লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
পাঠকদের মনে রাখতে হবে আমার লেখা অন্যসব কাহিনী সংক্ষেপের মতো এই কাহিনী সংক্ষেপটিও স্পয়লার দোষে দুষ্ট। এই কাহিনী সংক্ষেপে সম্পূর্ণ উপন্যাসের মূল কাহিনীর ধারাবাহিক বর্ননা করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাই এখানে উল্লেখ আছে। যেহেতু আমার কাহিনী সংক্ষেপ স্পয়লার দোষে দুষ্ট হয়, তাই আমি সবসময় অনেক দিনের পুরনো বইয়ের কাহিনী সংক্ষেপ লিখি।
====================================================================
কাহিনী সংক্ষেপ :
অনিল বাগচী খুবই ভীতু ধরনের হিন্দু যুবক। সেই ছোটবেলা থেকে সে অসম্ভব রকমের অস্বাভাবিক ভয় নিয়ে বেড়ে উঠেছে।
সময়টা ১৯৭১ সালের মুক্তি যুদ্ধের সময়। অনিল ঢাকাতে থেকে একটি চাকরি করে। একটি মেসে সে একা একা থাকে। তার বাবা ও বড় বোন থাকে গ্রামে। তার বাবা একটি স্কুলে মাস্টারী করতেন। এখন রিটার্য়াড করেছেন।
একদিন একটি ছেলে গ্রাম থেকে আসে চিঠি নিয়ে অনিলের জন্য। অনিলকে না পেয়ে অনিলের পাশের কামরায় চিঠিটি দিয়ে যায়। চিঠিতে জানা যায় অনিলের বাবাকে পাকিস্তানী মিলিটারিরা গুলি করে মেরে ফেলেছে। তার বড় বোন আছেন স্কুলের হেডমাস্টারের বাড়িতে। একথা জানার পর অনিল তার অফিসে যেয়ে বসের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে রওনা হয়ে যায় বাড়ির পথে।
যুদ্ধের সেই সময় সমস্ত রাস্তাজুড়ে পাকিস্তানী মিলিটারিরা চেক করছে। যাদের সামান্য সন্দেহ আছে তাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে হিন্দু আর যুবকদের ছাড়ছে না। তবুও সবকিছু তুচ্ছ করে অনিল তার গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাসে উঠে। রাস্তার মধ্যেই চেকিং হয় এবং তাকে পাকিস্তানী মিলিটারিরা আটকে রাখে। জোৎসনা রাতে পাকিস্তানী মিলিটারি হানাদার বাহিনী অনিলকে নিয়ে যায় নদীর ধারে গুলি করে মারবে বলে। কিন্তু অনিল বাগচী সামান্যতম ভয়ও সেদিন পায়নি।
----- সমাপ্ত -----
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
হুমায়ূন আহমেদ
১৯৭১
অচিনপুর
অয়োময়
অদ্ভুত সব গল্প
আজ আমি কোথাও যাব না
আজ চিত্রার বিয়ে
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ
গৌরীপুর জংশন
হরতন ইশকাপন
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভয়ংকর সুন্দর
মিশর রহস্য
খালি জাহাজের রহস্য
ভূপাল রহস্য
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক
সবুজ দ্বীপের রাজা
অন্যান্য
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
অনুবাদ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০৯