[ফেসবুকে স্ট্যাটাসে যখন ঘোষণা দিলাম আমার আত্মকথা লিখবো তখন অনেকেই বললো, “এই বাচ্চা ছেলে, তোমার বয়স কত যে আত্মকথা লিখবা?” কিভাবে বুঝাই যে আত্মকথা লিখতে বয়স লাগে না? নিজের কিছু কথা আর নিজেকে নিয়ে কিছু কথা আর স্মৃতি নিয়েই আত্মকথা লিখা যায়। আসলে আমাদের দেশের লেখকেরা বৃদ্ধ বয়সে নিজের স্মৃতিকথা লিখে বলে সবাই ধরে নিয়েছে আত্মকথা লিখতে অবশ্যই বয়স্ক হতে হবে। কিন্তু ‘আত্মকথা’ শব্দটি কেউ বিশ্লেষণ করে দেখে না।]
আমার শৈশব কেটেছে আমাদের গ্রামের প্রকান্ড বাগানবাড়িটিতে। দুটো বিশাল পাটাতনের ঘর, উত্তরের ভিটার বিশাল ঘরটির নাম “উত্তরের ঘর” আর পূর্ব দিকের ঘরটি “পূবের ঘর”, উত্তরের ঘরের পশ্চিমে ছিল রান্নাঘর আর পেছনে ছিল বাঁশের পাটাতন করা আলুর ঘর। বিক্রমপুরের ঐতিহ্য বলা চলে এই আলুর ঘরকে। আলুর ঘরের চারপাশে ছিল বিচিকলার গাছ। যখন আলুর সিজন শেষ হয়ে যেত তখন সেঘরে স্থান পেতো লাঙ্গল, কোদাল, ঝুরি, ট্রাক্টার মেশিন, চটের বস্তা কিংবা বর্ষার রোদে শুকানো বিশাল বিশাল পাটের ছরা তাছারা অন্যান্য কৃষিকাজের জিনিসপত্র। পশ্চিমে মাটির ভিটার উপরে একটি ঘর তোলা ছিল। অন্যান্য ঘরের মত কাঠের পাটাতনের নয়। সেই ঘরে থাকতো আমাদের কামলা মতি ভাই। সিজনের সময়ে ময়মনসিংহ আর ফরিদপুর থেকে লোক আসতো জমিতে খাটতে। এদের বলা হতো “বদলি”, এরা আলু তোলা শেষ হলে আবার ফিরে যেতো। দক্ষিন পশ্চিমে ছিল মেয়েদের কাপড় পাল্টানো এবং গোসলের জন্য একটি ঘর। সেখানে পুকুর থেকে একটি পাইপ টিউবওয়েলের সাথে সংযুক্ত ছিল, টিউবওয়েল চাপলে পুকুর থেকে পানি আসতো নলে। উত্তরের ঘরের পূর্বে ছিল খাওয়ার পানির টিউবওয়েল। বাড়ির মেয়েদের বাড়ির বাইরে যাওয়া পছন্দ করতেন না আমার দাদা। তাই বাড়ির অনেক অংশের সাথে রাস্তার সাথে বাড়িতে ঢোকার রাস্তাটি ঢেউটিনের বেড়া দেয়া ছিল। রাস্তা থেকে বাড়িতে ঢোকার রাস্তাটি মাটি ফেলে উঁচু করে উঠানে সংযুক্ত। বাড়ির দক্ষিনে আমাদের ছোট পুকুর আর তারপরেই রাস্তা। আমাদের বিশাল বাড়িটি চারপাশে খাল দিয়ে ঘেরা। ছোটবেলা থেকে আমাদের গ্রাম কিংবা আশপাশের গ্রামে আমাদের বাড়ির মত বড় বাড়ি আর দেখিনি। আমার দাদা রক্ষণশীল মানুষ। তার বাইরে কেউ কথা বলাস সাহস পেতেন না। পরিবারের সমস্ত কিছুই তার কথামতো। তিনি বড় সাদা দাড়ি, লম্বা পাঞ্জাবী আর চেকের লুঙ্গিতে থাকতেন সব সময়। বিশাল জমিজমা সম্পত্তি দেখাশোনা তিনি নিজেই করতেন।
আমার জ্ঞান হওয়ার পর থেকে আমি এ পর্যন্ত মাত্র দুইবার আমার নানার গ্রামের বাড়িতে গিয়েছি। আমার মামারা সবাই ঢাকায় ছিলেন। নানার মৃত্যু বার্ষিকীতে মাঝে মাঝে গ্রামে যাওয়া হতো তাদের। সেই সুত্রে আমি প্রথম কবে গিয়েছিলাম আমার মনে নেই তবে দ্বিতীয়বার যখন গিয়েছিলাম তখনো আমি অনেক ছোট। বিক্রমপুরের বালগাঁও এর পার্শ্ববর্তী এর ছোট গ্রাম বনসমন্ত, আমার মাকে অনেকবার জিজ্ঞাসা করেও তাদের গ্রামের নাম করনের ইতিহাস জানতে পারিনি। জানতে পারিনি আমাদের গ্রাম পাঁচগাঁও এর নামকরণ সম্বন্ধে। কথিত আছে, পাঁচটি গ্রামের সন্ধিস্থল হওয়াতে এই গ্রামের নাম ছিল পাঁচগাঁও।
উত্তরের ঘরের মাঝের ঘরে ছিল আমাদের একুশ ইঞ্চি সাদাকালো টেলিভিশন। গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না। ব্যাটারি চার্জ করে আনা হতো প্রতি সপ্তাহে। সেই ব্যাটারির এক প্রান্তে একটি লাল ক্লিপ আর অন্য প্রান্তে কালো ক্লিপ লাগিয়ে স্ক্রু এর মত ডান দিকে ঘুরিয়ে দিয়ে টেলিভিশন অন করা হতো। টেলিভিশন অন করলে প্রথমে শব্দ তারপরে দপ করে টিভির পর্দা আসতো। প্রতি শুক্রবারে বিকেলে গ্রামের অনেক মানুষ জড়ো হতো বাংলা সিনেমা দেখার জন্য। উঠোনে দুইটি চেয়ার পাশাপাশি রেখে তার উপরে টিভি আর নীচে একটি পিঁড়ির উপরে ব্যাটারি রাখা হতো। সিনেমা দেখার সময় কত যে চোখ থেকে কষ্টে পানি চলে এসেছে বলার বাইরে। ছোট বেলায় বাংলা সিনেমা দেখে কাঁদতাম বলে “আমাকে ইলিয়াস কাঞ্চন” বলে উত্যক্ত করা হতো। বড় নিষ্ঠুর ব্যাপার মনে হতো। কিন্তু আমি চোখের জল রাখতে পারতেম না যখন নায়িকা শাবানা সংশার চালানোর জন্য অন্যের বাড়িতে কাজ করতো কিংবা সেলাই মেশিন চালাত আর নায়ক জসীম রিকশা কিংবা ঠেলাগাড়ি ঠেলত। আমাদের একটি ক্যাসেট প্লেয়ারও ছিল যেটিতে চারকোনা ফিতার ক্যাসেট ঢুকিয়ে আমার ছোট চাচা প্রায়ই বিভিন্ন ব্যান্ডের গান শুনতেন। “চিকা মারো রে” নামের একটা গান বেশ প্রিয় ছিল আমার। আমার দাদী মাঝে মাঝে রহিম রূপবানের যাত্রাপালা শুনতেন সেই ক্যাসেট প্লেয়ারে। “শোন রূপবান গো” এমন করুণ আর্তি মাখানো সূরে যখন গান শুরুটা হতো আমার দাদিকে দেখতাম ফোঁটায় ফোঁটায় জল ফেলে কাঁদছেন।
যাইহোক, ছোট থেকে দেখেছি আমাদের এই বড় বাড়িতে আমরা দুই ভাইবোন, দাদা দাদী, আমার মা, ছোট চাচ্চু কাজের লোক মতি আর শিল্পি এইকয়জনের বসবাস। আমার বাবা বড় ছেলে, আমি ছোট থেকেই দেখেছি বাবা দেশের বাইরে, মেঝোচাচা আর সেঝো চাচাও থাকতেন দেশের বাইরে। দাদার দশ সন্তানের মাঝে ছয় মেয়ের বিয়ে দেয়া হয় আমার জন্মের আগেই। প্রতি বছর আম কাঠালের সিজনে তারা সবাই আসতেন আমাদের বাড়িতে। অপ্লকিছু মানুষের বিশাল বাড়িটি প্রান ফিরে পেতো। প্রতিটি ঘরে মেঝেতে বিছানা করে শোওয়া হতো তখন। আমরা সব কাজিনরা ঢালাও বিছানা করে শুয়ে পরতাম। সকলের ছোট বলে আর প্রথম মামাত ভাই বলে আমার কদর ছিল অন্যরকম। আপুদের সাথে শুয়ে গল্প শুনতাম। অনেক অনেক গল্প। বিকেলে ওরা যখন সাঁজগোঁজ করে ঘুরতে বেরুত তখন আমাকেও ধরে সাজিয়ে দিত। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো ওরা আমাকে ওদের মত লিপস্টিক, আইশেড আর অন্যান্য কসমেটিক্স দিয়ে সাজিয়ে মেয়ে বানিয়ে ওদের সাথে নিয়ে ঘুরত। আমিও সাচ্ছন্দে আপুদের সাথে বেরিয়ে পরতাম। ফুপ্পিরা যখন একে একে চলে যেত তখন খুব খারাপ লাগতো।
ফুপ্পিরা যাওয়ার সময় আমার হাতে টাকা ধরিয়ে দিয়ে যেতেন। আমার টাকা রাখার বিশ্বস্ত ব্যাঙ্ক একাউন্ট ছিল আমার দাদী। জন্মের পর থেকে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি ছিলাম তার চোখের মনি। আমার বয়স যখন সতেরো বছর তখন আমার দাদী আমাকে ছেরে চলে যান। সেই সতের বছর বয়স পর্যন্ত আমি আমার দাদীর সাথে ঘুমাতাম। আমার দাদিকে আমি “দাদু” বলে ডাকতাম। একহাত দাদুর পিঠের নীচে আর একহাত একপা দাদুর উপরে দিয়ে সতের বছর ঘুমিয়েছি আমি। আমার ছোট জীবনের একটি অংশ আমি হারিয়েছি দাদুর মৃত্যুর পরে। আমার দাদাও অনেক আদর করতেন আমাকে, কিন্তু তাকে কেন যেন আমি তেমন পছন্দ করতাম না। উত্তরের ঘরে দাদা দাদুর মাঝে ঘুমাতাম আমি। দাদা প্রায়ই আমাকে খোঁচা দিয়ে বলতেন আমার জন্মের পর থেকে সে দাদুর সাথে ঘুমাতে পারে না। আমি বলতাম “এইটা আমার দাদু, তুমি কেন ঘুমাবা?” ছোট চাচ্চু থাকতেন পূবের ঘরে একা। তার ঘরে একবার বিশাল এক বল্লার বাসা আবিষ্কার করা হল। বাঁশের কঞ্চির মাথায় পাটের আঁশ পেচিয়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে নষ্ট করা হয় সেই বাসা। সকালে ছোট চাচ্চু অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠতেন। সকালে উঠোনে তার সাথে ব্যায়াম করতাম। আমাদের দুজনের ব্যায়ামের আলাদা পোশাক ছিল। সকালে দুজনে একসাথে ব্যায়াম করতাম, তারপরে সকালের নাস্তা। যখনই ছোট চাচার ঘরে যেয়ে দাঁড়াতাম দেখতাম তিনি পড়ছেন। আমার দিকে তাকিয়ে বইয়ের ভাজ থেকে হজমির বোতল বের করে হাত পাততে বলতেন। দারুন লাগতো সেই হজমি। এই হজমি পাওয়ার পেছনে অন্য এক কারন ছিল। ছোট চাচাকে আমার দাদী চোখেচোখে রাখতেন। তিনি বিকালে আমাকে নিয়ে ঘুরতে বের হওয়ার নাম করে যেতেন তার বান্ধবীদের সাথে দেখা করতে। আর আমার কপালে জুটতো তার বান্ধবীদের চুমো। আমার চাচাকে দেখিয়ে আমাকে কেন চুমো দেয়া হতো সেই রহস্য এখন বুঝতে পারি। চাচ্চু বার বার নিষেদ করে দিতেন যেন কাউকে কিছু না বলি, কিন্তু রাতের বেলায় দাদুকে সব বলে দিতাম।
ছোটবেলা থেকেই আমার একটা পরীর খুব শখ। সারারাত ভাবতাম ,"ইশ, আমার যদি একটা পরি থাকতো!" কিন্তু আমি জানতাম না সেই পরি যদি আমার থাকতো তাহলে কি হতো। আমার এই পরীর প্রতি আসক্তির প্রধান কারন ছিল রুপকথার গল্পগুলো। আমার দাদী যখন আমাকে রাজা-রানী, জ্বীন- পরী কিংবা রাক্ষস খোক্কসের গল্প শোনাতো আমি তখন রাজকুমার হয়ে সেই গল্পের মাঝে ঢুকে পরতাম। আমার হাতে থাকতো ইয়া লম্বা এক তরবারি আর সেটাতে থাকতো অশরীরী এক শক্তি। আমি পথ হাটতাম, এগিয়ে চলতাম। প্রতিদিন আমার উদ্দেশ্য থাকতো রাজকন্যাকে মুক্ত করার। রাজকন্যা ছিল ডানাকাটা এক পরী। আমি যখন যুদ্ধ করে ক্লান্ত হয়ে পরীর খাঁচার কাছে যেতাম, ঠিক তখনি আমি গভীর নিদ্রায় গুম হয়ে যেতাম। আমার আর পরীকে দেখা হয়ে উঠত না। সকালে পাখির কলতান অথবা মোরগের ডাকে আমার ঘুম ভাঙতো। আমি সেই পরীকে ভুলে যেতাম।
দরজা খুলে আমি সবার আগে আমাদের বাগান বাড়ির বড়ই গাছতলাতে যেয়ে ঝরে যাওয়া বড়ই পাতা দেখতাম। গাছটা দিনদিন বুড়ো হয়ে যাচ্ছিলো। আমি চাইতাম গাছটা যেন বুড়ো না হয়। আমি ওকে হারাতে চাইতাম না। আমিও আরও কিছু জিনিস হারাতে চাইতাম না, এই যেমন, মেলা থেকে কেনা আমার মাটির নৌকা, চিনামাটির হাতি ঘোড়া, কিংবা আমার রূপকথা বলা দাদীকে। আজ আমি এদের সবাইকে হারিয়েছি। কিন্তু সেই বড়ই গাছটি আজো বেঁচে আছে। বয়সের ভারে কুঁজো জয়ে আছে। আমি জানি একদিন তাকেও হারিয়ে যেতে হবে। এখন মনে হয় হারিয়ে যাওয়া আমাদের নিয়ম।
জামরুল গাছের একটা শক্ত ডালে আমার একটা দোলনা ঝুলানো ছিল। আমি একা একা দোল খেতাম সেই দোলনায়। মাঝে মাঝে, না মাঝে মাঝে নয় প্রায় প্রতিদিন আমার ছোট্ট বোনটা এসে পেছন থেকে দুলনি দিতো। ওর একটাই আবদার আমি যেন ওকে নিয়ে দোলনায় দুলি। একা একা ভয় পেত, যদি পড়ে যায়। আমার সেই ছোট্ট বোনটা আজ অনেক বড় হয়ে গেছে। এখন সবকিছু বুঝতে পারে। আজো আমাকে পেছন থেকে দোলা দিয়ে যায় নিঃস্বার্থভাবে। কখন যে ও এত বড় হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি। ওর ভেঙ্গে যাওয়া মাটির পুতুল দুজনে মিলে সারাদুপুর বসে জোড়া লাগাতে চেষ্টা করতাম আমড়া গাছটার নিচে। একবার বন্যায় সেই আমড়া গাছটাও মারা গেল। সাথে কামরাঙ্গা গাছটাও।
আমার কোন বন্ধু ছিল না। আমার ভাবনা আর ছোট ছোট গল্পগুলো ছিল আমার বন্ধু। আমার আরেকটি বন্ধু ছিল পাঠ্য বই। "আমার বাংলা বই" অথবা "ইংলিশ ফর টুডে" , মাঝে মাঝে চিঠি পড়তাম। অনেক অনেক চিঠি। বিদেশ নামক একটা জায়গা থেকে আমার বাবা আর চাচারা চিঠি পাঠাতো। আমার দাদীকে দেখতাম সেই চিঠি নিয়ে বসে বসে কান্না করতো। দাদির সাথে আমরা দুই ভাইবোন আমাদের ছারাবাড়িটির একমাথা থেকে অন্য মাথা ঘুরে বেড়াতাম। দাদী তার শিম, লাউ, টমেটো, কুমড়া গাছের যত্ন নিতেন। আমি কাঁচি হাতে পেছনে দাঁড়িয়ে থাকতাম। একটার নাম খন্তা কাঁচি অন্যটি বগা কাঁচি।
আমার স্কুল ছিল গ্রামের বাজারের ঠিক পাশেই। আমি স্কুলে যেতে ভয় পেতাম। স্কুলের দুস্ট ছেলেদের সাথে আমার কিছুতেই ম্যাচ করতো না। পরিক্ষা ছারা তেমন কোন ক্লাস করা হতো না। মাঝে মাঝে ক্লাসে গেলে আমার দাদা পেছনের বেঞ্চে বসে ক্লাস করতেন আমার সাথে। আর আমি বার বার পেছনে তাকিয়ে দেখতাম দাদা আছে নাকি বাজারে চলে গেছে।
প্রতিবার বিজয় দিবসে খেলাধুলা আর পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করা হতো। আমি কোন খেলা পারতাম না। আমি কখনো বন্ধুদের সাথে খেলিনি। খেলায় অংশ না নিলেও একটা জিনিসে আমি সবসময় প্রথম হতাম। সেটা হলো বার্ষিক শিক্ষা ফলাফল। আর পুরষ্কার হিসাবে দেয়া হতো দশটাকা দামের একটি মোটা খাতা। সব থেকে ভালো লাগতো ভাড়া করে আনা মাইকে আমার নাম ঘোষণা করা হতো। ছোট ছোট পায়ে আমি প্রধান অতিথির কাছ থেকে পুরুস্কার নিতাম। পাশ থেকে আমাদের হেডমাস্টার বলতেন, “এই ছেলে একদিন আমাদের স্কুলের নাম রাখবে।“ নাহ , আমি পারিনি। চতুর্থ শ্রেণী পার হওয়ার পরেই আমার শহর নামের এক বন্দী খাঁচার সাথে পরিচয় হয়। আর খাঁচার পাখি প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায় না, শুধু অভিনয় করে খাঁচার বাইরের রক্তচক্ষুর মানুষগুলোকে খুশি রাখার।
(পর্বভিত্তিক ভাবে চলবে)
প্রচ্ছদঃ পি ডি এফ করার সময়ে করা।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:১০