somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সর্বত্র বামে চলিবেন…!!!

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছু দিন হল আমরা তিন বন্ধু কুমিল্লায় গিয়েছিলাম বেড়াতে।চট্টগ্রাম থেকে গিয়ে সরারসরি উঠলাম বার্ডে আমার এক বন্ধুর বাসায়।আমাদের মূল উদ্দেয়শ্য ছিল শালবন বিহার ও ময়নামতি যাদুঘর।প্রথম দিন কোথাও যাওয়া হয়নি।শুধু সম্পূর্ণ বার্ড ঘুরেছি।এই জায়গাটাও অনেক সুন্দর।সব কিছু একদম গুছানো।বিকেলে ওদের মাঠে খেলা-ধুলা করলাম কিছুক্ষন।অনেক ভাল লাগল।পরের দিন আমার বন্ধুরা সহ বের হলাম শালবন বিহার ও ময়নামতির উদ্দ্যেশ্যে।

শালবন বিহারঃ

বার্ড থেকে শালবন বিহার খুব কাছে।রিক্সশায় গেলে ১০ টাকা ভাড়া।১০-১৫ মিনিট পর পৌছে গেলাম শালবন বিহার।রিক্সশা থেকে নেমে গেলাম বিহারের টিকিট কাউন্টারে।২০ টাকা দিয়ে ৪ টা টিকিট নিলাম এবং ঢুকে পড়লাম বেতরে।মূল গেইট থেকে একটা ছোট রাস্তা দিতে যেতে যেতে দেখলাম রাস্তার দূপাশে অসংখ্য বাহারি ফুলের সমাহার।একটু একটু করে সামনে এগুতেই চোখে পড়ে বিহারের পুরাকীর্তি গুলো।এসব দেখে আর অপেক্ষা করতে পারলাম না রাস্তার মাঝখান ভেঙ্গে উঠেপড়লাম বিহারের একটা অংশে।কিছুক্ষন দেখার পর বিহারের মূল কেন্দ্র যেটা সেটারে পিছন দিকে ঘুরে উঠলাম আর একটু উপরে।বিহারের অন্যান্য অংশ থেকে মূল কেন্দ্রটা একটু উচু তাই সেটার পুর্ব ধার দিয়ে গেলাম উত্তরে সেখান থেকে সিড়ি বেয়ে উঠলাম উপরে।মনে করছিলাম সেখানে অনেক কিছু থাকতে পারে কিন্তু গিয়ে দেখলাম অন্যান্য অংশের মত অনেক গুলো রুমের আকৃতি।যে গুলো দেখতে এক একটা গর্তের মতই লাগে।মূল যে ঘরের আকৃতি রয়েছে তার চারপাশে অনেকগুলো ছোট ছোট ঘরের আকৃতি। ।সেগুলোর মধ্যে একটা মিল রয়েছে সেটা হল সবটাতেই দরজার দু’পাশে মশালের খাপ কাটা।এখানকার বিশাল আকৃতির যে সব তম রয়েছে সবগুলোই ভাঙ্গা ভাঙ্গা।বিহারে উত্তরে একটা গেইট রয়েছে সেখানে অনেক কারু কাজ করে হাতি,সিঙ্ঘ,নর্তকী ইত্যাদির মুর্তি অংকিত।এখানকার ইটগুলোর আকৃতি সাধারন ইটের থেকে ভিন্ন ধরনের।আর অবাক হওয়ার মত একটা বিষয় হল বিহারের তমগুলো সম্পর্নরুপে ইট দ্বারা তৈরি।

ময়নামতি যাদুঘরঃ

বিহার থেকে বের হয়ে গেলাম ময়নামতি যাদুঘরে।সেখানেও টিকিট করে ভেতরে ঢুকতে হয়।মেইন দরজা অতিক্রম করতেই চোখে পড়ে নির্দেশাবলি।সেখানে বারবার করে লেখা আছে যাদুঘরে "সর্বত্র বামে চলিবেন।"কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও কথাটার মানে উদ্ধার করতে পারলাম না।আমরা ঢুকার সাথে সাথে একটা মুর্তি দেখতে পেলাম যেটা ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি।বিহারের মাঠি খননের সময় প্রাপ্ত।যার আকার ১৪০ মি*১২০ মি।আমরা আস্তে আস্তে বাম দিক থেকে পরিদর্শন করা শুরু করলাম।সর্ব বামে গিয়ে কোনায় চোখে পড়ে আর একটা বিরাট আকারের মুর্তি।যাদুঘরের বিতর চারদিকে সাজানো আছে বিহার খননের সময় প্রাপ্ত ভিবিন্ন জিনিসগুলো।বিতরে দেখলাম বৌদ্দদের পুজার সরঞ্জাম,পুরনো খাবার বাসন,চামচ,মস্লা বাটার পাটা,সর্ণ ও রুপার মুদ্রা।আরো দেখতে পেলাম ছোট ছোট অনেকগুলো মুর্তি,গরুর পায়ের চাপা আছে এমন পাতর,চার আংগুল বিশিষ্ট শিশুর পায়ের চাপ।আরো দেখতে পেলাম বর্মীয় ভাষায় লেখা তালপাতা ও পিতলের বাসন।ব্ররমীয় ভাষায় লেখা অনেকগুলো বই।অনেকগুলো লোহার সরঞ্জাম,গাছের টুকরো,মানুষের হাড়,মনষা দেবির মুর্তি।যাদূঘরে রাখা সব কিছুই বিহার খননের সময় প্রাপ্ত।
সেখান থেকে বের হয়ে গেলাম আশে-পাশের এলাকায়।সব মিলিয়ে অনেক ভাল লাগল।পরের দিন আবার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বডি সোহেলের মন ভালো নেই !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:২৫


আমাদের জাতীয় নেতাদের বংশধরেরা বড়ই অদ্ভুত জীবন যাপন করছেন। তাদের বাপ চাচাদের মধ্যে মত-বিরোধ থাকিলেও একে অপর কে জনসম্মুখে অপমান করেন নাই। এক্ষেত্রে নেতাদের প্রজন্ম পূর্বপুরুষ দের ট্রাডিশন ধরে রাখতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পত্রিকায় লেখা প্রকাশের ই-মেইল ঠিকানা

লিখেছেন মি. বিকেল, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৩৩



যারা গল্প, কবিতা, সাহিত্য, ফিচার বা কলাম লিখতে আগ্রহী, তাদের জন্য এখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতা, সাহিত্য পাতা ইত্যাদির ই-মেইল ঠিকানা দেওয়া হলো। পত্রিকায় ছাপা হলে আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তার দায়ভার কি সেনাবাহিনী নেবে? তাদের সমালোচনাকে অনেকে সেনাবাহিনীর সমালোচনা মনে করছে কেন?

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ২:২৯

বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এখনও আমাদের জন্য গর্ব এবং আস্থার জায়গা। কারণ দুর্নীতির এই দেশে একমাত্র সেনাবাহিনীই সেই প্রতিষ্ঠান যার আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় সুনাম এখনও আছে। কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রসঙ্গ: মৃতদেহ সৎকার এবং সঙ্গীতসৎকার....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৪৯

প্রসঙ্গ: মৃতদেহ সৎকার এবং সঙ্গীতসৎকার....

কথা সাহিত্যিক শরতচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বহু বছর আগে তার “শ্রীকান্ত” উপন্যাসে ইন্দ্রকে দিয়ে সর্বকালীন এবং সর্বজন গৃহীত একটি উক্তি করিয়েছিলেন, সেটি হলো,- ”মরার আবার জাত কি”!

মৃতদেহ সৎকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্প: শেষ রাতের সুর (পর্ব ২)

লিখেছেন আমিই সাইফুল, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৫০

রাফি সাহেবের পড়ে যাওয়ার খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল দ্রুত। সকালের মিষ্টি রোদ গাজীপুরের এই ছোট্ট গ্রামে যখন পড়ছে, তখনই কাজের লোক রহিমা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকল। সিঁড়ির নিচে রাফি সাহেব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×