এই রিপোর্টে বয়ান করা হয়েছে থার্টি ফার্স্ট নাইটে তরুণ তরুণীরা কিভাবে মদ্যপান করে উল্লাস করেছে তার বর্ণনা। দুদিন আগে তারা ফু ওয়াং ক্লাব যুবসমাজকে কিভাবে বিপদগামী করেছে তা নিয়ে একটি রিপোর্ট লিখেছে। রিপোর্টটি পড়লেই বুঝবেন যে এতে নিষ্ঠাবান সাংবাদিকতার নজীর নেই অর্থাৎ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয় নি। মনে হচ্ছে কোন প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্যে এই রিপোর্ট।
উপরের দুটি রিপোর্ট পড়লে আমাদের মনে নিশ্চয়ই বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে যে ঢাকার তরুণ-তরুণীরা রসাতলে যাচ্ছে। গ্রামের লোকজন এগুলো পড়ে ভাববে শহুরে যুবারা পাড় মাতাল।
কিন্তু দাঁড়ান, আজকাল সেই দিন নাই যে মিডিয়া যা বলবে জনগণ তাই চোখ বন্ধ করে শুনবে। ব্লগার আকাশলাল রায় এর চোখ উপরের ছবিটির দিকে পরতেই তিনি জেনে যান যে এই ছবিটি তিনি ফেসবুকে দেখেছেন। হ্যা বিয়ার হাতে এই তরুণীর ছবিটি ডিসেম্বরের ২ তারিখে ফেসবুকের ঢাকা পার্টি এন্ড নাইট লাইফ গ্রুপে যোগ করা হয়েছিল। আপনারা মিলিয়ে দেখুন।
এখন যুগান্তর দুটি অপরাধ করেছে। প্রথমে তারা ফেসবুকের ছবিটি চুরি করেছে এবং এটিকে থার্টি ফার্স্ট নাইটের বলে চালিয়েছে। দ্বিতীয়ত: আকাশলাল যুগান্তরে ফোন করে জিজ্ঞেস করলে বড় গলা করে তারা বলে যে ছবিটি নাকি থার্টি ফার্স্ট নাইটে তারাই তুলেছে এবং তারা কোন চৌর্যবৃত্তি করে নি।
এখন আপনারাই বলেন এইসব পত্রিকার কোন রিপোর্ট কি বিশ্বাস করা যায়? এরা যাতে মানুষকে আর না ঠকাতে পারে তার জন্যে কোন ব্যবস্থা কি নেয়া দরকার নয়?
সবার জন্যে রইল নববর্ষের শুভেচ্ছা।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৪৯