ভাই নাঈম আর বোন নাবিলা
নাঈম ও নাবিলা দুই ভাই-বোন।
তাদের বাবা মারা গেলেন এবং রেখে গেলেন উত্তরাধিকার হিসাবে ১৮ লাখ টাকা।
ইসলামি বণ্টন অনুযায়ী:
ভাই নাঈম পাবেন: ১২ লাখ টাকা
বোন নাবিলা পাবেন: ৬ লাখ টাকা
১০ বছর পর…
= নাঈম বিয়ে করেছে। তার স্ত্রী, দুই সন্তান এবং বৃদ্ধ মা আছে।
= সে একটি বাসা ভাড়া নেয়, সংসার চালায়, সন্তানদের পড়াশোনা করায়, মা’র ওষুধ কিনে দেয়।
= সব মিলিয়ে, ১০ বছরে তার খরচ হয়: ৮ লাখ টাকা
= স্ত্রীকে মোহরও দিয়েছে: ৩ লাখ টাকা
নাঈমের হাতে থাকে:
১২ লাখ - (৮ লাখ + ৩ লাখ) = ১ লাখ টাকা
=> অন্যদিকে, নাবিলা-ও বিয়ে করেছে।
=> তার স্বামী সংসারের সব খরচ চালায়।
=> নাবিলা নিজের উত্তরাধিকার থেকে প্রাপ্ত সম্পদ অক্ষুন্ন আছে ,
নাবিলার হাতে আছে:
৬ লাখ + মোহর ৩ লাখ = ৯ লাখ টাকা (কোনও দায় নেই)
চূড়ান্ত হিসাব:
-----------------
ব্যক্তি --------------- প্রাপ্ত অর্থ ------------------------ খরচ ------------------------ সর্বশেষ হাতে
নাঈম (ভাই) -------- ১২ লাখ ------------------------ ১১ লাখ ------------------------ ১ লাখ টাকা
নাবিলা (বোন) -------- ৬ লাখ + ৩ লাখ মোহর = ৯ লাখ --- ০ ------------------------ ৯ লাখ টাকা
ফলাফল:
পুরুষ দ্বিগুণ পায় কারণ তার দায়িত্ব দ্বিগুণ
নারী কম পায়, কিন্তু সবটাই নিজের—দায়মুক্ত
তাই, ইসলামে বন্টন সমতা নয়, বরং ন্যায়ের ভিত্তিতে।
যেখানে যার দায়িত্ব বেশি, তার প্রাপ্তিও বেশি—কিন্তু সেই অর্থ পুরোটা তার নিজের না!
যদি সম্পদ সমান বণ্টন হতো (ইসলামি বিধান না মানলে)
========================================
নাঈম ও নাবিলা প্রত্যেকে পেতেন: ৯ লাখ
১০ বছর পর:
নাঈম:
খরচ: ৮ লাখ (সংসার) + ৩ লাখ (মোহর) = ১১ লাখ
টাকা স্বল্পতা: ৯ - ১১ = -২ লাখ (ঋণে ডুবে যেত!)
নাবিলা:
হাতে: ৯ + ৩ (মোহর) = ১২ লাখ (দায়মুক্ত)।
তুলনা:
ব্যক্তি --------------- প্রাপ্ত অর্থ --------------- খরচ --------------- সর্বশেষ হাতে
নাঈম --------------- ৯ লাখ --------------- ১১ লাখ --------------- -২ লাখ (ঋণ)
নাবিলা --------------- ৯ + ৩ = ১২ লাখ --------- ০ -------------------- ১২ লাখ
ফলাফল:
সমান বণ্টনে নাঈম ঋণগ্রস্ত হতো, নাবিলার সম্পদ অক্ষুণ্ণ থাকত।
ইসলামি বিধান ন্যায়ভিত্তিক, যেখানে দায়িত্ব ও অধিকার সমন্বিত।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৪৭