সময়: ২২শে এপ্রিল ২০০৯
খেলা: দাবা
প্রতিপক্ষ: নুসরাত জাহান যুথি বিবি
সংখ্যা: ক্রমিক-৪ সবমিলিয়ে ড্র-৩, ব্যক্তিগত যুথি বিবির সাথে সাথে ড্র-২
বিশ্লেষণ: হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ব্যতীত কিছু নয় । এবার কথা কম কাজ বেশী করেছি । খেলার মধ্যে কথা বললেই মনযোগ হারাই । গতবারের অথার্ত ১ম যুথি বিবির সাথে খেলার সময় যে ভুল করেছি, এবার তা এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেছি । পজিশন আমার ভবিষ্যত দৃষ্টিতে খারাপ ছিল না । এবার অনেকটা জয় লাভের উদ্দেশ্যেই যাত্রা ছিল । কিন্তু জরুরী কারনে যুথি বিবি যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে যান । হিসাব মতে এতে আমার জয় লিখিত হবার কথা । কিন্তু প্রতিপক্ষকে শ্রদ্ধার খাতিরে আমি এই খেলাকে ড্র ধরি ।
সময়: ২৩শে এপ্রিল ২০০৯
খেলা: দাবা
প্রতিপক্ষ: নুসরাত জাহান যুথি বিবি
সংখ্যা: ক্রমিক-৫ সবমিলিয়ে পরজায়-১, ব্যক্তিগত যুথি বিবির সাথে সাথে পরাজিত-১
বিশ্লেষন: এই খেলায়ও হাড্ডাহাড্ডা লড়াই হয়, আমি অনেক্ষণ মাঝ মাঠে খেলা ধরে রাখায় তিনি আল কায়েদার মত আমার হানা দিলেন । আমার একের পর এক ঘুটি জীবন ধ্বংস করতে আত্নাহুতি দিয়ে হানা দিয়ে চলেছেন । তার এই প্লাটা আক্রমণ রুখে দেওয়ার মত ক্ষমতা আমি হারিয়েফেলি । কারণ আমার চিন্তা সবর্দা প্রত্যেক ঘুটি এবং ঘরকে ছিল । চিন্তাই করিনি । এই অপ্রত্যাশিত আলে কায়েদার আক্রমণ আমি রুখতে পারি নাই । তবুও আমার কন্ঠে নয় বরং যুথি বিবির কন্ঠে ছিল আশা, যে আমিই জিতব !
যদিও খেলছে উনি, কিন্তু দোয়া করছে আমার জন্য ? একটু অবাকই লাগল !
উনি আবার কেল্লায় ঢুকে তছনছ করে নিজেই মাইনাক চিপায় পরে যান । পরে উনাকে আমি রাম দৌড়ানি দিয়ে অনেক কষ্টে উনার কেল্লার ভিতর ঢুকাই এবং নজরবন্দী করি কিন্তু ততক্ষণে যা করার করে ফেলেছে । কিন্তু আমি আবার একটা মোক্ষম ফাদ দিয়েছি, যদি খায় ঘুঘু ফাদেঁ পারা দেয় তো কথাই নেই । কিন্তু পা দিল না । আমি হেরে গেলাম ।
কিন্তু এভাবে আত্নঘাতী আক্রমণ কল্পনায় রাখলে আমি হয়ত এই খেলাকে আশন্ন পরাজয় এর হাত থেকে রক্ষা করতে পারতাম ।
১ম চিত্র: ২য় ড্র,
২য় চিত্র: ২য় ড্র
৩য় চিত্র: ১ম পরাজয়
(ছবি পরবর্তীতে আপডেট হবে)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৪৪