যখন কোন খেলা শুরু হয়, খেলোয়াড়রা নিজেদের পরাজয়ের ব্যাপারটি খুব কমই চিন্তা করে থাকে। পরাজয় নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সে মনে করে থাকে সে জিতবে। জয় পরাজয় নির্ধারণের আগেই সে যে আসলে পরাজিতও হতে পারে এই ভাবনাটা যদি আমলে আনে এবং তদনুযায়ী কাজ করে তাহলে তাকে বুদ্ধিমান বলা যায়।
বুদ্ধি এবং জ্ঞান..... শব্দ দুটি কি প্রতিশব্দ? না সমার্থক শব্দ? আমার মতে, জ্ঞানের সঠিক প্রয়োগই আসলে বুদ্ধি। খেয়াল জিনিসটা এই বুদ্ধির মধ্যে পড়ে।
যেমন ধরুন, আপনি একটা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আপনি জানেন যে আসলে কোথায় কি করলে কিভাবে উন্নতি হবে। কিন্তু, কার্যত.... আপনি সেগুলি করেন না। কারণ, সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করার তাগিদ আপনি পান না। কিন্তু ধরুন, কোন একটা স্পেসিফিক কাজের দায়িত্বে আপনি আছেন। তাহলে কিন্তু আপনি আপনার বুদ্ধির স্বাক্ষর রাখবেন। আসলে দায়িত্ববোধ বুদ্ধির প্রয়োগে ভূমিকা রাখে।
বুদ্ধির ব্যবহারে আপনি চৌকষ হতে পারেন যদি দায়িত্ববোধ আপনাকে তাড়া করে ফেরে। কেবলমাত্র মৃত্যুর চিন্তায় মানুষকে সর্বদা দায়িত্ববোধের চেতনায় জাগিয়ে রাখে। তাকে সদা প্রস্তুত রাখে। সে এমন কোন কাজ করে না যার জন্য সে মনে করে অনুতপ্ত হওয়ার যথেষ্ট সময় সে পাবে। এমন প্রত্যেকেরই ভূরি ভূরি নজির জানা আছে যে, একদম হঠাৎ করেও মানুষ মারা যায়.... যেই ব্যাপারটি সম্পর্কে সে দুই মিনিট আগেও সচেতন ছিল না।
পোস্টের হেডিংটি প্রিয়তম নবী মুহাম্মদ সা. এর কোন এক কথা থেকে নেয়া। আজকের এই লেখাটি আমার নিজের জন্য। স্রষ্টার কাছে কাতর মিনতি আমি যেন সর্বদা মৃত্যুর কথা স্মরণে রাখি।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:১২