুন, টমেটু, আলু ইত্যাদি।
আপনার পাকস্থলিকে ঠান্ডা রাখে এমন ফল খাওয়া যেতে পারে
প্রায় সব ধরনের মিষ্টি ফলে গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজের অনুপাত সমান থাকে যা আপনার পাকস্থলির জন্য অনেক ভালো। কিন্তু কিছু কিছু ফল আছে যেগুলোতে ফ্রুকটোজের পরিমান গ্লুকোজ থেকে বেশি সে গুলো আপনার পাকস্থলির জন্য মোটেও ভালো নয়।
যে সব খাদ্যে এবং ফ্রুকটোজের অনুপাত সমান সেগুলো হলোঃ কলা ও ব্লু-বেরি, মিষ্টি কুমড়া ও তরমুজ, আঙ্গুর, কমলা, আনারস,পেপে,স্টবেরি ইত্যাদি।
র্শকরার পরিমান কম থাকে এমন খাদ্য-শষ্য খেতে পারেন
প্রায় সকল খাদ্য-শষ্যই র্শকরা ঠাসা খাদ্য বলা যেতে পারে, যা আপনার পাকস্থলির জন্য খুবই খারাপ। যেমন, অনেক প্রকার গমে এবং সাদা চালে প্রচুর পরিমান র্কাব(র্শকরা) থাকে। একথা বলা যায় যে সকল শষ্য থেকেই প্রচুর পরিমানে আশ(ফাইবার) পাওয়া যায় যায়। কিছু কিছু শষ্য পাওয়া যায় যাতে শর্করার পরিমান কম থাকে আপনাদের খাদ্য তালিকায় সে গুলোই বেশি বেশি রাখা উচিৎ।
যেসব শষ্যে র্শকরার পরিমান কম থাকে সেগুলো হলোঃ কেনুয়া(quinoa), জব-জই(oats), বাদামি চাল(brown rice)
বাদাম জাতীয় খাদ্য এবং বিভিন্ন ফলের বিচি খাদ্য তালিকায় অন্তর ভুক্ত করতে পারেন
বাদাম জাতীয় খাদ্য এবং বিভিন্ন ফলের বিচির প্রচুর পরিমানে প্রোটিন এবং শক্তি(energy),দ্রুত হজম হয় এমন ফাইবার এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমাটরি(anti-inflammatory) ফ্যাট থাকে।
যেসব খাদ্য এগুলো পাওয়া যায়ঃ কাঠবাদাম, বাদাম, চিনাবাদাম, সকল প্রকার বাদাম, পাইন ফলের বিচি, মিষ্টি কুমড়ার বিচি এবং সূর্যমুখির বিচি ইত্যাদি
ফ্যাট বিহিন প্রোটিন হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ
সাধারনত সব ধরনের প্রোটিনে র্শকরার পরিমান খুবই কম থাকে। প্রোটিন জাতীয় খাদ্য আমাদের সহজেই হজম হয়। কিন্তু কিছু কিছু প্রোটিন জাতীয় খাদ্যে প্রচুর পরিমানে ফ্যাট থাকে। তাই আপনাকে এমন কিছু প্রোটিন খুজে নিতে হবে যাতে ফ্যাট থাকে না বা থাকলেও পরিমানে অনেক কম।
যেসব খাদ্যে পাওয়া যাবেঃ ডিম, মাছ, কম ফ্যাট যুক্ত মাংস, চামড়া বিহিন মুড়গির মাংস, সাগরের মাছ ইত্যাদি।
দই (সর বিহিন দুধ থেকে তৈরি)
ফ্যাট বিহিন দুধ থেকে তৈরি দই কে গ্রিক ইউর্গাট (Greek Yogurt) বলা হয়। এই দই আপনার পাকস্থলিকে যথেষ্ট ঠান্ডা রাখবে এবং এতে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন রয়েছে যা আপনার হজমে সাহায্য করবে।
যে সব খাদ্য যতসম্ভব এরিয়ে চলবেন
Click This Link