somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হারিয়ে যাওয়া দুটি প্রেম!!!

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রেম সে তো দূরের কথা!অপরিচিতা মেয়ে বললেই কেমন জানি লাগে।জানি না সেটা আসলে ভয় নাকি লজ্জা।এসবের পরও কেন জানি মনে হয় এর মধ্যে প্রেম দু’বার এসেছিল আবার কোথায় জানি হারিয়ে গেল!!!

প্রাইমারি লাইফ।আমি যখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি তখন আমার বয়স ছিল মাত্র সাত বছর।খুব ছোট ছিলাম তারপরও একটু একটু বুঝতে শিখছিলাম।ক্লাসে সব সহপাঠীর সাথে ভাল সম্পর্ক ছিল।সবার সাথে খেলাধুলা করতাম অনেক মজা হত।কিন্তু কেন জানি ক্লাসের একটা মেয়েকে খুব লজ্জা লাগত।মেয়েটা অবশ্য একটু গম্ভীর স্বভাবের ছিল।ক্লাসে যখন মেয়েটি আমার দিকে তাকাত তখন লজ্জায় আমার চোখ মুখ লাল হয়ে যেত।তখন আস্তে করে মাথা নিচের দিকে করে থাকতাম।এসবের পরও মেয়েটিকে আমার খুব ভাল লাগত।প্রতিদিন ক্লাসের পড়া শিখে যেতাম যাতে মেয়েটির সামনে স্যারের মার খেতে না হয়।এভাবে চলতে চলতে প্রাইমারি শেষ করে ফেল্লাম।কিন্তু মেয়েটির সাথে তেমন কোন ভাব জমাতে পারলাম না।এরপর ষষ্ট শ্রেনীতে যখন ভর্তী হই তখন মেয়েটি এক স্কুলে আমি অন্য স্কুলে।মেয়েটির সাথে আর তেমন দেখা হয়নি।এভাবেই আমার ছোট্ট মনের ফুটন্ত প্রেম অকালেই ঝড়ে গেল!

***হাই স্কুলে তেমন কারো সাথে হয়নি।কিন্তু সবার সাথে ভাল বন্ধুত্ব ছিল।তা কোনরকম মাধ্যমিক শেষ করলাম।***

উন্নীত হলাম নতুন ধাপ উচ্চ মাধ্যমিক।কলেজ লাইফ ভালই চলছিল।দু’চার জন পরিচিত বন্ধু ছিল বাকীরা সবাই ছিল একদম নতুন।এদের সাথে ভাল করে সমন্ব্য হতে হতে ফাষ্ট ইয়ার শেষ করে ফেল্লাম।সেকেন্ড ইয়ারে যখন উঠি পড়ার চাপে এদিক-সেদিক তাকানোর সময় হয়ে উঠেনি।দেখতে দেখতে এইচ এস সি পরীক্ষা আরম্ব হয়ে গেল।আমাদের পরীক্ষার হল ছিল অন্য একটি কলেজে।তো পরীক্ষার প্রথম দিন ভাল মত প্রস্তুতি নিয়ে হলে গেলাম।গিয়ে দেখি আমাদের সাথে অন্য কলেজের ছাত্রছাত্রী পড়ছে একই রুমে।সব কিছু ঠিকটাক।প্রথম দিন তাই সবাই একটু আগেই চলে আসছিল।কিন্তু হঠাত দেখলাম আমার পাশের বেঞ্চে একটা সিট খালি এখনো।পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগ মুহুর্তে দেখি একটা মেয়ে এসে সিটটাতে বসল।মেয়েটি ছিল অন্য কলেজের।সত্যি কথা বলতে কি তাকে দেখে আমি আমার পরীক্ষার কথা সম্পুর্ণ ভূলে গিয়েছিলাম।মেয়েটি ছিল অসম্ভব সুন্দরী।আস্তে আস্তে নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলাম।তারপরও আমার বিতর কেমন যেন লাগছিল।কোন মতে পরীক্ষা শেষ করলাম।পরীক্ষা দিতে দিতে অনেক চিন্তা করছি মেয়েটির সাথে কথা বলব কি বলব না।কিন্তু লজ্জা লাগছিল বিষন।মনে মনে ভাবলাম পরের দিনই কথা বলব।এভাবে করতে করতে আর কথা হয়ে উঠল না।কিন্তু এদিকে পরীক্ষা প্রায় শেষের পথে।এর মধ্যে মাঝে কেমন জানি নতুন করে কিছু সৃষ্টি হয়ে গেছে।সব সময় মেয়েটির ছবি চোখে ভাসে।সকল পরীক্ষার্থীরা হলে যায় একটা উদ্দেশ্যে আর আমি যাই দুটি উদ্দেশ্যে।কেন জানি আমার মনে হত আমি হলে আসি শুধু তাকে দেখার জন্য।আর বাকী ছিল একটা পরীক্ষা।আগের দিন মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম কাল পরীক্ষা শেষে মেয়েটির সাথে কথা বলবই।সাহস করে মেয়েটির সাথে দেখা করলাম।কথা হল অনেক।মেয়েটির কাছ থেকে মোবাইল নাম্বার নিতে চাইলে বলে এখন দেওয়া যাবে না সমস্যা আছে।যদি কিছু মনে না করেন আপনারটা দেন।আমি সহজ ভাবে নাম্বারটা দিলাম।নাম্বার নিয়ে বলে আমি আপনাকে সময় করে ফোন দিব।আমি বললাম ঠিক আছে।অপেক্ষায় থাকব।এই বলে মেয়েটির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আস্লাম।কিন্তু সেই যে গেল মেয়েটি আজ প্রায় তিন বছর হয়ে গেল এখনো কোন সাড়া পাইলাম না!জানি না আর কখনো পাব কিনা!!!
***প্রিয়বন্ধুর খোঁজেঃ এখানে আসুন ।***
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৯
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বডি সোহেলের মন ভালো নেই !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:২৫


আমাদের জাতীয় নেতাদের বংশধরেরা বড়ই অদ্ভুত জীবন যাপন করছেন। তাদের বাপ চাচাদের মধ্যে মত-বিরোধ থাকিলেও একে অপর কে জনসম্মুখে অপমান করেন নাই। এক্ষেত্রে নেতাদের প্রজন্ম পূর্বপুরুষ দের ট্রাডিশন ধরে রাখতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পত্রিকায় লেখা প্রকাশের ই-মেইল ঠিকানা

লিখেছেন মি. বিকেল, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৩৩



যারা গল্প, কবিতা, সাহিত্য, ফিচার বা কলাম লিখতে আগ্রহী, তাদের জন্য এখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতা, সাহিত্য পাতা ইত্যাদির ই-মেইল ঠিকানা দেওয়া হলো। পত্রিকায় ছাপা হলে আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তার দায়ভার কি সেনাবাহিনী নেবে? তাদের সমালোচনাকে অনেকে সেনাবাহিনীর সমালোচনা মনে করছে কেন?

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ২:২৯

বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এখনও আমাদের জন্য গর্ব এবং আস্থার জায়গা। কারণ দুর্নীতির এই দেশে একমাত্র সেনাবাহিনীই সেই প্রতিষ্ঠান যার আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় সুনাম এখনও আছে। কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রসঙ্গ: মৃতদেহ সৎকার এবং সঙ্গীতসৎকার....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৪৯

প্রসঙ্গ: মৃতদেহ সৎকার এবং সঙ্গীতসৎকার....

কথা সাহিত্যিক শরতচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বহু বছর আগে তার “শ্রীকান্ত” উপন্যাসে ইন্দ্রকে দিয়ে সর্বকালীন এবং সর্বজন গৃহীত একটি উক্তি করিয়েছিলেন, সেটি হলো,- ”মরার আবার জাত কি”!

মৃতদেহ সৎকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্প: শেষ রাতের সুর (পর্ব ২)

লিখেছেন আমিই সাইফুল, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৫০

রাফি সাহেবের পড়ে যাওয়ার খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল দ্রুত। সকালের মিষ্টি রোদ গাজীপুরের এই ছোট্ট গ্রামে যখন পড়ছে, তখনই কাজের লোক রহিমা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকল। সিঁড়ির নিচে রাফি সাহেব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×