বাক স্বাধীনতা কিংবা যা মনে আসছে তাই লিখে বা বলে ফেলছেন, খুব একটা ব্যাক স্পেস চাপতে হচ্ছে না এখন, তবে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে এবং যে কোন দল নির্বাচিত হয়ে গেলেই এই স্বাধীনতা আর থাকবে বলে মনে হয় না, অবস্থা এখনই তেমন মনে হচ্ছে, বরঞ্চ এখন যারা যা লিখছেন সেটাও মুছে ফেলতে হবে বলেই মনে হয়! প্রফেসর ইউনূস সাহেবের সময়েই আমরা এই স্বাধীনতা ভোগ করে গেলাম!
দেশে আরেকটা ব্যাপার লক্ষ করলাম, মানুষ এখন প্রাণ খুলে গান গায়, সন্ধ্যা নামলেই ঢাকার অনেক স্থানেই দেখি মানুষ জড় হয়ে নানান বাদ্যযন্ত্র এবং তালি দিয়ে গান গায়। বিষয়টা আমার কাছে ভাল লাগে। যে কোন স্থানে ফুটপাতে এমন জড় হয়ে গান গাইতে কোন পুলিশের পারমিশনের দরকার হয় না কিংবা কেহ এসে বাঁধাও দেয় না বা বলেও না এখানে গান গাওয়া যাবে না। গত লীগের আমলে এমন কাজ করতেও পুলিশের পারমিশন লাগত, আর পুলিশে যেতে হবে বলে মানুষ এই আনন্দ করতে ইচ্ছাই প্রকাশ করত না! সাধারন মানুষের এই স্বাধীনতাও ভোটের পরে শেষ হবে বলে মনে হয়!
দেশের নাটক সিনেমাতেই বেশ পরিবর্তন খেয়াল করলাম, বাজার খুলে যাচ্ছে, অনেকেই আবার সিনেমা হলে যাচ্ছেন, নাটক দেখছেন, ষ্টেজ শো হচ্ছে, মেলা হচ্ছে, বিভাগীয় ও জেলা শহরে সিনেমা দেখার একটা ধুম লক্ষ করছি। এই ঈদে শুনেছি ৬টা সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, অবাক করার মত ব্যাপার। ্ভোটের পরে দলের লোকেরা এই খাতে এগিয়ে আসলেই আবারো সব শুন্য হবে।
ভোটের পরে সরকারী অফিস আদালতে ঘুষ বানিজ্য কমিশন ইত্যাদি পুনরায় চালু হবে বলেই আভা দেখা যায়, করিতকর্মা সেই চাকুরীজীবিদের মুচকি হাসি দেখেই বুঝতে পারি!
ভোটে জিতে কে সরকার গঠন করবে তাও অনুমান করা যায়, তবে দুঃখ লাগে এই দলের অনেকেই নিজেদের হানাহানিতে প্রাণ দিবে, যা মেনে নেয়া কষ্টকর, কোন মায়ের বুকের ধন অকালে মৃত্যু মুখে পড়ুক তা চাই না, কষ্টকর।
পরাজিত পলায়িত দল যদি কখনো চাড়া দিয়ে উঠতে পারে তবে কাদের বুকে উঠে প্রথমেই মাথা আলাদা করবে তাও অনুমান করা যায়, তবে যারা এই ঘটনায় পড়বে তাদের কোন বোধের উদয় আছে বলে মনে হয় না!
যে সব সাংবাদিক মিডিয়া হাউজ এই সময়ে নিজদের স্বাধীন মনে করছেন না, তারা মুলত গোলামের পুত গোলাম! তারাও অপেক্ষা করছেন ভোটের, ভোটের পরেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে বসে আছে বলেই মনে হয়।

সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:১৮