somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইহা হইলে যাহা হইত (ফানপুষ্ট)

০২ রা এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পরীক্ষা সমাপ্ত হইয়াছে এই উপলক্ষ্যে বাড়িতে আসিয়াছি। আসিয়াছিলাম বিশ্রাম লইবার নিমিত্তেই। কিন্তু বারংবার বিদ্যুৎ এর লুকোচুরি খেলায় নাভিশ্বাস উঠিয়া যাইতেছে। হলে থাকিতে হয় বলিয়া বিদ্যুৎ এর এই রূপ এতদিন দেখিতে হয় নাই। ডিজিটাল বাংলাদেশের নানাবিধ দুর্নাম করিয়া ফেসবুকে দুইখানা স্ট্যাটাসও লিখিয়া ফেলিলাম। তারি মধ্যে চিন্তা করিতে লাগিলাম গত নির্বাচনী বৈতরনী যদি আপার দল না পার হইয়া ম্যাডামের দল পার হইত, তবে কি হইত? বিদ্যুৎহীন অবস্থায় তাহাই কতক্ষণ যাবত চিন্তা করিলাম এবং ব্লগারদের উদ্দেশ্যে নিবেদন করিলাম।

বিদ্যুৎ এর কথা বলিয়া যখন শুরু করিয়াছি তখন বিদ্যুৎ এর কথাই আগে কহিয়া লই। ম্যাডামের দল থাকিলে আমাদিগকে কখনোই এইরুপ কষ্ট করিতে হইত না ইহা আমি আপনাদিগকে নিশ্চিত করিয়া কহিতে পারি। ম্যাডাম এবং তাঁহার সাগরেদ্গণ আমাদিগের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নিশ্চিতভাবেই করিতেন। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইত। প্রয়োজন হইলে পাকিস্তান হইতে তারহীন বিশেষ ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ আমদানী হইত /:) । আপার সাগরেদ্গণের মতো ভারত হইতে বিদ্যুৎ আমদানীর কষ্টকল্প চিন্তা করিতেন না তাহা আমি নিশ্চিত করিয়া কহিতে পারি। তবে উৎপাদনের আগে রাজপুত্ররা বিদ্যুৎ এর সঞ্চালন নিমিত্তে খাম্বা উৎপাদন এবং তাহা খালে বিলে জঙ্গলে লাগাইবার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতেন এবং নিশ্চিত কহিতেন তাহারা যদি নির্বাচনী বৈতরনী পুনর্বার পার হইতে পারেন, তবে অবশ্যই উক্ত খাম্বাগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করিবেন।

ম্যাডাম থাকিলে যেহেতু বিদ্যুৎ এর কোনরূপ অভাব থাকিত না, আর তাহার ফলে পানির অভাব হইবারও কোন কারণ দেখি না। পাঠকগণ দেখিলে দেখিতে পারেন অন্তত আমি পাইব না। ঢাকা নগরের পার্শ্ব অবস্থিত নদীর পানি নিষ্কাশনের অযোগ্য ঘোষণা করিয়া ম্যাডাম যমুনার পানি আনিতে চাহিয়াছিলেন। তিনি থাকিলে আমরা যমুনা তো অতি তুচ্ছ এবং নিকটবর্তী জায়গা, আমরা হিমালয় কিংবা বঙ্গোপসাগর হইতে পানি আনিয়া ঢাকা নগরীর পানি সমস্যা দূর হইতে দেখিতাম /:) এবং আনন্দে দিন গুজরান করিতাম।

এরপরে কহি রাজাকার/যুদ্ধাপরাধী (পাঠকগণকে যাহার যে নাম পছন্দ পড়িয়া লইতে অনুরোধ করিতেছি) বিচারের বিষয়ে। ম্যাডামের দল আসিলে জাতিকে এইরুপ একখানা জিনিস কখনোই অবলোকন করিতে হইত না। যাহার ফলস্বরুপ আমরা বহুবিধ অনাচার হইতে মুক্তি পাইতাম। যেমন সবার আগে বলিতে পারি আমাদিগের এই ব্লগের কথা। ব্লগের আপামর জনসাধারণ ছাগু সম্প্রদায় কর্তৃক ক্ষণে ক্ষণে উৎপাদিত বা উৎসরিত (যাহাই কন না কেন) বিষ্ঠা হইতে মুক্তি পাইত।

আপার পরিচালিত সরকারযন্ত্রের মন্ত্রী মহোদয় হইতে ঝাড়ুদার পর্যন্ত এই বলিয়া অভিযোগ করেন যে ম্যাডামের সময়ে নিযুক্ত ম্যাডামের অনুরক্ত কর্মী সম্প্রদায়ের কারণে তাহাদের কাজ কর্ম করিতে বহুবিধ বাধার সম্মুখীন হইতে হইতেছে এবং তাহা না থাকিলে দেশের প্রভূত উন্নতি সাধন করিয়া দেশকে উন্নতির শিখরে তুলিয়া দিতে পারিতেন। ম্যাডাম বৈতরনী পার হইতে পারিলে তাহার সরকারযন্ত্রকে এইরূপ বাধার সম্মুখীন হইতে হইত না এবং তাহারা বাধাহীনভাবে কাজ করিতে পারিতেন। ফলে দেশ ও জাতির বিপুল উন্নতি সাধিত হইত।

এরপর আসি আপার অনুরক্ত ছাত্র সম্প্রদায়ের কথায়। ম্যাডাম যদি থাকিতেন তবে তাহার এবং তাহার সাগরেদ্গণের অনুরক্ত ছাত্র সম্প্রদায়কে তাহাদের শিক্ষালয় হইতে কখনোই বিতারিত হইতে হইত না। যাহার ফলে আপার অনুরক্ত ছাত্র সম্প্রদায় কোন প্রকারের দুর্ঘটনা ঘটাইবার সুযোগ পাইত না এবং ম্যাডামের অনুরক্ত একান্ত ভদ্র (!!) ছাত্র সম্প্রদায়ের কল্যাণে শিক্ষালয় সমূহে শান্তি বিরাজ করিত এবং আমরা ব্লগবাসীরাও অনেক বিষ্ঠাতুল্য লেখা হইতে মুক্তি পাইতাম।

ম্যাডামের দল যদি এইবারও বৈতরনী পার হইতে পারিতেন তবে কখনোই তিনি ভারত সফর করিতেন না ইহা একরুপ নিশ্চিত। যাহার ফলে দেশ বহুবিধ দেশবিরোধী চুক্তি এবং আরো দেশবিরোধী নানা কল্পিত ঘটনা হইতে মুক্তি পাইত এবং আমরা ব্লগবাসীরাও ব্লগে উৎসরিত শতখানেক বিষ্ঠাতুল্য কষ্টকল্প লেখা হইতে মুক্তি পাইতাম। তাহার স্থলে ম্যাডাম পাকিস্তান সফর করিতেন যাহার ফলে এমন বন্ধুপ্রতিম (!!) দেশের সহিত আমাদের সম্পর্ক আরো উষ্ণ হইত এবং আমরা নানাবিধভাবে উপকৃত হইতাম।

ম্যাডামের দল থাকিলে আমরা প্রাক্তন দুইজন রাজপুত্র লইয়াই খুশি থাকিতাম। দেশ ও জাতির উন্নতিকল্পে তাহাদের গৃহীত নানারুপ কার্যকলাপ দেখিয়া আমরা তৃপ্তির ঢেকুর তুলিতাম। বর্তমান রাজপুত্র কবে কোন রাস্তা দিয়া যাইবার সময় হাঁচি দিয়াছিলেন, সেই হাঁচি হইতে উৎসরিত ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা দেশ ও জাতির ক্ষতি নিরুপণমূলক লেখা ব্লগে পড়িতে হইত না /:)। আমরা আমাদের স্বশিক্ষিত (!!!) রাজপুত্রদ্বয়কে লইয়াই খুশি থাকিতে পারিতাম।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক কিছু ব্যক্তিবর্গের নানা কারিকুরিতে আমাদের দেশ দূর্নীতি কবলিত দেশের নামের তালিকায় কেবলি নিম্নগামী। ম্যাডামের দল থাকিলে আমরা সেই তালিকায় গর্বের সাথে প্রথম স্থানে থাকিতে পারিতাম। তবে আমি ইহাও আশাবাদী যে আপার দলও আমদিগকে নিরাশ করিবেন না। তিনি যদি আন্তরিক চেষ্টা চালাইয়া যান, তবে আমরা আবার সেই স্থান আবারো ফিরিয়া পাইতে পারি।

ম্যাডামের দল থাকিলে আমাদিগকে একজন অর্ধউন্মাদ নারীকে দেশমন্ত্রীর স্থানে দেখিতে হইত না। তবে আমরা তাহার মুখনিসৃত নানাবিধ পাগলের প্রলাপ হইতে প্রাপ্ত আনন্দ হইতে যে বঞ্চিত হইতাম তাহা নিশ্চিত। বরঞ্চ আমরা আমাদের প্রাক্তন অত্যন্ত কার্যকরী দেশমন্ত্রীকে লইয়াই আনন্দিত থাকিতে পারিতাম। দেশে এইরুপ জঙ্গিবাদ পরিলক্ষিত হইত না বরঞ্চ হিন্দু মৌলবাদীগণ সম্পর্কে জাতি আরো গভীরভাবে জানিতে পারিত। তিনি “আই এম লুকিং ফর শত্রু” বলিয়া শত্রুদের উদ্দেশ্যে বীরদর্পে ঝাপাইয়া পড়িতেন এবং আমরা খুশিতে বগল বাজাইতাম। বর্তমান আপার দলের হিন্দু মৌলবাদী সম্পর্কে নীরবতা যথেষ্টই সন্দেহের উদ্রেক করে বৈকি!

ম্যাডামের দল থাকিলে নৌ দূর্ঘটনায় আপামর জনতা প্রাণ হারাইলে আমরা নৌমন্ত্রীর অমর বাণী “আল্লার মাল আল্লায় নিয়া গেছে” আবার শুনিতে পারিতাম এবং তাহাদের পরিবারদিগকে ক্ষতিপূরণস্বরূপ উন্নত প্রজাতির দেশি ছাগল দিতে পারিতাম যাহা হইতে দেশ ও জাতির প্রভূত উন্নতি সাধন হইত।

ম্যাডাম থাকিলে ভারতীয় মোবাইল কোম্পানী আমাদিগের মোবাইল কোম্পানী কিনিবার দূর্নিবার সাহস কখনোই করিত না। মধ্যপ্রাচ্য বা ইউরোপ স্থানীয় দেশের মালিকানার মোবাইল কোম্পানী আমাদের চুষিয়া খাইয়া আমাদিগের সম্মানে আঘাত করিতে পারে নাই। তাই বলিয়া ভারতীয় মালিকানার কোম্পানী আমাদিগকে চুষিয়া খাইবে এবং আমাদের মান সম্মান নিয়া টানাটানি পড়িয়া যাইবে এইরূপ ঘটনা ম্যাডাম নিশ্চয়ই ঘটিতে দিতেন না /:)

মোটকথা ম্যাডাম এবং তাহার সাগরেদ্গণ থাকিলে দেশ এবং দেশের জনতা বহুবিধ অনাচার হইতে মুক্তি পাইত এবং সুখে শান্তিতে দিন যাপন করিতে পারিত। পরিশেষে কবির সাথে মিলিয়া ইহাই কেবল কহিতে পারি, দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না

উক্ত লেখাখানা একান্তই একখানা ফানপুষ্ট। যাহাদের উহা পড়িয়া বদহজম হইবে, তাহাদের অনুরোধ করিতেছি একখানা মাইনাস দিয়া নিষ্ক্রান্ত হইতে। দয়া করিয়া অপ্রাসঙ্গিক এবং বিষ্ঠাতুল্য কমেন্ট দিয়া জল/পানি (যাহার যেইখানা পছন্দ বাছিয়া লইতে অনুরোধ করিতেছি) ঘোলা করিবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:২১
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×