ভালোবাসা কারে কয়।।প্রথমকথা।।
চতুর্থ কিস্তি
মিত্রা নমিতার পাশের বাসায় থাকে,বয়সে ছোট হলেও চলনে বলনে বড়দের চেয়ে কম নয়।সব সময় নিজেকে মহা জ্ঞানী অধিক সুন্দরী মনে করে,নমিতা কলেজে যাওয়ার সময় মিত্রা র স্কুলের সামনে দিয়ে যেতে হয় তাই অনেক সময় নমিতার সাথে এক সাথে বের হয় এতে করে অল্প সময়ে অনেক বেশি পাকা হয়ে গেছে।
একদিন স্কুল সময় অপু ঐ পাড়া দিয়ে হাটঁতেছে হঠাৎ মিত্রা র সামনে পড়ে।অপুকে দেখেই তার পছন্দের পুরুষ ভাবে।অপু দেখতে খুব সুদর্শন,উচ্চতা প্রায় ছয় ফুট।অনেকটা লায়কের মত, চলাফেরায়ও অন্য রকম ভদ্র তাই মিত্রা তাকে ভালোবাসার প্রস্তাব দেয়।এতে করে অপু খুব বিব্রত হয়।তখন থেকে মিত্রার সাথে পরিচয়।
নমিতার চিন্তায় মিত্রা এখন তার নতুন এলার্জি ।অপু তার কথা জিজ্ঞাসা করাতে চিন্তায় পড়ে গেল নমিতা। যাই হউক কি ভাবে অলক আর নন্দিনীর ভালোবাসাকে প্রতিষ্ঠা করা যায় ঐ চিন্তায় অস্থির,পরে নিজের চিন্তা করা যাবে।শকুন্তলা অপূর্বর সাথে কথা বলে ঠিক করা হবে কি করা যায়।যথাসময়ে দুই জনকে ফোন করে দিন এবং সময় ঠিক করার জন্য বলেছে।
ক্লন্তি আর অবসাদে অনেকটা দুর্বল,মন মানসিকতা অনেকটা ভেঙ্গে গেছে।নিজের প্রতি নিজের খুব ঘৃণা হয় এখন, নিয়ন্ত্রণহীন মনে হয়।কি হতে কি হয়ে গেল সামান্য ভুল বুঝাবুঝিতে অনেক দিনের সম্পর্ক নিমিষে বিলীন হয় গেছে তার জ্বলন্ত উদাহরণ অলক নিজেই।তাই খুব ছোট মনে হয় নিজেকে।
খুব মনে পড়ে নন্দিনীকে মনে পড়ে নন্দিনীর কথা ধরন।খুব অনুভব করে নন্দিনীর পাশে থাকা ভাল লাগা স্মৃতি গুলো।কোথায় কখন কি করে ছিলাম একান্তে দুই জনে তা এখন চোখের সামনে স্পষ্ট।কিছুতে ভুলতে পারছেনা।শুধু শূন্য মনে হাহাকার ! বিস্ময়ে চেয়ে থাকে আকাশ প্রাণে খুজে আকাশের তাঁরার মাঝে নন্দিনীকে।কোন বন্ধু বান্ধবিদের সাথেও সম্পর্ক নেই,রাখতে চায়নি নিজেই।তাই আজ অসময়ে কাউকে পাশে পাচ্ছিনা।
সূর্য খুব ক্লান্ত,বাতাসও খুব শান্ত ,আকাশের মেঘগুলো কিছুটা নিস্তেজ প্রাণহীন।মৃদু বাতাস প্রবাহমান। সব মিলে গোধূলী বেলা কিছুক্ষণের মধ্যে সূর্য অস্ত যাবে।সন্ধার আগমনী বার্তা।
অপূর্ব শকুন্তলাকে নিয়ে একাকি ভাবছে,তার কথা চলাফেরা কথা বার্তা অঙ্গভঙ্গি খুব মনের মধ্যে আঁকছে।শকুন্তলাকে নিয়ে অন্য রকম চিন্তা করছে।মন খুব উতলা বেসামাল।শুধু শকুন্তলার মুখ তার চোখের সামনে ভাসছে।নিজেকে খুব অসহায় অন্য রকম মনে হচ্ছে,হচ্ছে অন্য রকম অনুভবও ,অনুভূতি গুলো মনে হয় নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে।কোন কিছুতে কোন কাজ হচ্ছেনা।
অপূর্ব চিন্তা করছে শকুন্তলাকে ফোন করবে কিনা?
খুব ইততস্ত মনে হচ্ছে
অন্য সময়ের মত সহজে ফোন করতে পারছেনা।
মনে হয় খুব ভালবেসে ফেলেছে।
অপূর্ব র ফোন বেজে উঠল,
অপর প্রান্ত থেকে শকুন্তলা বলল-
কেমন আছ বন্ধু?
উত্তরটা আগের মত সহজ ভাবে দিতে খুব কষ্ট হচ্ছে , অপূর্বর।
অপূর্ব খুব চিন্তার সাগরে ভাসছে,শত ভাবনার মধ্যে নিজকে চিন্তা করছে।
খুব আস্তে করে উত্তর দিল ভাল।
এরপর অলক আর নন্দিনীকে নিয়ে দুই জনের মধ্যে অনেক আলাপ হল,
পরিশেষে এই সিদ্ধান্তে পৌছল যেভাবে হউক অলক আর নন্দিনীকে এক সাথ করতে হবে।ভাল থেকো বলে ফোন কেটে দিল শকুন্তলা।
মন আজ শকুন্তলার ভালোবাসার জন্য পাগল প্রায়,কিভাবে বলা যায় এই চিন্তায় অস্থির।নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা অপূর্ব।শুধু ভালবাসতে চায় শকুন্তলাকে।অপূর্ব চিন্তায় একটি নাম শুধু শকুন্তলা।
চলবে ...........................।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫