মধ্যরাত পেরিয়ে যাচ্ছে।
এক দার্শনিক বসে ভাবছেন, জীবনের উদ্দেশ্য কী? ভোগ বিলাস ও মৃত্যু, এই কি জীবনের চরম পরিনতি? তাহলে পশুর জীবনের সঙ্গে মানুষের জীবনের পার্থক্য কী? এতটুকু পরিস্কার, ভোগ বিলাস জীবনের সব নয়। সম্পদ, অপরের উপর দাপট, এসব অতি তুচ্ছ বিষয়। তাহলে আসল বিষয় কোনটা? ভাবতে হবে। অনেক ভাবতে হবে। ভাবতে ভাবতেই একটা পথ বের হয়ে আসবে হয়তো।
ভোর হতে আর বেশি সময় বাকি নেই।
দার্শনিকের হাতে বিষ। চিরসুখ বা চিরশান্তি দীর্ঘস্থায়ী নয়। ঈশ্বর কে? তিনি কোথায়? গির্জা, কাবা, মন্দির ঈশ্বরের ঘর হতে পারে না। মানুষের মন তো শুন্য পদ্মপাতা। বৃথা সময় চলে যাচ্ছে। নতুন একটা ধর্মের প্রয়োজন আজ। যে ধর্ম গ্রহণ করলে পাপ করা যাবে না। সৎকর্ম করতে হবে। মুক্তির পথ মিলবে। এবং অতীতের ভুলে ভরা, লজিকহীন ধর্ম গুলো শুধরানো যাবে।
দার্শনিক জানেন, কর্মচারীদের কিছুটা চুরীর প্রশ্রয় না দিলে সঠিক কাজ আদায় সম্ভব নয়।
তবে হুশিয়ারি টা অব্যহত রাখতে হয়। একটু চেষ্টা করলে জানা যায়, কোন নারী বারোভাতারী। প্রতিনিয়ত ব্যভিচার চলছে, কিন্তু গর্ভবতী হওয়া যাবে না। হলেই পাপ। জগতে ধর্ম বলে কি কিছু নেই, যা খুশি করলেই হলো? জগতে ধর্মের প্রয়োজন আছে। সহজ সরল একটা ধর্ম। এবং এই ধর্মে আজগুবি গল্প থাকলে চলবে না।
যৌবনে দার্শনিক বিয়ে করেছিলেন।
মাতা প্রশ্ন করেছিলেন কাকে বিয়ে করে আনলি রে খোকা? দার্শনিক লাজুক ভাবে হেসে, মুখ নীচু করে বলেছিলো, মা তোমার জন্য কাজের বুয়া এনেছি। ঠিক তখন উপস্থিত সকলে তালি দিতে শুরু করলো। বিয়ের পর ছেলেরা বেকায়দায় পরে যায়। একদিনে মা। অন্যদিকে স্ত্রী। দুজনকেই শান্ত রাখতে হয়। কিন্তু এই দুজন যদি মিলে থাকে, তাহলে শান্তি বিরাজ করে। কিন্তু তাঁরা ইঁদুর বিড়াল খেলায় মত্ত। ফলাফল ছেলের দুর্ভোগ।
বাসররাতে দার্শনিক ঘামছিলো।
বড় কঠিন রাত! দিশেহারা অবস্থা। কখনও কখনও অতি নিরিহ লোকও খুন করে ফেলতে পারে। কিছু সময় পর নতুন বউ বাঈজী নাচ শুরু করলো। দার্শনিক মদের বোতল বের করলো। স্ত্রীকে খুশি রাখাই স্বামীর প্রথম দায়িত্ব। অপরুপ লাগছে নতুন স্ত্রীকে। কি রুপ! কিন্তু এই রুপের সাগরের ভেসে গেলে চলবে না। স্ত্রীকে কঠিন চিপায় রাখতে হবে। তাহলে মা খুশি হবেন। অন্যের একটা মেয়েকে বিয়ে করে এনে চাপে রাখা কি অন্যায় নয়? দার্শনিক ভাবে স্ত্রী আর মা ঝগড়া করুক গে। আমি নিরপেক্ষ থাকবো।