গল্পের শেষের পাতাটা পোকায় খেয়ে ফেলেছিলো।যে গল্পটা আজও প্রকাশিত হয়নি।মেনে নিতে কষ্ট হয়।রবীন্দ্রনাথ যাকে সুখের মতন ব্যাথায় আখ্যায়িত করেছিলেন।প্রতিদানে ততখানিই যতখানি নিউটনের এর 3rd law of motion.তাই আজও আইনষ্টাইন এর থিওরি অব রিলেটিভিটি অসমান্জ্যস্য বলে মনে হয়।
একগুচ্ছ লাল গোলাপের মাঝে একটি বেছে নিয়েছিলো সে।না সেই গোলাপটি আমি ছিলাম না।চাঁদের আলো তখনো কালো আঁধার ভেদ করতে পারেনি।ক্ষুদ্র জোঁনাকি পোকা চেয়েছিলো তার ক্ষীন আলো দিয়ে অন্যকে আলোকিতো করতে।জোনাকি পোকা জানতো না সমাজতন্ত্র আর ধনতন্ত্র তখনো বিলীন হয়নি।চেতনার বীজ তখনো রোপিত হয়নি মানুষের মনে যেমনটি আজও লক্ষনীয়।
অনেকটা সময় পরে অনেক কিছুই অনুধাবিত।সক্রেটিস নিশ্চই হারে হারে টের পেয়েছিলেন সেই মর্মটা।ইতিহাসের অনেক কিছুই মিলে যাচ্ছে।ঠিক যেন প্রাচীন *মনা* জাতীর ভবীষ্যদ্বানীর মত।মনা শক্তির সেই রাহু ধীরে ধীরে গ্রাস করছে অন্তরাত্মা।অন্তরাত্মার পিপাসা মিটাতে ইতিহাস থেকে ইতিহাসে আর সভ্যতা থেকে সভ্যতায় নিরন্তন ছুটে চলছি।
অনেক চেনা অচেনা মুখ।শহরের পর শহর।সোনালী ফ্রেমে বাঁধানো রঙিন একটা স্বপ্ন।তারপর....................
ইংরেজদের ব্রাডফোর্ড ইন্টারচেন্জ থেকে মানচেষ্টার ভিক্টেরিয়া অথবা আপটনপার্ক থেকে ফরাসীদের চার্লস ডি গল কিংবা পারীর গারদোনর্দ থেকে মেরি দ্য অভারভিলা অথবা কার্তচিমার লুই পাস্তুর রোড।আর স্প্যানিশ বার্সেলোনা কিংবা পর্তুগীজ লিসবন।
ভাস্কো ডি গামার মৌনছায়া স্বপ্নের ঘোরে সেই ফ্রেমে বাঁধানো স্বপ্নে প্রতিবিম্ব ফেলে।
¨যেকোন আলো সমতল বস্তুর ওপর যে কৌণিক সরল রেখায় পতিত হয় বীপরীত দিকে একই কৌনিক সোরলরেখা রিফলেক্টেড হয়।¨ ফিজিক্স এ রিফলেকশন এর এই সূত্রটি মনে পরে যায় যেমন মনে পরে সুকান্তের ঝলসানো রুটির মত চাঁদ।এই সূত্রটির সাথে নিউটনের ৩য় সূত্রের মিল খুঁজে পেয়েছি যখন, তখন আমি ফিজিক্স থেকে অনেক দূরে কোথাও বসে ঝলসানো রুটির মত চাঁদ এর পাশের শুকতারাটাকে দেখছি।
এরিষ্টটলও ভুল বলেছিলেন আলোর মতবাদে।তিনি বলেছিলেন চোখ থেকে আলো বস্তুতে নিপতিত হয়।সেই ভুলে কি না জানি না,মাঝে মাঝে নিজের ছায়াকে জীবন্ত আর নিজেকে প্রানহীন বলে মনে হয়।.........................[চলবে]
.
।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৫:৫০