প্রথম পর্বে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে সাহস বেড়েছে। তাই এবার আরো কিছু দিলাম।
১.
এক লোক প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার সময় রসিকতা করে স্ত্রীকে বলে, বিদায় ওগো চার সন্তানের মা।
একই কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে একদিন স্ত্রী বলল, টাটা, ওগো দু’সন্তানের বাবা।
২.
এক লোকের বাড়ি সার্চ করে জাল নোট পাওয়ার যন্ত্রপাতি পাওয়া গেল। তাকে গ্রেফতার করা হলো।
লোকটি পুলিশের উদ্দেশ্যে বলল, আমাকে গ্রেফতার করা হলো কেন? আমার কাছে তো জাল নোট পান নি।
পুলিশঃ তাতে কি! জাল নোট ছাপার যন্ত্রপাতি তো পেয়েছি।
সেই লোকঃ তাহলে আমাকে রেপ করার জন্য গ্রেফতার করুন।
পুলিশঃ কেন, আপনি কাউকে রেপ করেছেন?
সেই লোকঃ না, রেপ করার যন্ত্র তো আছে!
৩.
অপূর্ব সুন্দরী এক রোগিনীকে অনেকক্ষণ ধরে পরীক্ষা করার পর ডাক্তার তাকে পরামর্শ দিলেন- আপনার শরীরের যে অবস্থা তাতে করে আজ আর আপনার অফিসে যাওয়া ঠিক হবে না। সোজা বাসায় গিয়ে দু’চামচ এ ওষুধটা খেয়ে শুয়ে থাকুন। দরজায় তিন টোকা না পাওয়া পর্যন্ত দরজা খুলবেন না।
৪.
ছোট্ট ছেলে অনি তার সদ্য বিয়ে হওয়া বোনের বাড়ি বেড়াতে গেছে। হৈ চৈ করে সে নব-দম্পতির জীবন অতিষ্ঠ করে তুলল। আপা সহ্য করে যাচ্ছিলেন কিন্তু এক পর্যায়ে দুলাভাই তার কান মলে দিলেন।
কানমলা খেয়ে সে একটুও কাঁদল না, হৈচৈও করল না। শুধু সন্ধারাতে চুপিচুপি আপার ঘরে ঢুকে কুইনিন বড়ি গুঁড়া করে সযত্নে আপার ফেস পাউডারের সাথে মিশিয়ে দিল। :-&
৫.
পুলিশের চাকরির মৌখিক পরীক্ষা চলছে।
প্রশ্নকর্তাঃ তুমি যদি ঘরে ফিরে দেখ সম্পূর্ণ অচেনা একজন লোক তোমার বেডরুমে বসে আছে, তাহলে তুমি কী করবে?
মহিলা প্রার্থীঃ তাকে বের হয়ে যাবার জন্য আটচল্লিশ ঘন্টা সময় দেব। :-&
৬.
জমজমাট এক পার্টি। ঝলমলে চুলের সন্দরী এক তরুণীর দিকে এগিয়ে গিয়ে এক তরুণ বলল, চুলের যত্নে তুমি কি কর?
তরুণী বলল, সপ্তাহে তিনদিন শ্যাম্পু করি, একদিন ডিম দিই, একদিন মেহেদী মাখি। নিয়মিত আঁচড়াই……… এই তো।
এরপর তরুণটি জিজ্ঞেস করল, আর মাথার চুলের যত্নে?
৭.
ফুটপাতে বসে কাঁদছিল ছোট্ট একটি ছেলে। পাশ দিয়ে এক বৃদ্ধ যাচ্ছিলেন। ছেলেটিকে দেখে তার খুব মায়া হল।
বৃদ্ধঃ কী বাবা, কাঁদছ কেন?
ছেলেঃ কাঁদছি কারণ বড়রা যা করতে পারে আমি তা করতে পারি না।
বাচ্চার কথা শুনে বৃদ্ধটিও ছেলেটির পাশে বসে কাঁদতে শুরু করল।
৮.
দুই ঘনিষ্ট বন্ধুর কথোপকথন।
প্রথম বন্ধুঃ আমার স্ত্রীর লিপস্টিকের স্বাদ অন্য মেয়েদের থেকে একদম অন্যরকম।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ ঠিক বলেছিস, কেমন যেন কমলা কমলা স্বাদের!
৯.
প্রেমিকাঃ বলো তো ইন্টারকোর্সের সময় ছেলে না মেয়ে কে বেশি আনন্দ পায়?
প্রেমিকঃ অবশ্যই মেয়ে।
প্রেমিকাঃ কেন?!?!
প্রেমিকঃ যখন কাঠি দিয়ে কান খোঁচাও, আরামটা কার লাগে কাঠির না কানের??
১০.
বিচারকঃ আপনি ডিভোর্স চাইছেন কেন?
স্বামীঃ কারণ আমার বৌ গত দু’বছর যাবৎ আমার সাথে কথা বলে না।
বিচারকঃ সে কী! এই না বললেন গত মাসে আপনাদের একটা বাচ্চা হয়েছে?
স্বামীঃ সে জন্য তো আর কথা বলতে হয় না।
১১.
বাবাঃ মামণি এবার ঈদে কি নেবে?
ছোট্ট মেয়েঃ একটা ছোট ভাই।
বাবাঃ ঈদের তো মাত্র এক মাস বাকি! এত তাড়াতাড়ি তো ছোট ভাই আনা যাবে না।
ছোট্ট মেয়েঃ বেশি লোক লাগিয়ে দাও।
১২.
চুরাশি বছরের এক বৃদ্ধ বিয়ে করল আঠার বছরের এক তরুণীকে। বৃদ্ধ বৌকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলেন পরামর্শ চাইতে যে কীভাবে তাদের সন্তান হবে।
তখন ডাক্তার তাকে এক গল্প শোনালেন- এক শিকারি একদিন বনে গেলেন বাঘ শিকার করতে। বাঘও চলে এলো একটা। তিনি বন্দুক তুলে নিলেন গুলি করতে, কিন্তু তিনি খেয়াল করলেন যে বন্দুকের বদলে তিনি ছাতা নিয়ে এসেছেন। কী আর করা, বাধ্য হয়ে ছাতা দিয়েই গুলি করলেন। বাঘও মরল।
শুনে বৃদ্ধ অবাক হয়ে বললেন, এটা কি করে সম্ভব! ছাতা দিয়ে কি আর গুলি করা যায়? নিশ্চয়ই অন্য কেউ পাশ থেকে গুলি করেছে।
ডাক্তার উত্তর দিলেন, আপনি ঠিকই ধরেছেন।
১৩.
দুই লোক রাস্তায় দাঁড়িয়ে মারামারি করছে। আর একটা বাচ্চা দাঁড়িয়ে তা দেখছে। এক পর্যায়ে পুলিশ বাচ্চাটিকে জিজ্ঞেস করল, তোমার বাবা কোনজন?
বাচ্চাটি উত্তর দিল, এটা ঠিক করার জন্যই তো ওরা মারামারি করছে।
১৪.
এক সদ্য বিবাহিত তরুণ এক ডাক্তারের সাথে কথা বলছে-
তরুণঃ প্রথমবার আমি এত ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম যে একটু থেমে রেস্ট নিলাম। দ্বিতীয় দফায় মনে হচ্ছিল আমার বুক ফেটে যাবে। আর তৃতীয় দফায় মনে হল আমার হার্ট এটাক হয়ে যাবে…।
ডাক্তারঃ আপনার স্ত্রী…।
তরুণঃ এখানে স্ত্রীর প্রসঙ্গ আসছে কেন? আমি থাকি চার তলায়। চার তলায় উঠার কথা বলছি।
১৫.
লিপস্টিক কেনার জন্য স্বামীর কাছে টাকা চাইল স্ত্রী।
স্বামী বিরক্ত হয়ে বলল, তোমার লিপস্টিক কিনতে কিনতেই তো ফতুর হয়ে যাব!
স্ত্রী হেসে উত্তর দিল, হলে আমি কী করব! অর্ধেক তো তোমার পেটেই যায়।
যথারীতি সবগুলোই সংগ্রহের। কার কোনটা ভাল লাগল জানাবেন। পরের জোক্সের পোস্টে স্পেশাল একটা সিরিজ দেয়ার ইচ্ছা আছে!
আমার প্রিয় কিছু ১৮+ জোক্স (১)
আমার প্রিয় কিছু ১৮+ জোক্স (৩)