নাম ‘শয়তানের আড্ডা।’
যাবতীয় ধরনের শয়তানি আমরা এতে করতাম।
হাতে লিখে ফটোস্ট্যাট করে পত্রিকা বানাতাম।
৮ পাতার পত্রিকা। খরচ হত ২ টাকা, বেচতাম ৮ টাকা।
ছেলেরা কিনতো না, মেয়েরাই কিনতো সব।
পত্রিকায় ক্লাসের বন্ধুরা এমনকি আন্টিরাও লিখতেন।
আমাদের পত্রিকার বিপুল জনপ্রিয়তা দেখে (!) ক্লাসের ছেলেকূল আমাদের প্রতি কিছুটা ঈর্ষান্বিত ছিল।
প্রথম সংখ্যা বের হওয়ার পর অবশ্য স্যারের কাছে কট খাইসিলাম। স্যার আমাদের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে আর কিছু বলেন নাই।
হঠাত এর প্রথম দুই সংখ্যা খুজে পাইসি।
প্রথম সংখ্যার প্রধান খবর ছিলঃ ‘ইরাকের তেল খেয়ে বুশের পেট খারাপঃ ২৮৭ বার টয়লেটে গমন।’
‘পাপুয়া নিউগিনির আড়াই হাজার রান টপকে বাংলাদেশের শিরোপা লাভ।’
দ্বিতীয় সংখ্যার লীড নিউজঃ ‘ছাগলনাইয়ায় লাউ গাছে কদু ধরেছেঃ এলেকায় তোলপাড়।’
‘ঢাকায় খাজা দিগম্বর বাবার আগমন!’
এছাড়াও খেলার খবর (খেলা আউর ধূলা), বিনোদন (ভাঙ্গা সিডি), শিক্ষা (শিক্ষা পুস্কুনি), চিঠিপত্র, কুইজ, আবহাওয়া (বজ্রপাত খন্দকারের কলাম), বিজ্ঞাপন সব-ই ছিল।
তবে পরবর্তীতে স্যারদের হস্তক্ষেপেই এই বিটলামি আর চালানো যায়নি।
পত্রিকায় প্রকাশিত একটি চিঠিঃ
পাকঘর চাই
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি যে, আমাদের গ্রামে কোনো পাকঘর নেই। ফলে গ্রামের মানুষ যেখানে সেখানে পায়খানা থুক্কু রান্না বান্না করে। ফলে পুরো গ্রাম তরকারির পচা অংশ, মাছের আইশ ইত্যাদিতে ভরে যাচ্ছে। অতএব, অতি স্বতঃর আমাদের গ্রামে ৩ হাজার পাকঘর স্থাপন করে বাধিত করবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩