আমরা যে দেশের নাগরিক সে দেশে খুন ডাকতি একটি নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। যিনি বা যারা খুন হন তাদের পরিবারের মর্মবেদনা যাতনা কি রকম সেটা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানেন। রাজনৈতিক চাপ, পুলিশের অসহযোগিতা, দূর্নীতি, বিচারি ব্যবস্থার দীর্ঘসুত্রতা, কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাপ (দূর্নীতির কথা বললাম না আদালত অবমাননার ভয়ে।), মিডিয়ার পার্টিজান রিপোর্ট ইত্যাদির এর কারনে বিচারপ্রার্থীর যে ত্রিশংকু অবস্থা হয় সেটা আর বুঝিয়ে বলতে হবে না। এত কিছু পার হওয়ার পর শাস্তি পাওয়া ফাঁসির আসামী কে যদি সম্মানিত রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করে দেন তাহলে অপরাধীরা অপরাধ করার ক্ষেত্রে সাহস ও শক্তি বেড়ে যাবে এবং অবশ্যই দেশে অপরাধের রেকর্ড সৃষ্টি হবে সেটা বলাই বাহল্য। সেই কারনেই হয়তো অপরাধীরা দেশের গন্ডি ছেড়ে বিদেশেও অপরাধ করতে দ্বিধা করছে না। পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে বর্তমানে এর পরিমান অনেক গুন বেড়ে গেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবে ২০০৭ সালে এক মিশরীর এখানে ডাকাতি করতে যেয়ে সেই মিশরীয়কেই খুন করে ফেলে বাংলাদেশের সেই তথাকথিত অপরাধীরা। দীর্ঘ ৪বছর পর বিচাররের পর সৌদি নিয়ম অনুসারে তাদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মির্জা কায়েসের সাম্প্রাতিক মন্তব্য উদ্ধিৃতি দিচ্ছি, "বাংলাদেশসহ অনেক দেশে মৃত্যুদণ্ড বৈধ শাস্তি এবং আইনের প্রতি সবার শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।"
"সৌদি কর্তৃপক্ষ কোনো বাংলাদেশিকে খুন করেনি। বরং দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো বাংলাদেশিরা অন্য আরেক দেশের নাগরিককে সৌদি আরবে হত্যা করেছে।"
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পদ্ধতি সম্পর্কে মিজারুল কায়েস বলেন, "একেক দেশ একেকভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে।"
বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, "আমরা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে। কিছু কিছু দেশ করে বিষাক্ত ইনজেকশন বা ইলেক্ট্রিক চেয়ারের মাধ্যমে।"
যে দেশে খুনের আসামীকে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করে দেন, গনপিটুনীতে ছাত্রদের মৃত্যু, বর্ডারে তারকাটার বেড়ায় মেয়েদের লাশ ঝুলে থাকে। সেই ঘটনায় কি তারা পুলকিত বোধ করেন? তাদের মানবতা কি তখন ঘুমিয়ে থাকে?
গতকাল কিছু ডিজুস ছেলে-পেলে শাহবাগের মোড়ে ৮ জন খুনী ডাকাতের সমর্থনে (পাঠক আমি বাংলাদেশী উল্লেখ করলাম না, যারা খুন ডাকাতের দ্বারা দেশের মান-সম্মান ভূ-লুন্ঠিত করে তাদের বাংলাদেশী পরিচয় টাও প্রশ্নবোধক) এবং সৌদি আইনকে হেয় করার জন্য নাট্যমঞ্চের আয়োজন করে। সেখানে গুটি কয়েক লোক ও পথচারী কৌতহল সৃষ্টি করে।
পোষ্ট স্টিকি হবে এমন আসা করি না। যারা পড়বেন তাদের মনে যদি এতটুকু চিন্তার উদ্রেক হয় যে, শাহবাগের নাটকের ঘটানায় যদি সৌদি আরবে আমাদের লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের উপর যদি খড়গ নেমে আসে আর সেই বাজার যদি ইন্ডিয়া নিয়ে নেয় তাহলে আমাদের দেশের রেমিন্টেস আর বেকার সমস্যা আরো প্রকট হবে, সেই দায় দায়িত্ব তারা নিবেন কিনা।
তখন শাহবাগে তাদের অবশ্যই আবার দেখতে চাই।
আরো অনেক কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল, পোষ্ট বড় হয়ে যাবে। তাই এখানে শেষ করছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৭