somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ড. ইউনুসের সরকার..........দীর্ঘ সময় দরকার!!!

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টির সারজিস আলম ড. ইউনুস সম্পর্কে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছে। সে মোটাদাগে যা বলতে চেয়েছে তা হলো, ড. ইউনুসের আরো পাচ বছর ক্ষমতায় থাকা উচিত। অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত কথা। আমি যেহেতু দেশে থাকি না, দেশের সাধারন মানুষের পালস বোঝার জন্য আমার ভরসা দেশের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব আর সোশ্যাল মিডিয়া। তাতে করে আমি যে ধারনা পাই সেটা হলো, দেশের জনগনের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই এটা চায়। না, আমি আওয়ামী লীগ বা বিএনপির নেতা-কর্মীদের মতো নিজের কথাকে জনগনের কথা বলে চালিয়ে দিচ্ছি না। আমি নিশ্চিত, দেশে যদি এই বিষয়ে একটা রেফারেন্ডাম দেয়া হয়, তবে এমনতরো আওয়াজই বেরিয়ে আসবে।

সারজিস আলম বা দেশের বেশীরভাগ মানুষের মতো আমিও চাই ড. ইউনুস আরো পাচ বছর ক্ষমতায় থাকুন। এই চাওয়ার পিছনে আমি আমার যুক্তিগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করবো এই পোষ্টে।

বর্তমান বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটা দেশকে সত্যিকার অর্থে এগিয়ে নিতে কেমন নেতৃত্বের দরকার হয়? এমন একজন, যিনি কিনা শুধুমাত্র দেশের আভ্যন্তরীণ ইস্যুগুলোই সামলাবেন না, সেইসঙ্গে আঞ্চলিক এবং সার্বিকভাবে সমগ্র বিশ্বের সাথে কার্যকর সম্পর্কও সামলাবেন। আর সেজন্যে যদি সমস্ত বিশ্বে সন্মানীত আর গ্রহনযোগ্য একজন নেতা পাওয়া যায়, আর সেই নেতা যদি একজন অর্থনীতিবিদ হন তাহলে সোনায় সোহাগা। কারন কে না জানে.........বর্তমানে সবকিছুর চালিকাশক্তিই হলো অর্থনীতি। অধুনা বিশ্বে এমন থ্রী-ইন-ওয়ান নেতা বাংলাদেশ ছাড়া আর দ্বিতীয় কোন দেশে আছে বলে আমার জানা নাই। আমাদের সৌভাগ্য যে, আমরা এমন একজন নেতা পেয়েছি। সংস্কৃতে একটা কথা আছে, চক্রবৎ পরিবর্তন্তে সুখানি চ দুঃখানি চ..........অর্থাৎ সুখ-দুঃখ চক্রাকারে পরিবর্তিত হয়। দেশ একটা ঘোরতর অমানিশা পার করে আলোর দেখা পেয়েছে। একজন মাফিয়া সর্দারনীকে খেদানোর পর একজন বিশ্ববরেন্য নেতা পেয়েছে। এটা যেন সংস্কৃতের ওই শ্লোকবাক্যেরই প্রতিধ্বণি!!!

চলেন তাহলে, বিষয়টা আরো বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করি। প্রথমে ঘরের দিকে নজর দেই। গত ১৬ বছরে দেশের প্রতিটা সেক্টরে, রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে ব্যাপক দূর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাস আর অরাজকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল, মাত্র ৮ মাসে সেটা কতোটুকু ঠিক করা সম্ভব? বিশেষ করে হাসিনার শ্বশুরবাড়ী হিজরতের পরে তার প্রতিষ্ঠিত তাবেদার সরকারের লোকজনের অসহযোগিতার ফলে দেশের সবকিছু যেভাবে ভেঙ্গে পড়েছিল, তাকে শুধুমাত্র একটা যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের সাথেই তুলনা করা যায়। সেখান থেকে ফিনিক্স পাখীর মতো উঠে দাড়ানো চাট্টিখানি কথা না। এই আটমাসে বর্তমান সরকার পদে পদে বাধার সম্মুখীন হয়েছে। সামরিক এবং বেসামরিক প্রশাসন, প্রধান রাজনৈতিক দল, স্বৈরাচারের পা-চাটা সুশীল সমাজ; এমনকি সরকারের কিছু কিছু উপদেষ্টার কাজে অবহেলা কিংবা অকর্মন্যতাও কম দায়ী না। তারপরেও ক্রমান্বয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে, দূর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে, চিকিৎসা ব্যবস্থার সমস্যা সমাধানে সরকার উদ্যোগী হয়েছে.........মোটকথা, প্রতিটা সেক্টরে বলার মতো কোন না কোন দৃশ্যমান উন্নতি কিংবা উন্নতির চেষ্টা জনগণের দৃষ্টিগোচরে আসছে। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠতে পারলে পরবর্তী যে কোনও কাজ সহজ হয়, উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়; সেটাই আমরা বর্তমানে দেখতে পাচ্ছি। ক্রমে ক্রমে ব্রেক ইভেন পয়েন্ট থেকে উন্নতির গ্রাফ উর্ধমুখে ধাবিত হবে, এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। দীর্ঘদিনের নির্যাতিত সাধারন জনগনের জন্য এটা যে কতোটা স্বস্তির ব্যাপার, এটা বিএনপি না বুঝলেও জনগন ঠিকই বুঝতে পারছে।

ঘরের বাইরের সাফল্য তো আরো বেশী। হাসিনা ভেগে যাওয়ার পর থেকে ভারত যেভাবে ড. ইউনুস সরকারকে, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তা এক কথায় নজিরবিহীন। আমরা দেখেছি, বিশ্ব পর্যায়ে বাংলাদেশের ইমেজ ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে গোদি মিডিয়া কতোটা প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে, আমেরিকার তুলসীকে কিভাবে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণায় ব্যবহার করা হয়েছে; কিন্তু দিনশেষে আবাল মোদির ঝোলার প্রাপ্তি শুন্য। আমেরিকা ৭৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তার ঘোষণা দিল রোহিঙ্গাদের জন্য, অথচ বলা হচ্ছিল ট্রাম্প আইসা ইউনুসরে হুতায় দিবে। সব সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দেওয়াতে এখন ইউনুস গাড্ডায় পড়বে ইত্যোকার আবালমার্কা শত কথার ফুলঝুরি!!! তুলসীকে ভাড়া করে আনা হলো সংখ্যালঘু ইস্যুতে বাংলাদেশকে পচানোর জন্য; আর ওইদিকে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ব্রিফিংয়ে জানিয়ে দিলো সংখ্যালঘু নিয়ে ড. ইউনুসের কাজে তারা সন্তুষ্ট!!! কতো বড় একটা থাপ্পড় গোদি মিডিয়ার গালে!!!!

যেই সরকারকে মোদি স্বীকৃতিই দিতে চায় নাই, আজ বাধ্য হয়ে সেই সরকার প্রধানের সাথেই মোদি আলোচনায় বসেছে। চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ড. ইউনুসের দিকে। আপনাদের মনে আছে, কঠোর নিয়ম-কানুনের দেশ আরব আমিরাত ড. ইউনুসের এক ফোনকলেই ৫৭ জন আন্দোলন করা প্রবাসীকে মুক্ত করে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। এরা তাদের আইন ভঙ্গ করলে এমনকি পশ্চিমা দেশের অনুরোধও রাখে না। স্বাস্থ্যখাতে ভারত-নির্ভরতা কমিয়ে চীনের সাথে বাড়ানো হয়েছে। ভারত শুধু নিতো, তবে চীন আমাদেরকে এই খাতে দীর্ঘমেয়াদে স্বনির্ভরতা অর্জনে সহায়তা করতেও রাজি হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চীন ছাড়া সম্ভব না। সেই চীনের সাথে সম্পর্ক কার্যকরভাবে সুদৃঢ় করা একমাত্র ড. ইউনুসের পক্ষেই সম্ভব। আর কতো বলবো.........এই আটমাসেই তালিকা অনেক বড়!!!

আমি ভারতকে বাদ দিয়ে চলার কথা বলছি না, তবে তাদের সাথে সম্পর্কটা হবে ভারসাম্যপূর্ণ, দাসত্বের না। যেটা এই মুহুর্তে একমাত্র ড. ইউনুস করতে পারে। ভারতমুখীতা বাদ দিয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বমুখী হয়েছে। পুরো বিশ্বের সাথে ক্রমান্বয়ে সম্পর্কের পুর্নবিন্যাস করা হচ্ছে। বিশ্ব আগে বাংলাদেশকে দেখতো ভারতের চোখে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সাজানোই হতো ভারতের চাওয়া-পাওয়াকে কেন্দ্র করে। সেটা ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে। এসব একদিনের বিষয় না, এর জন্য যথেষ্ট পরিমান সময়ের দরকার। ড. ইউনুসের বয়স হয়েছে। কতোদিন সক্রিয় থাকবেন জানিনা, উনার দীর্ঘজীবন তো অবশ্যই কামনা করি। তবে যতোটুকু সময় পাওয়া যাবে, যড়যন্ত্রকারীদের কালোহাত গুড়িয়ে দিতে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। আমরা ভাগ্যবান যে, উনি ৫ই অগাষ্ট উত্তর দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছিলেন। সেই সুযোগ মাত্র দেড় বছর নেয়া, আমাদের দৈন্যতা আরো বাড়িয়ে দিবে। শুধু কল্পনা করেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তারেক, আর তার ল্যাস্পেন্সার থ্রি-স্টুজেস, সালাহউদ্দিন, মেজর হাফিজ, রিজভী প্রমুখদের কথা। এদের আন্তর্জাতিক গ্রহনযোগ্যতা কি? আচ্ছা..........আন্তর্জাতিক বাদ, দেশেই তাদের গ্রহনযোগ্যতা কি? একটা নমুনা দেখেন (যারা দেখেন নাই, অবশ্যই দেখবেন। এটা আমার অনুরোধ।) এরা আল্টিমেটলি আবার ভারতের পকেটে চলে যাবে। এই এতো এতো তরুনদের আত্মত্যাগ.........সবকিছুতে পানি ঢালবে বিএনপি। ব্যাক টু দ্য স্কয়ার ওয়ান, আবার সেই ভারতের দাসত্ব!!!!

একটা উপায় হতে পারে, ড.ইউনুসকে আরো পাচ বছর ক্ষমতায় রাখার জন্য সংবিধান সংস্কার করে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার পদ্ধতিতে যাওয়া এবং ড. ইউনুসকে রাষ্ট্রপতি করা অথবা ফ্রান্স স্টাইলের সরকার পদ্ধতির প্রবর্তন করা যাতে করে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাকে চেক এন্ড ব্যালেন্স করা যায়............মোদ্দাকথা, ড.ইউনুসকে রাষ্ট্রক্ষমতায় রাখা। আমাদের সেনাপ্রধান যা করেছে, করেছে। এখন দেশে তার ইমেজ রিবিল্ডের একটাই উপায়, সেটা হলো রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের নাম করে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা না করা এবং ড. ইউনুসকে কার্যকরভাবে ক্ষমতায় ধরে রাখতে দেশবাসীকে সহযোগিতা করা। তাহলেই দেশবাসী তাকে মাথায় তুলে রাখবে।

দেশের জনগন জানে যে........বিএনপির নেতৃবৃন্দ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভারতের দালালী করছে। ক্ষমতার জন্য তারা ৫ই অগাষ্টের পর থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে প্রোটেক্ট করার চক্রান্তে নেমেছে। জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার মতো অবস্থায় কোনদিনই যেতে পারবে না। এনসিপি এখনও রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার মতো ম্যাচুরিটি অর্জন করতে পারে নাই। কাজেই ড. ইউনুস ছাড়া গতি নাই। বর্তমান বিশ্বে রাষ্ট্রক্ষমতা চালানো মানে শুধুমাত্র আভ্যন্তরীন বিষয়গুলো মোকাবেলা করা না, একই সঙ্গে অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ হলো আন্তর্জাতিক ভু-রাজনীতির চ্যালেন্জ মোকাবেলা করা। আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করা।

বর্তমান বিশ্বে আন্তর্জাতিক রাজনীতি মোকাবেলা করার মতো কেউ নাই বিএনপিতে। আভ্যন্তরীন রাজনীতি মেনে দেশ চালাতে তেমন কোন যোগ্যতা লাগে না, তবে এটাও তারা ঠিকমতো করতে পারবে না। আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, ব্লগারদের অনেকেই দেশের একটা মন্ত্রণালয় চালানোর জন্য বর্তমানের বিএনপি'র ডায়াপার নেতাদের চাইতে বেশী যোগ্যতা রাখে, কিন্তু একেই যদি আন্তর্জাতিক রাজনীতি মোকাবেলায় ছেড়ে দেয়া হয়........তার নাকের পানি, চোখের পানি এক হয়ে যাবে। সে কিছুই ডেলিভার করতে পারবে না। একটা কথা ভারতীয় দালালরা ছাড়া আমরা সবাই জানি যে, ভারত যাকে অপছন্দ করে.......সে বাংলাদেশপন্থী বা দেশের জন্য উপকারী। ভারত ড.ইউনুসকে চরমভাবে অপছন্দ করছে। আওয়ামী লীগ করছে; সো এজ বিএনপি। তাহলে লজিকাল ইনফারেন্স কি বলে? আপনারাই ঠিক করেন।

আভ্যন্তরীন রাজনীতি আর আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। কতোটা ভিন্ন, সেটা বিজ্ঞ ব্লগারদেরকে আমার ব্যাখ্যা করার দরকার নাই। শুধু একটা উদাহরন দেই, ক্রিকেটের ঘরোয়া যে কোনও টুর্নামেন্টে অত্যন্ত সফল একজন ক্রিকেটারকে যখন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামানো হয়, সে ডাহা ফেল করে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন উদাহরন ভুড়ি ভুড়ি আছে। কেন এমনটা হয়? ভাবেন! গভীরভাবে ভাবেন!!! দেশের স্বার্থে ভাবা প্র্যাকটিস করেন; এর মধ্যেই দেশ ও জনগনের কল্যান নিহিত আছে। মনে রাখবেন, দেশ আবার যদি গভীর গাড্ডায় পড়ে, আপনি বা আপনার পরিবার এর বাইরে থাকবে না। বিপদ শুধুমাত্র তখনই এড়াতে পারবেন, যদি আপনি ক্ষমতাসীনদের পা-চাটা স্বভাবের হন!!!

মজার ব্যাপার হলো, মির্যা আব্বাসের পরে এইবার আমীর খসরু বলেছে, সংষ্কার না, অন্তবর্তী সরকারের কাজ হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন করা। এই ছাগল এটাও জানে না যে, শুধুমাত্র সুষ্ঠু নির্বাচন করা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাজ। অন্তবর্তী সরকারের এক্তিয়ার সুষ্ঠু নির্বাচন করার বাইরেও আরো অনেক কিছু। আমি গ্যারান্টি দিতে পারি, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দৃশ্যমান কোন সংস্কারই করবে না। কিছু আই ওয়াশ করলেও করতে পারে। সাত বছরে ভারতে জামাই আদরে থাকা নয়া সংবিধান বিশেষজ্ঞ সালাহউদ্দিন এখন জুলাই ২০২৪ কেই অস্বীকার করতে চাচ্ছে, একে গণজাগরণ মঞ্চ'র সাথে তুলনা করে। আমি বার বার বলছি, তথ্য উপাত্ত দিয়ে বলেছি যে, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নব্য ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠবে। বিরোধী মতের কেউ আসে নাই আমার যুক্তি খন্ডন করতে। তার মানে তাদের বলার মতো কিছু নাই; থাকার কথাও না।

খেয়াল করেন, আওয়ামী লীগও কিন্তু এখন বিএনপি'র সমালোচনা করে না। বরং তারা বিএনপি'র নেতৃত্বে ইউনুস সরকারের পতন ঘটাতে চায়। তারা এই সরকারের কোন ফ্যাক্ট বেইজড সমালোচনাও করে না, করে গুজব নির্ভর সমালোচনা যা মূলতঃ ভারতের গোদি মিডিয়া ক্রমাগত করে যাচ্ছে। ক্ষমতার লোভে বিএনপি এখন পাগলা হাতির মতো আচরণ করছে। বিএনপি কি ক্রমান্বয়ে জাতিয়তাবাদী আওয়ামী পার্টিতে পরিনত হচ্ছে? আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি। আমার সবচাইতে বড় দুঃখ, গত ১৬ বছরের নির্যাতন, গুম, খুন থেকে বিএনপি কোন শিক্ষাই নেয় নাই। হাসিনার পালাইতে ১৬ বছর লেগেছিল, তারেক জিয়ার পালাইতে কয় বছর লাগবে? বুকে হাত দিয়ে বলি, সেই দিন আমি দেখতে চাই না। একেবারেই না।

জনগন যদি ড. ইউনুসের বদলে খাম্বা তারেককে বেছে নেয়, সেটা হবে এই জাতির বুদ্ধিহীনতারই পরিচায়ক। ধরে নিতে হবে, স্বৈরাচারের প্যাদানী খাওয়া এই জাতির অত্যাধিক পছন্দ। একটা জাতির জীবনে লী কুয়ান ইউ, পার্ক চুং-হি, মাহাথির মোহাম্মদ আর ড. ইউনুসের মতো ভিশনারী লিডার ঘন ঘন আসে না; এর জন্য যুগ যুগ অপেক্ষা করতে হয়। সিঙ্গাপুর, দক্ষিন কোরিয়া, মালয়েশিয়া সেইসব নেতাদের মাথায় তুলে রেখেছিল, দেশকে বদলে দিয়েছিল। মনে রাখবেন, বাংলাদেশকে ভাগ্য বদলানোর সুযোগ সৃষ্টিকর্তা বারে বারে দিবেন না, উনার আরো কাজ আছে। জনগনকেই এখন ঠিক করতে হবে, তারা ড.ইউনুসকে কি পেয়েও হারাবে; খাম্বা তারেক আর তার লুটেরা বাহিনীকে তাদের অতীতের কীর্তি জানার পরও লুটপাটের আর ভারতের গোলামীর আরেকটা সুযোগ দিবে.............নাকি বদলে যাবে।

আগামীতে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার আরো বিভিন্নমুখী সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে ভারত। আর তাতে সহযোগী হবে বিএনপি। এখন যেখানে ঐক্য জরুরী, সেখানে এরা অনৈক্য তৈরী করার চেষ্টা করবে; সাথে ভারত আর আওয়ামী লীগের দেশের ভিতরের আর বাইরের দালালেরা আরো অধিকতর সক্রিয় হবে। আগামী দিনগুলো ক্রমান্বয়ে জটিল থেকে জটিলতর হতে থাকবে, এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।

চয়েস ইজ ইওরস। তবে খুব সাবধান..........হায়েনারা ওৎ পেতে আছে!!!


ছবিসূত্র। Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:২৬
২৮টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বর্ণচোখ

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:৩৮


(ষড়ঋপু সিরিজের তৃতীয় কাহিনি — লোভ)

⸻ সতর্কীকরণ: ছায়া পড়লে আলোও কাঁপে ⸻

এই কাহিনি কেবল একটি গল্প নয়। এটি এক মানসিক প্রতিচ্ছবি, যেখানে লুকিয়ে আছে মানব আত্মার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এসব লুটপাটের শেষ কোথায়!

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮

আধা লিটারের পানির বোতল দোকানদার কেনে সর্বোচ্চ ১২.৫০ টাকায় আর ভোক্তার কাছে বিক্রি করে ২০ টাকা। এগুলো কি ডাকাতি না?

গোপন সূত্রে যতটুকু জানা যায়,
প্রাণ ৮.৫ টাকা কেনা
ফ্রেশ ১০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। চারুকলায় আগুনে পুড়ে গেল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৪৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদ্‌যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে একটি ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও আরেকটি শান্তির পায়রা।



আজ শনিবার সকালে চারুকলা অনুষদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা
March for Gaza | ঢাকা | ২০২৫

বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম
আল্লাহর নামে শুরু করছি
যিনি পরাক্রমশালী, যিনি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকারী,
যিনি মজলুমের পাশে থাকেন, আর জালেমের পরিণতি নির্ধারণ করেন।

আজ আমরা, বাংলাদেশের জনতা—যারা জুলুমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডক্টর ইউনুস জনপ্রিয় হয়ে থাকলে দ্রুত নির্বাচনে সমস্যা কি?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৪১



অনেকেই ডক্টর ইউনুসের পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা বলছেন। এর জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় নির্বাচন। আদালত যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বহাল করেছে সেহেতু ডক্টর ইউনুস তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×