আমার নাম হাবলু। বাস এ করে ঢাকা থেকে নোয়াখালী যাচ্ছিলাম। জানালার ধারের সিটটা ছিল আমার। পাশের সিট খালি। মনে মনে চাইছিলাম পাশে যেন কোন মেয়ের সিট পরে। হটাৎ দেখি বাসে একটি সুন্দর মেয়ে উঠছে। মেয়েটি এত সুন্দর তাকে ডানাকাটা পরী বললেও কম বলা হবে। যাই হোক, আপনাদের তো বলা হয়ই নি, আমার হার্ট এর প্রতিটি চেম্বার অনেক বড়। সেই সময় চেম্বার গুলোর অনেক জাইগাই ছিল ফাঁকা। শুন্যস্তান পুরনের জন্য আমি মনের অজান্তেই মেয়েটার প্রেমে পরে গেলাম। মেয়েটি টুক টুক করে হাঁটতে হাঁটতে আমার সিটের সামনেই এসে দাঁড়ালো। 'আমি কি জানালার ধারে বসতে পারি' মেয়েটার এটাই ছিল আমাকে বলা প্রথম কথা। ভালবাসার জন্য মানুশ কতো কিছু সেক্রিফাইচ করে। আর এটাতো শুধু একটা সিট। জানালার ধারে ওকে বসতে দিয়ে আমি পাশের সিটে বসলাম। চোখের আরালে ওকে দেখছিলাম। বিশ্বাস করবেন না, সে কি চোখ মেয়েটির[ যদিও সানগ্লাস ছিল, কল্পনাই বুঝে নিয়েছিলাম], কানে ছিল হেডফোন, ঠোটের ঠিক নিচে ১টা তিল[ আমি ভাবছিলাম বিউটি স্পট], বাকিগুলোর বর্ণনা নাই করলাম। লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে জিজ্ঞাশা করলাম 'কই যাবেন'। মেয়েটি বলল 'আমাকে কিছু বলছেন'। আহা এত সুন্দর কণ্ঠ। এরপর পরিচয়। বাসে বসে মেয়েটির কথা শুনছিলাম। সে বাড়ি যাচ্ছে বহুদিন পর, অনেক মজা করবে। মেয়েটির হাত লাগছিল আমার হাতের সাথে, আর ওর শরীর থেকে পাগল করা সেন্টের সুঘ্রান বের হচ্চিল। গল্প করতে করতে মেয়েটি বলল, সে আজ কিছুই খাই নি। তাই গাড়িতেই কিছু ফাস্ট ফুড নিয়ে উঠছে। প্যাকেট খুলার পরে দেখলাম ২ টা সেন্ডউইচ। আমাকে বলল 'আপনিও খান'। আমি বললাম না না আমি খেয়েছি। মেয়েটি তখন উপরের সেন্ডউইচটি রেখে নিচের টা খেতে শুরু করে।খাওয়া শেষ করে মেয়েটা ব্যাগ থেকে দুইটা কোকাকোলার বোতল বের করে। ড্রিঙ্কস তো অন্তত খাবেন। ভালবেসে দিচ্ছে মনে করে আমিও একটা নিলাম। ওইটা খাওয়ার পরে আমার আর কিছু মনে নেই। এত ঘুম আসলো। ঘুম ভাঙ্গার পরে দেখি আমার মোবাইল, মানিব্যাগ, ল্যাপটপ কিছুই নেই। আরো অবাক হয়ে দেখি মেয়েটাও নেই।বাসের হেল্পার বলল, মেয়েটা অনেক আগেই নেমে গেছে.।
দুঃখে বুকটা ফেটে যাচ্ছিল। মেয়েটা এইভাবে আমাকে ছেড়ে চলে গেলো। মোবাইল, মানিব্যাগ নিলে, আমাকেও নিয়ে যেতে.।