আঁশযুক্ত খাদ্য বেশি খাবেন:
০ সবুজ শাক-সবজি ০ সালাদ
০ ছোলা, বুট
০ টক ফল- খোসা সহ পেয়ারা, আমলকি, কামরাঙ্গা, আমরা, লেবু ও বরই।
চর্বি জাতীয় খাবার কম খাবেন:
০ উপকারী ফ্যাট বা অসম্পৃক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া ভালো
০ সব রকমের মাছ
০ সামুদ্রিক মাছ
০ উদ্ভিজ তেল-কর্ণওয়েল, সানফ্লাওয়ার ওয়েল, সয়াবীন তেল, সরিষার তেল (ক্যালরি অনুযায়ী)।
যে সব খাবার পরিমিত পরিমাণে খাবেন:
০ শর্করা জাতীয় খাবার
০ দুধ বা দুধের তৈরি খাবার (সর ছাড়া দুধ)
০ চিনি-মিষ্টি জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব কম।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা থেকে যে খাবারগুলোকে বাদ দিতে হবে:
০ খাসির মাংস
০ মাংসের চর্বি
০ গরুর মাংস (রানের মাংস মাসে ২/৩ বার অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে)
০ মগজ
০ কলিজা
০ গলদা চিংড়ি
০ মাছের ডিম
০ ডিমের কুসুম (ডিমের সাদা অংশ খাওয়া যাবে) হাঁস ও মুরগির চামড়া
০ হাড়ের মজ্জা
০ ঘি, মাখন, ডালডা, নারকেল, মার্জারিন।
আরো কিছু খাবার টিপস:
০ মেথি
০ করলার রস
০ ইসুবগুলের ভূষি এগুলো রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
রন্ধনপ্রণালী:
মনে রাখবেন, খাবার প্রস্তুতপ্রণালীর সাথে ক্যালরি হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে, যা ওজন কমাতে বা বাড়াতে সাহায্য করে। বিষয়টির সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক খুবই নিবিড়। রান্নার ক্ষেত্রে নিচের নিয়মাবলি মেনে চলুন-
০ খাবার ডুবো তেলে ভাজা যাবে না
০ ভাজার চেয়ে গ্রিল করা খাবার ভালো
০ বেশি মশলা ও ভাজা খাবার রান্না করা উচিত না
০ খাবার ভালো রান্না বা কম তেলে রান্না করা ভালো।
আরও কিছু পরামর্শ:
মনে রাখবেন, প্রয়োজনের তুলনায় শরীরের ওজন বেশি হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই নিচের টিপসগুলো মেনে রাখুন।
০ সুযোগ পেলেই হাঁটুন
০ ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ছেড়ে দিন
০ মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন
০ টেস্টিং সল্ট অথবা লবণ খাবেন না
০ ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখুন
০ খাবারে কাঁচা লবণ খাবেন না।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে হলে খাদ্যাভাসের পরিবর্তন অনিবার্য। প্রতিদিন নিয়মমাফিক সুষম খাবার গ্রহণ করুন। হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হলে আপনাকে অবশ্যই পুষ্টিসচেতন হতে হবে।
( সংকলিত)
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৭