রাত্রির নিস্তব্ধতা ভেঙে আর ডাক তুলো না রাতপাখি। এসো, আমরা বাতাস ধরে দাঁড়িয়ে থাকি। দ্যাখো, কাঁচকাটা অন্ধকার, এখানে হারিয়ে গেছে তোমার আমার নাল নীল চিঠির খাম। বাতাসে ঢেউ উঠেছে, চোখের নদী ফুঁসতে চাচ্ছে। আর একটু ধৈর্য ধরো রাতপাখি, জোছনাটা উঠলেই আমরা মিশে যাবো পেঁজাতুলো মেঘের মাঝে। জোছনায় দ্যাখো সবুজ মাঠ, মাঠের সাথে লেপটে থাকে আমাদের স্মৃতি।
***
পাখির প্রেমে পড়েছিলাম। পাখির প্রত্যেকটি অঙ্গের জন্য একটা একটা প্রেম জমা ছিলো। পাখির চোখের জন্য ঘুমন্ত প্রেম, পাখির ঠোঁটের জন্য ছোট্ট ফলের প্রেম, পাখির ওম বুকের জন্য কাঁথার প্রেম, পাখির ডানার জন্য ভেসে থাকা প্রেম। ও পাখি, এবার আমায় একটু প্রেম দাও, তোমার প্রেমের নরম বালিশে আমি একটু গুটিয়ে ঘুমিয়ে থাকি!
***
আর কতোকাল, বলো আর কতোকাল, একা একা বারান্দাটায় বসে গান গাইবি পাখি? এই গানের বিনিময়ে যার হৃদয় চেয়েছিলি সে বোঝেনি, পাখিরে সে বোঝেনি গানের বিনিময়তুল্য নয় কিছুই! সূর্য ওঠার আগে পাখি তুই স্বচ্ছ জলের গান গাস, যেখানে আত্মারা আত্মাহুতি দিয়েছিলো ভোরের আগের অন্ধকারে! পাখি, তুই আবার বিষের সুর তোল! আমি বন্ধ দুয়ার দূর জানালায়, ভেসে তোর ডানায়, রোদ জলহীন দম আটকানো স্বপ্নে ডুব দেবো!