বাবুয়া যখন নাজনিন খলিলকে ইংগিতে অশ্লীল মন্তব্য করেন তখন বাবুয়ার ব্যানের দাবী বেশ কিছু নিক সোচ্চার হওয়ায় বাবুয়ার ব্যান হলেও পরবর্তীতে যারা সেই প্রতিবাদে সোচ্চার চিলেন তাদের অনেককেই বিভিন্ন সময় ব্যান করা হয়েছে।এই একটু ইসুৎতে দুই পক্ষেরই অনেক ব্লগার ব্লগিং ছেড়ে দিয়েছেন।এবং এই ইসুৎটিকে বিশেষ করে এটিমের কয়েকজনের আন ব্যানের প্রতিবাদে দুইজন নারী ব্লগার এবং কয়েকজন পুরুনো ব্লগার এই ব্যাপারটিতে বেশ বড়সড় ভুমিকা রেখেছিলেন।যার পরিণতিতে নোটিশবোডের পক্ষ থেকে পোস্ট স্টিকি করে আলোচনার উদ্যেগও নেওয়া হয়েছিল।মডারেশনের সচ্চতার দাবীতে আন্দোলনকারীদের ৩/৪মাস ওয়ালা ব্লগার বলে ব্যাপক তোড়ের মুখে পড়েছিলেন আলোচিত ফিফা।কিন্তু মডারেশনের সচ্চতার নামে আলোচনার ডাক দিলেও ভেতরে ভেতরে চায়নিজের কারণে সেই সচ্চতা আর আলোর মুখ দেখেনি।এরপর ব্লগার সোজা কথা যার বিরুদ্ধে মাইনাস মেশিন চালু ,জাফর ইকবাল ইসুৎ নিয়ে ব্লগকে অস্থির করার অভিযোগ খোদ মডারেশনের পক্ষ থেকে আসার পর মডারেশনরে সচ্চতার আন্দোলন একরকম হারিয়ে গেছে।কিন্তু ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় সচ্চতার আন্দোলন।
হারিয়ে যাওয়া আন্দোলনটি আবার একটু মাথা ছাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছিল মাস দুয়েক আগ থেকে।তবে এবার এই সচ্চতার দাবী উঠতে শুরু করেছিল আওয়ামী বিরোধী পোস্ট কমেন্টের দায়ে ব্যান হওয়া ব্লগারদের জন্য।আস্তে আস্তে সংগটিত হওয়া এইসব ব্লগারদের আরো কাছে আনে দেয় নাস্তিক এবং কট্রর বাকশালী মানসিকতাধারীরা।এবং এতে আস্তে আস্তে বিশেষ করে নাস্তিক আর বাকশালীদের আচরণে বিএনপি পন্থী ব্লগাররা সাধরন ব্লগারদের সহানুভূতি পেতে শুরু করেছে।পরিনামে সরকার বিরোধী পোস্টগুলোতে ব্যাপক হারে + আর কমেন্টে দিন দিন বাকশালী দোসররা ও নাস্তিকরা আরো বেশী দূর্বল হয়ে পড়ছিল।তাই কিছু নিক এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠে যে পরিনামে নিজেদের ফাঁদে নিজেরাই পা দিয়ে নিজেদের অবস্থান আরো হালকা করে ফেলছিল।ফেসবুক,আমার দেশ,চ্যানেলওয়ান বন্ধের পর এরা সরকারী কৌশলের মত নিজেদের অবস্থান ফিরে ফেতে কৌশল পাল্টায়।নুতুন নুতুন নিক দিয়ে সরকারের বিভিন্ন কাজের সমালোচনাকারী ব্লগারদের কারণে সামহোয়ার বন্দ হয়ে যেতে পারে এই হুজুগটা সামনে নিয়ে আসে।বিশেষ করে ছাত্রলীগ বিরোধী পোস্টগুলোতে এইসব প্রচরনা চলে অনেক বেশী।এবং সরকারের বিশেষ মহলের নজরে সামহোয়ার,প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের কয়েকজন ব্লগে নিয়মিত চোখ রাখেন এমন প্রচারণা চলতে থাকে কৌশলে।এবং এতে সাধরন ব্লগাররাও ভয় পেতে শুরু করে সরকারের সমালোচনাকারীদের কারণে সামহোয়ার বন্ধ হয়ে যেতে পারে যে কোন সময়ে।
এবং হঠ্যৎ করেই সরকারের বাকশালী স্টাইলে মিডিয়া শাসনের মত ব্লগেও বাকশালী স্টাইলে মডারেশন শুরু হয়ে যায়।শুর হয় তালিকার কাজ।এবং কালো তালিকাভুক্তর কঠোর নজরদারীতে আসে।পুরাতন পোস্ট ,কমেন্ট খুজে খুজে একটু সরকার বিদ্ধেষী হলেই মুছে দিয়ে জেনারেল ,ব্যান,লগইনব্যান করেছে প্রায় ৪০জনকে।কিন্তু মাল্টি নিকের কারণে কিছুতেই কিছু হচ্চিলনা উল্টো বুমেরাং হতে যাচ্চে দেখে নাযিল হল স্টিকি পোস্ট।এবং এই স্টিকি পোস্ট এমন একজন বিতর্কত ব্লগারের যার বিরুদ্ধে ধর্মের বিরুদ্ধে প্রচুর বিষেধাগারের অভিযোগ আছে।অথচ যুদ্ধাপরাধ ইসুৎতে এর চাইতে গুরত্বপূর্ন পোস্টগুলো পোস্টের পর পোস্ট দিয়েও স্টিকি করানো যায়নি।একেতো বিতর্কিত ব্যাক্তির স্টিকি পোস্ট তার উপর মডারেশনের উপর ক্ষেপে থাকা সরকারের সমালোচনাকারীরা এই দুয়ে দুয়ে ৪ হয়ে সামহোয়ারের ইতিহাসে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক কোন পোস্টে এতগুলো মাইনাস জ্বল জ্বল করছে।
তথাকথিত ফাঁদ এবং বাকশালের দোসরদের খুশি করতে হঠাৎ নাজিল স্টিকি পোস্টটি বাকশালীদোসরদের এক টুকুরু মাংসের মত।এবং এই মাংসকে পুজি করে মাইনাসকে সামনে এনে আবার ব্লগের হারানো অবস্থান পেতে মরিয়াদের কাছে সামহোয়ারের বর্তমান মডারেশনের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই।এবং এই মাংস এদের এতই লোভাতুর করেছে যে নোটিশবোডের পোস্টেও গালাগালি শুরু করে দিয়েছে অন্যদের।
তবে এই মাংস যে বেশীদিন ঠিকছে না তার আগাম কিছু আলামত ইতিমধ্যেই দেখা শুরু হয়েছে।অতিরিক্ত লোভী হলে যাই হয় আর কি?তবে এই সরকারের আমলে কোনটাসা বাকশালীও নাস্তিকরা গত ১বছরের অন্য যে কোন সময়ের চাইতে অনেক শক্তিশালী।

