বড় করে দেখতে
সাগর-রুনির হত্যাকান্ডের বিচার পাবোনা আমরা, এটা অনেক আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ৪৮ ঘণ্টা এই জনমে আর শেষ হবে কিনা কারো জানা নেই। আশা করা এখন মহাপাপ। তবু কেন জানি মেনে নিতে খুব কষ্ট হয়, যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রীও আমাদের সাথে মিথ্যাচারের রসিকতা করেন। বেগম রোকেয়া দিবসে বিএনপির হরতাল নিয়ে তিনি, যে পরিমাণ ব্যাঙ্গ করলেন আর তিরস্কার করলেন, বিএনপির ঘোর সমর্থকও লজ্জা পাবে। কিন্তু হায়, আমরা ভুলে গেছি শেখ হাসিনা কে? যেই মানুষ জনসভায় দাঁড়িয়ে আর হরতাল না করার ওয়াদা করেও, হরতাল ডেকেছেন। সেই মিথ্যাচারের পরেও বোকা জনগণ তার উপর আস্থা রেখে তাকে নির্বাচিত করেছে (দূর্জনে/সর্বজনে বলে এটা নাকি পাতানো নির্বাচন ছিলো)। যা হোক, নেত্রী আবার ক্ষমতায় এলেন, কিন্তু তার মিথ্যা বলার স্বভাবটা ছাড়তে পারলেন না। সর্বশেষ রোকেয়া দিবসে এবং স্বাধীনতার মাসে হরতাল নিয়ে তার মিথ্যাচার। ১৯৯৫ সালে ৯,১০,১১ ই ডিসেম্বর জাতীয় পার্টি এবং যুদ্ধাপরাধীর দল জামায়াতকে সাথে নিয়ে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডাকেন। হায় সেলুকাস! প্রযুক্তির এই যুগে মিথ্যা বলেও পার নেই? আওয়ামী নেত্রীর মিথ্যাচারের আরো অনেক প্রমান দেওয়া যাবে। ক্রমাগত মিথ্যে বলা এই নেত্রীর কাছ থেকে এবং তার দলের লোকদের কাছ থেকে মানুষ আর কি আশা করতে পারে?
সর্বশেষ ছাত্রলীগ এর ক্যাডারদের হাতে নির্মমভাবে খুন হলো বিশ্বজিৎ নামের এক সাধারণ ছেলে। আগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধারা অব্যাহত রেখে এখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও মিথ্যা বলেন। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকালও বলেছে আট জন গ্রেফতার করা হয়েছে অথচ পুলিশ আজও বলতেছে কাউকে গ্রেফতার করা হয় নাই কি মিথ্যাচারের মিলনমেলা! হে পুলিশ আপনাদেরকে সেই দিনের খুনিদের চিহ্নিত করে দিলাম- (এবার গ্রেফতার করুন)
বড় করে দেখতে
আমরা কি কানে শুনতে পাইনা? সত্য-মিথ্যার ফারাক ধরতে পারিনা?
(আরো কিছু বলার ছিলো, সময়ের অভাবে বলতে পারছিনা। বাইরে যেতে হচ্ছে)
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:২৮