somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বকাপ দলে রকিবুলের অন্তর্ভূক্তি কতটা যৌক্তিক?X(

২১ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষনা হয়েছে আজ তিনদিন পার হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেট বোদ্ধারাই অনেক আলোচনা সমালোচনা করেছেন। সবার কথায় ঘুরে ফিরে ছিল আশরাফুল, অলক বা মাশরাফির নাম। কিন্তু রকিবুলকে নিয়ে কারও মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হলো না।

মাশরাফিকে নেয়া হয় নি ইনজুরির কারনে - মানলাম। অলককে নেয়া হয় নি দুবছর জাতীয় দলের বাইরে থাকার অজুহাতে + মাহমুদুল্লাহ, নাইমরা থাকতে দলে তার প্রয়োজন কম - তাও মানা গেল। আশরাফুলকে নেয়া হয়েছে আরও একটি সুযোগ (!) দেয়ার জন্য - কষ্ট করে হলেও মেনে নিলাম! কিন্তু রকিবুল ওয়ানডে দলে জায়গা পায় কি করে?

আসুন রকিবুলের পরিসংখ্যানটা দেখি...
Click This Link

এভারেজ ৩০ এর কাছাকাছি, ম্যচ খেলেছেন ৫০ এর মতো, কোন সেন্চুরী নেই, ৮ টা ফিফটি আছে, সর্বোচ্চ রান ৮৯। সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক জায়গা হচ্ছে স্ট্রাইক রেট, ৬০% !! ও আচ্ছা মনে রাখবেন, তিনি বাংলাদেশ দলের ৪ নম্বর ব্যটসম্যান! বোলিং করেন না। তবে তিনি ভাল ফিল্ডিং করে থাকেন। ৫০-৬০ বল খেলে প্রতি ম্যচে ২০- ৩০ রান করে, এভারেজ ৩০ এর কাছাকাছি রেখে, একজন (শুধুমাত্র ব্যটসম্যন হিসেবে) বাংলাদেশের বর্তমান দলে জায়গা করে নিতে পারেন কি? তাও আবার ৪ নং পজিশনে?X(

একজন দর্শক হিসেবে যতটুকু বুঝি, যে কোন দলের জন্য ৪ নং পজিশনটা গুরুত্বপূর্ণ। কারন এই পজিশনে ব্যটসম্যনকে ইনিংসের যে কোন সময়ে নামতে হতে পারে। এই ব্যটসম্যনকে হতে হয় অনেক ডাইনামিক। মিডল অর্ডাররা ওপেনারদের মত ইনিংসের শুরুতেও নামেন না, আবার লেট অর্ডারদের মতো শেষেও নামেন না। তাদের পরিস্থিতির সাথে মানাতে হয় খুব দ্রুত।

বাংলাদেশ দলে রকিবুল জায়গা পেয়েছিলেন আশরাফুলের ব্যর্থতায়। আসুন দেখি তিনি কি করেন! ওপেনাররা যদি তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যায় তখন ইনিংসে একটা চাপ থাকে। তিনি মোটামুটি ৩০ টা বল খেলে ৪-৫ রান করেন, হয় এর মধ্যে আউট হয়ে যান নয়তো ৭০-৮০ বলে (কখনো কখনো ১০০ বলে!) একটা ফিফটি করেন এবং তারপর যখন তার উপর দায়িত্ব আসে ইনিংস ক্যরি অন করার, তিনি স্ট্রাইক রেট বাড়ানোর চেষ্টায় মারতে গিয়ে আউট হয়ে সাজ ঘরে ফেরেন এবং দলকে মোটামুটি একটা বড় ধরনের বিপদে ফেলে যান। তখন বলও থাকে কম, রানের চাহিদাও থাকে বেশি, ফলে পুরো ইনিংসটাই কলাপস করে।X( সে ব্যটিংয়ে নামার পর ২০ বল গেলেই আমি অপেক্ষায় থাকি কত তাড়াতাড়ি সে আউট হয় সেটা দেখার জন্য। আশরাফুলের যুগে অন্তত বল নষ্ট হতো না।:|

আশরাফুলকে ১১ জনে খেলানো হলে আমরা ধরে নিতে পারি যে ১০ জনের দল নামানো হয়েছে! তিনি অন্তত দলের কোন ক্ষতি করেন না! (যদিও ক্যচ মিস করেন মাঝে মাঝে, রকিবুল সেই তুলনায় ভাল ফিল্ডার) কিন্তু রকিবুল রীতিমতো দলের জন্য একজন ক্ষতিকারক ব্যটসম্যন !X((

প্রশ্ন হচ্ছে ৪ নং পজিশনে কে খেলবে?
আমার মতে মুশফিককে এখানে আবার চেষ্টা করা যেতে পারে। তাছাড়া ওপেনিং এ তামিম, ইমরুল আর নাফিস এর পর জুনায়েদকেও ৪নং পজিশনে খেলানো যেতে পারে। মুশফিককে ৪ নং এ খেলানো হলে আরও একটা সুবিধা হবে ৬-৭-৮ নং এ মাহমুদুল্লাহ আর নাইম এর সাথে আরো একজন ব্যটসম্যন নামানো যেতে পারে। অলক এখানে প্রথম পছন্দ হতে পারত। তাই আমি মনে করি রকিবুলের পরিবর্তে অলককে নেয়াটা সুবিবেচকের মত কাজ। এমনকি অভিজ্ঞতার বিচারেও যদি নেয়া হতো (আশরাফুলকে নেয়ার জন্য যেই যুক্তি দেয়া হয়েছে ! :|) তাহলেও অলক এগিয়ে। পাশাপাশি বোলিং এও তিনি ভাল করেন। ফিল্ডিংয়েও ভাল।

দর্শক হিসেবে আমার দল....

১. তামিম
২. ইমরুল
৩. নাফীস
৪. মুশফিক
৫. সাকিব
৬. মাহমুদুল্লাহ
৭. অলক ( বদলি আশরাফুল/শুভ)
৮. নাইম (বদলি হিসেবে আশরাফুল/শুভকেও চেষ্টা করা যেতে পারে)
৯. রাজ্জাক
১০. রুবেল
১১. নাজমুল ( ভাল না করলে শফিউল অথবা শুভ, মাশরাফি ফিট থাকলে অবশ্যই প্রথম পছন্দ!)

১২. শুভ
(দুর্দান্ত ফিল্ডার :D+ লেফট অফ স্পিন !! B-) + কমিটমেন্ট :))

১৩. আশরাফুল
(আমার দলে আশার ফুল আশরাফুলে জায়গা ৭ এর উপর হবে না !)
১৪. শফিউল (রিজার্ভ আক্রমনাত্নক পেসার !)
১৫. জুনায়েদ (রিজার্ভ ওপেনার নয়তো খুব প্রয়োজন হলে ৪ নং)


কিন্তু আফসোস, আমি তো নির্বাচক না, তাই রকিবুলই সই। তবে তাকে ১১ জনের দলে নেয়া হবে আত্নঘাতি সিদ্ধান্ত। তার বদলে আশরাফুল/শুভকে ১১ জনের দলে নিয়ে লেট অর্ডারে খেলানো উচিৎ। বাংলাদেশ দলটা এখন মোটামুটি দাড়িয়ে গেছে, তাই আমরা অন্তত অপশন নিয়ে চিন্তা করতে পারছি!! আগে তো সেই সুযোগটাও ছিল না।



বাংলাদেশ দল যেমনই খেলুক, শুভ কামনা বাংলাদেশ দলে প্রতি।
আল্লাহ না করুক তারা ২য় পর্বে না যেতে পারলেও আফসোস থাকবে না যদি তারা কমিটমেন্ট দিয়ে ভাল খেলা উপহার দেয়।

দোয়া করি এবং আশা রাখি রকিবুল আমার ধারনাকে এই বিশ্বকাপে ভুল প্রমান করে দেবে !! /:) ;) :-B :!> :!> :| :) 8-|

গুড লাক টাইগার্স!!
B-):D

সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৫২
১৬টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×