বইয়ের নাম : আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : আদি ভৌতিক উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ২০০৩
প্রকাশক : অন্য প্রকাশ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৯৫
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট
কাহিনী সংক্ষেপ :
ফখরুদ্দিন পাগলাটে মানুষ। তাদের বংশের মধ্যে পাগলের ইতিহাস আছে। তার দাদি পাগল হয়ে গিয়ে ছিল, তার বাবাও এক সময় পাগল হয়ে যায়। তাই তার স্ত্রী রূপার ধারনা সেও পাগল হয়ে যাচ্ছে। অবশ্য তার মধ্যে পাগলামির অনেক লক্ষণ আছে। যেমন সে বাঁদরের সাথে কথা বলে, রাত দুপুরে একা ছাদে শুয়ে থাকে, উলটা পালটা এক্সপেরিমেন্ট করে। তার ধারনা তাদের বাড়িতে ভূত আছে, তিনি একদিন হঠাৎ করেই একটি মেয়ের কথা শুনতে পান। একা থাকেন বলেই এটা হচ্ছে মনে করে তিনি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। তার মামা রূপার বড়বোনের সাথে বিয়ে ঠিক করলেন এবং মেয়ে দেখতে যাওয়ার দিনই এক প্রকার জোর করে বিয়ে করিয়ে ফেললেন। পরদিনই সেই বিয়ে ভেঙ্গে গেলো। কিছুদিন পরে আবার সমস্ত অনুষ্ঠানাদি করেই রূপার সাথে তার বিয়ে হল। যে সমস্যার কারণে বিয়ে সেই সমস্যার কিন্তু সমাধান হয় না। বিয়ের পরেও সে ভূত মেয়েটির কথা শুনতে পায়, মেয়েটি তার মান বলে কাসা।
এদিকে রূপার বাবা হঠাৎ করেই মারা য্ন। মৃত্যুর সময় রূপাসহ তারা তিন বোনই বাবার কাছে ছিল। মৃত্যুর ঠিক আগে আগে তিনি বাথরুমে যাওয়ার জন্য তার চটি জোড়া চাইলেন, কিন্তু তার মেয়েরা কোথাও সেই চটি খুঁজে পেলো না। চটি চটি করেই তিনি মারা গেলেন, আর তার তিন মেয়ে শুনতে পেলো কেযেন চটি পায়ে বাথরুমের হেঁটে যাচ্ছে। এই চটি পরা ভূতের ভয়ে তারা তিন বোন তাদের বাড়ি ছেড়ে রূপার স্বামী ফখরুদ্দিনের বাড়িতে আসতে বাধ্য হল।
ফখরুদ্দিন ভূতের ভয়ে অস্থির রূপার বড় বোনকে চোখে আলো ফেলে ভয় দেখাতে গিয়ে দেখা গেলো সে ভয় পেয়ে মারা গেছে। অন্যদিকে বড়বোন মারা যাওয়ার জন্য ছোট দুই বোন রূপা তার তার ছোট বোন ছোটন দুজনেরই মন খারাপ।। তারা সব সময়ই কান্নাকাটি করে। ফখরুদ্দিন নানা এলোমেলো কথা বলে এবং সে ছোটনকে ভালোবাসে ইত্যাদি কথা বলে ছোটনকে বিভ্রান্ত করে ফেলে। বিভ্রান্ত ছোটনকে সে ধীরে ধীরে কৌশলে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়। কিছুদিনের মধ্যেই ছোটন বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করে।
ফখরুদ্দিনের মানুষিক রোগ আরো বাড়তে থাকে। এখন সে কাসাকে দেখতে পারে, পাশাপাশি শুয়ে থাকতে পারে। কখনো সে কাসাকে দেখে রূপার মত, আবার কখনো দেখে ছোটনের মত। অন্যদিকে রূপাও শোকে বিপর্যস্ত হয়ে পরে। তাকে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করিয়ে দেয়। দুই বছর ধরে রূপা সেখানেই আছে। ফখরুদ্দিন প্রতি মাসে একবার রূপাকে দেখতে যায়। এখন ফখরুদ্দিন সারাদিন পাখি দেখে বেড়ায়, কারণ সে বাংলাদেশের পাখি নিয়ে একটা বই লিখবে। তার রাত কাটে কাসার সাথে কথা বলে। ভালই আছে সে।
----- সমাপ্ত -----
=======================================================================
আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২৬