
প্রথমে উনার বংশ পরিচয় দিই; উনি এনাদের (Squid, Stingray) বংশের। উনারা দুই পাশের ডানার (Fin) সাহায্যে সমুদ্রের নিচে চলাচল করেন।

এরপর দেখেন উনাদের পূর্ব-নারীদের


এরপর ২০০৪ সালে আসলেন উনার দ্বিতীয় প্রজন্ম (Model 2)। উনি নিজে নিজে সাঁতার কাটতে পারতেন ঠিকই, নিন্তু উনাকে গোছল করানোর সময় দাসদাসীদের বিশাল বহর সাথে যেতে হতো উনার ইয়া লম্বা তার বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।


২০০৬ সালে আনা হলো ইনাকে (Model 3); চেহারা বড়ই সৌন্দরয্য, তারটারের ঝামেলাও তেমন ছিল না। এক কথায় রুপেগুনে অতুলনীয়া।

কিন্তু এক জনকে আর কয়দিন ভাল লাগে


দেখেই বুঝতে পারছেন উনার চেহারা মারসাল্লাহ! শুধু চেহারাই নয় ইনি আগের সবার তুলনায় অনেক বেশী efficient । পানির নিচে মাছেদের সাথে উনি এমন ভাবে সাঁতার কাটেন যে মাছরাও বুঝতে পারে না যে উনি আলাদা কিছু। বিশ্বাস না হয় ভিডিও টা দেখেন!
সব ভালই ছিল, কিন্তু উনার পেটের ভিতর নাড়ি ভুড়ি বড্ড বেশী, তাই ওজন টাও মারশাল্লাহ! তাছাড়া নাভীর ভিতর থেকে বের হয়ে থাকা ওই তারটা তার সৌন্দরয্যে বড়ই ব্যঘ্যাত ঘটাচ্ছিল। উনি আবার খুব রাশভারী টাইপের ছিলেন, উনাকে ইচ্ছা মত নাড়াচাড়া করতে গেলে উনি বেকে বসতেন। তাই কম্পিউটারে উনার ডামী বানিয়ে নেওয়া হলো উনাকে অধিকতর পর্যবেক্ষনের জন্য।

এখন হচ্ছে সিম্পিল এর যুগ; Simple is the Best. তাই মাত্র সেদিন ইনাকে ঘরে আনা হলো।



উনার কাপড় চোপড় সব এখনও পরানো হয়নি




পানির নীচে যেকোন ধরনের Investigation, Survey, Repair অথবা Military Spying এর কাজে উনাকে লাগানো যাবে বলে আশা করছি।
আপাতত এই জলপরিকে নিয়েই আমার সকল ধ্যান-জ্ঞ্যান, আমার স্বপ্ন দেখা.........
আমার জলপরীর গল্প এখানেই শেষ!
সবাই ভাল থাকুন!