জনৈক সাংবাদিক- আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে চাচ্ছিলাম।
জনৈক খাতুন- কী দরকার ?
সাংবাদিক- পদ্মাসেতু নিয়ে একটা টিভি রিপোর্ট তৈরি করবো।
খাতুন- ওনার সাথে ৪৮ ঘণ্টার আগে দেখা হবে না। যা বলার আমাকে বলো...
সাংবাদিক- আপনি তো প্রধানমন্ত্রী না, যোগাযোগমন্ত্রীও না। এই ব্যাপারে আপনি কী বলবেন !? আমি বরং দুইদিন পরই আসি।
খাতুন- ওই ছোকরা, দুইদিনে কি ৪৮ ঘণ্টা শেষ হয় নাকি ?! আর, সৈয়দ আশরাফ নোবেল প্রাইজ নিয়ে কথা বলতে পারলে আমি সামান্য পদ্মাসেতু নিয়ে কথা বলতে পারবো না কেন ?
সাংবাদিক- তা ঠিক, যে দেশের যেই রীতি ! তা আপা, বলেন তো... আমাদের নিজেদের অর্থায়নে কীভাবে এই সেতু নির্মাণ সম্ভব ?
খাতুন- আরে, এইটা কোন ব্যাপার ? আমার কয়েক মাসের "ফেয়ার এন্ড লাভলি"র টাকা জমাইলেই তো দুই-চারটা পদ্মা সেতু হয়ে যায় ! তোমার কয়টা লাগবে সেটা বলো। বাসার সামনে পদ্মা সেতু দরকার হইলে বইলো, হয়ে যাবে... হে হে !
সাংবাদিক- আমার বাসার সামনে তো পদ্মা নাই, পদ্মাসেতু হবে কীভাবে ?!
খাতুন- না থাকলে একটা পদ্মা বানায় নিবো, চিন্তা কিসের ? জানো তো সাংবাদিকেরা আমার ছেলের মতো !
সাংবাদিক- ইয়ে, থাক ! এতকিছুর প্রয়োজন নাই, একটা পদ্মাসেতুই আপাতত দরকার। তা এই সেতু আমরা কবে নাগাদ পাচ্ছি ?
খাতুন- ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদ্মার উপর সেতু উঠে যাবে, ইনশাল্লাহ !
সাংবাদিক- বলেন কী !? তবে কি এই পরশু আমরা বহু আকাঙ্ক্ষিতসেই পদ্মাসেতু পাচ্ছি ?
খাতুন- ওহে বোকা ছোকরা, তুমি সাংবাদিকতা করো কত দিন ?
সাংবাদিক- বেশি দিন না, সাগর-রুনি দম্পতি গত হওয়ার পরই আমি আগত।
খাতুন- তুমি আগত হওয়ার পর বেশ কয়েক মাস তো শেষ হয়ে গেল, ৪৮ ঘণ্টা কিন্তু এখনো শেষ হয় নাই, হে হে !
"হ্যাঁ, ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে গেলেও তেলাপোকা টিকে আছে; ঠিক ওই ৪৮ ঘণ্টার মতোই নির্লজ্জ এবং জঘন্যভাবে" এই কথাটুকু না বলেই ছোট একটা দীর্ঘশ্বাস গোপন করে চলে আসলো জনৈক সাংবাদিক...!
(আগাগোড়া কাল্পনিক একটি লেখা। বাস্তবের কোন কিছুর সাথে মিলে গেলে সেটা নিতান্তই বাস্তবতার সমস্যা !)